Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৫৫

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৫৫

ফেরা

যোশীমঠ থেকে যখন বেরোলাম,তখন সকাল সাতটা। আজ প্রায় ১০-১২ ঘন্টার ড্রাইভ, একদম সিধা হরিদ্বার। পাহাড় ছাড়তে মন খারাপ লাগলেও, কি আর করা যাবে, ফিরতে তো হবেই। আর আমরা ঠিক করেছিলাম শ্রীনগর বা তার ধারে কাছে কোনো নন ভেজ ধাবা পেলে পেট ভরে নন ভেজ খাবো। সত্যি বলতে কি, ঐ মাঝের একদিন ডিম ছাড়া, ভেজ খেয়ে জিভ হেজে গেছিলো। পরদিন হরিদ্বার থেকে রাতে দুন,আর দুদিনের মধ্যেই ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন।

ওয়েদার সেদিন বেশ ভালো ছিলো। বেশ ফুরফুরে হাওয়া, প্রশস্ত রাস্তায় মসৃণ গতিতে চলছিল আমাদের গাড়ি। ঘন্টা দুয়েক এভাবে চলার পর একটা বাঁক নিয়েই হঠাৎ একটা হেঁচকি দিয়ে কয়েক গজ থরথর করে চলে গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল।

গেল তো গেল, আর চললো না। দীপক জানালেন যে আ্যক্সেল ভেঙে গেছে, মিস্ত্রি এনে সারাতে আধ বেলা মিনিমাম। কিন্তু আমাদের তো আজ ফিরতেই হবে। কি করা যায়? ত্রাতা মধূসুদনের মতো এলেন গোপাল দাস। নামেও গোপাল, কাজেও তাই। ওনার দ্বারা চালিত গাড়ির যাত্রীদের কাছের শহরে নামিয়ে, আমাদের ওখান থেকে উদ্ধার করে সেই শহরে পৌঁছে দিলেন। ওনার সেই উপকার, সেদিন ও ভুলিনি, আজো নয়। আমরা ঐ শহর থেকে( এতো দিন পর বলে নাম মনে নেই, খুব সম্ভবত পিপলকোঠি) একটা গাড়ি ভাড়া করতে চাইলাম, কিন্তু এক্সক্লুসিভ গাড়ি অমিল, একটি আর্মাডা তে আরো গুচ্ছ লোকের সাথে ঠেলাঠেলি করে রাত আটটায় দেরাদুন পৌঁছলাম। না হলো খাওয়া, না হলো কিছু। উল্টে চাপাচাপি করে বসে কোমর আর পায়ের অবস্হা শোচনীয়।

দেরাদুন থেকে একটি অটো করে হরিদ্বারের ভারত সেবাশ্রম সংঘে এসে নামলাম। ফ্রেশ হয়ে শুতে যাবার আগে বাবা আর জেঠু পিসেমশাইকে বললেন যে তুমি দয়া করে ভবিষ্যতে আর আলপটকা মন্তব্য কোরো না প্লিজ। পিসেমশাই হেসে ব্যাপারটা মেনেও নিলেন, অবশ্যই সেদিনের জন্য!!!!

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register