Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ৯৬)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ৯৬)

রেকারিং ডেসিমাল

স্টেশনে ট্রেন থামতে তাড়াতাড়ি আগে ঠাকুমা আর তারপর বাচ্চাদের সাবধানে নামানো হল। তারপর ঠাকুর্দা আর বাবা মিলে সুটকেসদের। মা ভিতরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেন সব কিছু যতক্ষণ মালপত্র সব না নামে। সব নেমে যাবার পরে, মা সিঁড়ি বেয়ে নামতেই এক ধাক্কা দিয়ে দু তিনটে লোক এগিয়ে গেল। আরে একি একি! মায়ের চীৎকার শুনে বাবা এদিকে আসতে আসতে মা টের পেলেন হাতের ছোট কালো পাউচটা টেনে নিয়ে গেছে এরা। বাবা এসে সরিয়ে নিয়ে বললেন, যাহ, কি গেল? মা মুখ কালো করে বললেন, ক্যামেরার পাউচ। মন খুব খারাপ হয়ে গেল সকলের। ছোটোরা প্রায় ভ্যাঁ। মা তাড়াতাড়ি মস্ত ভ্যানিটিব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করতে গিয়েই হইহই করে উঠলেন। এই তো, এই তো ক্যামেরা!! হাতে উঠে এলো কালো প্যাকেট, ক্যামেরা শুদ্ধু। এবারে সবার প্রশ্ন, তবে কেপমার নিল কি ? মা ভেবেচিন্তে বুঝলেন, কালো আরেকটা পাউচে সব সাজগোজের জিনিস গোছানো ছিল, সেইটাই নিয়েছে এরা দামি কিছুর ব্যাগ ভেবে। হায় কপাল!! গেলো সব শেডের লিপিস্টিক, টিপের পাতায় লম্বা, চৌকোনা, ছোটো বড় মাঝারি, লাল মেরুন কালো নানান রঙের টিপেরা, কম্প্যাক্ট, আই লাইনার, পারফিউম, যাহ! বাবা হা হা করে হেসে অস্থির। এহে, ভাবো, চোরেরা ব্যাগ খুলে কি করবে আর কি বলবে। হে হে হো হো। মায়ের মুখ চুন। কত সব পছন্দের রঙ। তবু এরমধ্যে একটা সান্ত্বনা, ক্যামেরাটা তো যায়নি। ভাগ্যিস!! নিজের মনকে বোঝান মা শক্ত করে দুই ছানার ছোটো ছোটো হাতদুটো দু হাতে নিয়ে, বিশ্বনাথ চান না, এখানে মেকি রঙ মেখে সাজি। তাই প্রথমেই হাবিজাবি সরিয়ে দিয়েছেন। ভালোই হয়েছে। জয় বিশ্বনাথ! ওঁ নমঃ শিবায়।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register