Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৮৫

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৮৫

ফেরা

অবশেষে, সেই বহু প্রতীক্ষীত দিনটি এলো। বাবার ইচ্ছাপূরণের দিন, বা বলা ভালো, ছেলে হিসেবে একমাত্র কর্তব্য করার দিনটি, ব্রহ্মোকপোলে, বাবার পিন্ড দেবার দিন।

সেদিন খুব ভোরেই ঘুম ভেঙে গেলো। আশেপাশে দেখি, অধিকাংশ সবাই ঘুমোচ্ছে, খালি দলের কুকরা চলে গেছে সবাইকে বেড টি দেবে বলে। লেপের গরম ছেড়ে উঠে, কনকনে ঠান্ডা জলে হাত মুখ ধুয়ে নি। তারপর খাটের তলা থেকে রুকস্যাক বের করি, একদম ভেতরে হাত চালিয়ে একটা প্যাকেট বের করি। সেখানে সযত্নে রাখা আছে ধুতি, শাল আর একটা গরম ডেনিমের পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবিটি আমার, কিন্তু বড়ো ঝুলের হওয়ার দরুণ বাবার গায়েও ফিট করে যেতো। আগেরবার বাবা এটি পরেই কাজ করেছিলেন। এবার আসা মনস্হ হবার পর ঠিক করেই নিয়েছিলাম এটি পরেই কাজ করবো। এক কাজ, এক পোশাকে হলেই ভালো।

একটু পরে স্নানের জল আসে। আবার হাতমুখ ধুই, জানি দেব দর্শন সেরে উষ্ণ কুন্ডে স্নান করে কাজে বসবো। একটা ছোটো ব্যাগে জামা কাপড়গুলো ভরি। ওখানে চেঞ্জ করে নেবো। এক কাপ চা হাতে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে তখন নরম রোদ্দুর জায়গা নিচ্ছে ধামের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে।

বাবু।। ডাক শুনে তাকাই। অধিকারী কাকু। সামনে এসে হেসে বলেন, তোমার কাকিমা বলে দিয়েছেন, যতক্ষণ কাজ করবে, আমি সাথে থাকবো। কি ভালো লাগে। জানি ধন্যবাদ দিতে পারবো না, ওনার নিঃস্বার্থ আচরণকে ছোটো করা হবে। ডাবলাদা জিজ্ঞেস করেন ব্রেকফাস্ট করবো কি না। না বলি। পুজো দিয়ে কাজ সেরে মন্দিরের কাছে কিছু খেয়ে নেবো। আরেকজন কাকিমা আসেন। আমার কাজের কথা শুনে উনিও উদ্বুদ্ধ। ওনার বাবা মায়ের কাজ ও উনি করবেন আমার সাথেই বসে। দেখতে দেখতে দলের অনেকেই চলে আসেন। এক সাথে সবাই পথে নামি। সংঘ থেকে এক কিলোমিটার মতো পথ মন্দির। তাড়াতাড়িই পৌঁছে যাই।।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register