Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

অণুগল্পে তুলসী কর্মকার

maro news
অণুগল্পে তুলসী কর্মকার

বেগুন ও নিমপাতার কথা

সেদিন চিঠিটা লুকিয়ে নিলে, রাগে অভিমানে অনেকক্ষণ ছিলাম। হটাৎ কথাটা মনে পড়ল। তুমি বলেছিলে আমার ভেতরে কবিতা আছে। তাই ঠিক করলাম আর চিঠি নয় কবিতা লিখব। প্রযুক্তি চাই! কার কাছে যাই? গোটা ফেসবুক তোলপাড় করলাম। সবার শুধু পাতা পাতা কবিতা কিন্তু কোন প্রযুক্তি উল্লেখ করা নেই। রাগে শঙ্খদার কাছে গেলাম উনি অবাক হয়ে হেসে বললেন এই নে খোকা প্রযুক্তি “কবিতার মুহূর্ত” পড়ে নামাগে যা। রাত জেগে লিখতে বসলাম। বারিনদা কে দেখাতে যাবো অমনি পোস্ট গভীরে গভীরে ......... যেতে সাহস হল না। জানা দা নেই। দূর্বাদা, শ্যামদা, অভিদা, কে দেখালাম হেসে কুটিকুটি। বলল জল নড়ে যাচ্ছে পাতা পড়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা প্রাকৃতিক হবে না তুই বরং গান শিখগে যা। লতা আশা উষা আমার মাসি নয় বাবুলদা পাটি নিয়ে ব্যস্ত তাই তনু বৌদি কে ধরলাম। বলল সারেগামা গা। যেই শুরু করেছি চীৎকার রথ থামা। তোর দ্বারা গান হবে না। ছবি আঁকগে যা। বুঝে নিলাম এটাও প্রাকৃতিক। দুঃখে বসে ছিলাম পলাশ ঠিকানা দিল। পাড়ার ছেলে সন্তোষ আম জামে রং ভরতে দিল। বললাম ভালোবাসা আঁকবো না। টাকা পকেটে আগে ঢুকা তারপর দেখছি। জিজ্ঞাসা তাহলেই হবে? সন্তোষ কড়া সুরে জানিয়ে দিলে আর্ট ব্যপারটা প্রাকৃতিক। আমি নরম মেজাজে বাড়ী ফিরি। ভাবতে থাকি প্রাকৃতিকটা কি? যা আপনা আপনি হয়। ঘুম, খিদে, মল, মুত্র, ঘাম এর জন্য আলাদা কষ্ট করতে হয় না। ভেতর থেকে আসে গ্রন্থি বেয়ে তার মানে আমার কোন কবিতা গান ছবির গ্রন্থি নেই। উপর থেকে কাটা। দুঃখ হয়। কষ্ট হয়। কেন এসব আমার নেই!..........
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register