Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক উপন্যাসে আবুল কালাম আজাদ (পর্ব - ৩১)

maro news
ধারাবাহিক উপন্যাসে আবুল কালাম আজাদ (পর্ব - ৩১)

দার্শনিক হেলাল ভাই

: বাবা, তোমার মেয়েকে যে প্রেমপত্র দেয় তাকে.......। : প্রেমপত্র দেয়াটা খারাপ কিছু না, অপরাধেরও কিছু না। যে কোনো মেয়ে যে কোনো ছেলেকে, বা যে কোনো ছেলে যে কোনো মেয়েকে প্রেমপ্রস্তাব দেয়ার অধিকার রাখে। এটা একটার গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রস্তাব রাখা না রাখা প্রস্তার প্রাপকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। : তাই বলে......। : শোন, হেলালের বয়সে আমি তোর মাকে মোট তেরানব্বইটা পত্র লিখেছিলাম। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট পত্রটা ছিল চার পৃষ্ঠা, আর সবচেয়ে বড়টা ছিল ছিয়াত্তুর পৃষ্ঠা। প্রেমপত্র লেখাও একটা আর্টের ব্যাপার। শিল্প-সাহিত্য জ্ঞান না থাকলে সত্যিকারে প্রেমপত্র লেখা যায় না। বর্তমানের ছেলেমেয়েরা তো.........। : বর্তমানের ছেলেমেয়েরা কী? : পরীক্ষায় বসলে ৮০% নম্বর। মগজ থেকে এক পৃষ্ঠা লিখতে পারবে কি না সন্দেহ। তারপর শোন, সেই ছিয়াত্তুর পৃষ্ঠার প্রেমপত্রটা তোর নানার কাছে ধরা খেয়ে গেল। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন নাই যে, এটা তার মেয়েকে লেখা প্রেমপত্র। তিনি মনে করেছিলেন, কোনো উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি। আচ্ছা, তোর প্রেমপত্রটা নিয়ে আয় তো দেখি। : সেটাকে কুটিকুটি করে.....। : কাজটা মোটেও ঠিক করিসনি। জীবনের প্রথম প্রেমপত্র। স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়া উচিত ছিল। : ধ্যাত্তারি! : ওয়েট ওয়েট......। তারপর বাবা একটা পত্রিকা টেনে নিয়ে পড়তে লাগলেন: "প্রিয়তম ফ্রাউলি বাউয়ার, ... আপনার চিঠি আজ মেঘের বুক চিরে আমার ওপর পুষ্পবৃষ্টির মতাে ঝরছে। এ হলো সেই চিঠি, যে চিঠির জন্যে আমি অধীর আগ্রহ, উদ্বেগে আর উত্কণ্ঠা নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছি।

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register