Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০০

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০০

ফেরা

আমাদের কোলকাতা মেট্রো অনেক অনেক সুশৃঙ্খল। এখানে লাইন পড়লেও বেকার চেঁচামেচি, বাওয়াল নেই। দিল্লি মেট্রো সে সবের উর্দ্ধে। টিকিট কাটতে গিয়ে জাটদের রা ঠেলাঠেলি নোংরামি দেখলাম, রাম কহো। এক সময় মনে হচ্ছিল লাইন ছেড়ে বেড়িয়ে আসি। সাথে দুজন মহিলা আছে। কিছু ঝামেলা বাঁধলে আমার দায় বর্তাবে। এদিকে দুজনের গোঁ, মেট্রো চড়বে তো চড়বেই। প্রায় আধা ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে, টিকেট কেটে মেট্রো চড়া হলো। দুজনেই খুশী, আমারও শান্তি। হোটেলের কাছাকাছি এক স্টেশনে নেমে অটো ধরে যখন হোটেলে ঢুকলাম, তখন পৌনে চারটে। বাস আটটার সময়। ঘন্টা দুয়েক আরামসে ঘুমনো গেলো। তারপর সব জিনিসপত্র কোনোমতে ব্যাগে ঢুকিয়ে হিমাচল টুরিজম এর হোটেল। এর সামনে থেকেই বাস ছাড়বে। ঘড়ি বলছে সাড়ে সাতটা, কিন্তু তখনো বেশ আলো আছে। মনে হচ্ছে সবে সন্ধ্যা নামবে। এই দেরী করে আলো যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আগে থাকলেও, দুই ভদ্রমহিলার প্রথম। ওরা বেশ মজা পেয়েছে বোঝাই গেল। কাঁটায় কাঁটায় আটটা নাগাদ বাস এলো। ভলভো চড়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও এখানকার বাস দেখে হাঁ। এতো লাক্সারি বাস জন্মে দেখিনি, চড়া তো দূরের কথা। সব মালপত্র বাসের পেটে চালান করে গ্যাঁট হয়ে বসলাম নিজ সিটে। দুজন একসাথে আর আমি যথারীতি আলাদা। মনে কিঞ্চিৎ আশা ছিলো, পাশের সিটে ভালো কোনো সহযাত্রী পাবো( মানেটা বুঝে নিন), কিন্তু খানিক পরে এক দশাসই চেহারার পাঞ্জাবি বৃদ্ধকে পাশে বসতে দেখে, ধুক করে নিভে গেলো বুক ভরা আশা। সাধে বলে, অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়। ঠিক সাড়ে আটটায় বাস ছাড়লো। মাখনের মতো মসৃণ রাস্তা, আলো আঁধার পেরিয়ে চললাম আমরা। দিল্লির সীমানা ছাড়িয়ে বাস ঢুকলো হরিয়ানাতে। ছোটো ছোটো গ্রাম ও শহর পেরিয়ে ছুটে চললো বাস। কখনো আলো কখনো আঁধার পেরিয়ে চলেছি আমরা। এই আলো এই নেই দেখতে দেখতে কখন ঘুমের দেশে তলিয়ে গেছি খেয়াল নেই। ঘুম যখন ভাঙলো, ঘড়ি বলছে সাড়ে এগারোটা। রাজহংস নামক একটা ধাবা কাম রিসোর্টের গোড়ায় দাঁড়িয়ে আমাদের ভলভো, লম্বা এক শ্বাস ছাড়লো।। ডিনার ব্রেক।।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register