Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || স্তুতি || শারদ 26য় স্নেহাশিস মুখোপাধ‍্যায়

maro news
T3 || স্তুতি || শারদ 26য় স্নেহাশিস মুখোপাধ‍্যায়

এক আশ্চর্য প্রেমের কবিতা

১) যতো মানুষ বাড়ছে, ততো গ্যালাক্সি বাড়ছে। তোমার জন্মের সাথেও ব্রহ্মাণ্ডে একটা গ্যালাক্সি বেড়েছে। তোমারই মাপের গ্রহ, উপগ্রহ, কিম্বা আর একটা মহাজগৎ। তুমিই দেখতে পাচ্ছো না। দেখতে দিচ্ছে না —এই-ই অধিকারবোধ! এই অধিকারবোধই গ্যালাক্সির জন্ম দিয়েছে। তোমারই চোখের সামনে তাকে ঢেকে রেখেছে। (২) যার বুকের ভেতরে আছো, তাকে আরো কাছে আসতে দাও। তুমিও শঙ্খ নও, জ্বালা নও, শুধু একটা পথ। কাউকে বুঝিও না, নিজেকে বোঝাও। খ্যাপামি ক'রো না। খ্যাপামিকে এতো দ্যাখা যায়? খ্যাপামিকে এতো দ্যাখা যায় না! (৩) আগে জানো, কি করে নিতে হয়! কি করে থাকতে হয় দুধের সাগরে। ফ্যাকাশে মনের মতো ঘোরের জাল রাখা আছে। তার ভেতর দিয়ে পাহাড় দেখতে হবে। আমি পর্বতকে দুধসাদা দেখেছি। সেখানে চোখে কোনো ঘোর নেই। (৪) বোধের কাছেই তো বিস্ময় আছে। প্যাঁচার মতো মেঘ, আর পর্বত। কি করে মিল করবে? অনেক মানুষ দ্যাখো... ঘন জঙ্গলের মতো, জোকারের মতো। আসলে যাদের দেখছো, তারা সবাই জোকার। তুমি পারলে উলু দিয়ো। উলু দিতে পারো? জানো, কি করে এক হই? ক্লান্তি থেকে, না! সবাই কাজের ভেতরেই আছি। শুধু, এ ওকে দেখতে পাচ্ছি না। (৫) আলো পড়েনি, তাই কালো। নাহলে, একটা কিছু করা যেতো। যারা উদযাপনে বাঁচে, তারা অনেকেই কিছু করেনি! হাসপাতালে যায়নি, দিনের পর দিন রোগীর ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষাও করেনি। হাসপাতালে গেলে, তুমি অপেক্ষাকে দেখতে পাবে। অনেক অপেক্ষা হাসপাতাল ধরে আছে। যেসব রোগীর ওপর কারো হাতের আলো পড়েনি, তারা সবাই ধুঁকছে। তেত্রিশ বছর ধরে, দশ বছরের গ্লানি নিয়ে ধুঁকেছে। এই অন্ধকার মনে তোমাকে যদি সাদা লাগে, তবে জেনো, তুমিও কৃষ্ণমৃগই। আমি আলো আর অন্ধকারের বাইরেরই লোক। আমার চোখে অন্ধকারই পরিচ্ছন্ন লাগে। (৬) গোল সোনার তাল, আমি যে কতোবার তোমার কথা লিখেছি! তুমি ফুটে উঠলেই সবাই হাসে। তোমাকে ফুটে উঠতে দেখলেই জঙ্গলে কাড়া-নাকাড়া বাজে। ওভাবেই কবিতার জন্ম হয়। কবিতার জন্ম হবে, মানে কি? আট মিনিট উনিশ সেকেন্ড পরে তোমার জন্ম হবে, কবিতা? আর তুমি যে নিশ্চুপ ছিলে, তার কোনো কাউন্টডাউন হবে না? তুমি অন্ধকারে চলে গেলেও জঙ্গলে কাড়া-নাকাড়া বাজে। আটখানা আলোমিনিট, না উনিশ সেকেন্ডের বরফচলা, কোন কথাটা আগে বলবো, বলো তো? দু-বছর, না দু-দিন? আমাকে তুমি স্ট্যাচু করে দিয়েছো। তাই আর কোথাও যাইনি। (৭) হঠাৎ সেন্টাউরি জ্বলে উঠেছে। তুমি দিব্যি করে বলো, আমার সঙ্গে আর ঝগড়া করবে না! অন্ততঃ, আমরা যখন ভালোবাসবো, তুমি রক্তের কথা তুলবে না! সেন্টাউরি যে হঠাৎ জ্বলে না, আমাকে বুঝিয়ে দাও তুমি! অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হেডেলবার্গ, গটিঞ্জেন খোলা? ওই তো, যারা বলে, বিশ্বযুদ্ধ... এই তো সেদিন হয়েছে! আর যারা একদিন এইসব আলো দেখেছিলো, তাদের কথাতেই মাঝে মাঝে আলফা সেন্টাউরি জ্বলে উঠছে। (৮) যুদ্ধের সময় খেলনা তৈরি হতো না! আমার মনে লড়াই লেগে আছে। তাছাড়া, এতো পুরনো কথা আমি কেন ভাববো? যাদের ভাবার কথা, তারা কি ভাবে? আমার হাতে কোনো দোষ নেই। তাও, আমার হাত ছবি আঁকতে পারে না। কোনো যন্ত্র চালাতে গেলে, ঠিকমতো অর্ডার পায় না। যাদের অর্ডার দেওয়ার কথা, তারা কি দেয়? আমাদের বাড়িটা যেন একটা বরফের রাস্তা। সেন্ট অ্যালবেনসের রাস্তায় মালিক আর চাকর... একসাথে থাকার জন্য একটা বাড়ি তৈরি হয়েছিলো। আসল কথা, যুদ্ধ হয়নি, তাও কি কেউ খেলনা দেবে? না দিলেই বোঝা যাবে, যুদ্ধ হয়েছে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register