Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০৬

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০৬

ফেরা

পাহাড়ি মোরগের ডাকে ঘুম ভাঙে। ব্যালকনিতে এসে আড়মোড়া ভাঙি। বাইরে তখনো মেঘ কুয়াশার দাম্পত্য। মেয়ে দুটো তখনো ওঠেনি। ঘড়ি বলছে সাড়ে ছটা। রেডি হয়ে দুজনকে তাড়া দিয়ে তুলি। ওরা রেডি হতে থাকে। নীচে নেমে এক কাপ চা নিয়ে পায়চারি করি। ঠিক আটটায় গাড়ি আসে। ততক্ষণে জ্যাম পাঁউরুটি দিয়ে আমাদের ব্রেকফাস্ট সারা। গাড়ি চলে কুলুর উদ্দেশ্যে। সাথী হয় বিয়াস নদী। তার ধার বেয়ে এঁকে বেঁকে পথ গেছে। বোলিয়ে সাবজি, পহেলে কাঁহা জানা হ্যায়। পাহাড়ি মধ্যবয়স্ক চালক সহাস্যে প্রশ্ন করেন। তাঁকেই গাইড করতে বলি। প্রথমে আপেল বাগান। ছোটো ছোটো আপেল ফলে আছে। সামনে ঝুড়ি ভরে আপেল, পীচ আর খোবানি বিক্রি হচ্ছে। একদম টাটকা, রসে টইটম্বুর। ওসব দেখে লোভ সামলানো দায় হয়ে পরে। কেনা আর খাওয়া চলতে থাকে। তো সাবজি, এক বাত বলু্।আপ তিনো তো জওয়ান হো, রেফ্টিং কিঁউ নেহি করতে? বহোত মজা আইয়েগা। বলে কি লোকটা। এই খরস্রোতা নদী। আমরা নভিস। কিছুই জানি না। কোনো দূর্ঘটনা ঘটে গেলে? মেয়ে দুটোর কিন্তু হেভি উৎসাহ। ওদের জোড়াজুড়িতে রাজি হতে হয়। আমাদের চালক নিয়ে আসেন স্টার্টিং পয়েন্টে। অনেকগুলো ক্যাম্প, সব এক একটা কোম্পানি। একদলের সাথে চুক্তি করি। ১৫০০ টাকা নেয়। ভারী জামাকাপড় ছেড়ে সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে রেডি হলাম। আমাদের ফোন, পার্স, অধিকাংশ জামাকাপড় ড্রাইভার সাহেব নিয়ে গাড়িতে তুলে চলে গেলেন। উনি ফিনিশিং লাইনে থাকবেন। প্রবল উত্তেজনা কিন্তু দূরু দূরু বুক নিয়ে, মাথায় হেলমেট আর গায়ে জ্যাকেট চাপিয়ে আমরা রবারের ডিঙি তে উঠলাম। দলে সবশুদ্ধু সাতজন। আমরা তিন, বাবা মা মেয়ে এক ফ্যামিলি, আরেকজন মেন চালক কাম গাইড। হুইসলের সাথে সাথে যাত্রা হলো শুরু।।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register