Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪৯

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪৯

ফেরা

সেদিনের সন্ধ্যা আর রাতটি, আজো ভুলতে পারিনি। উখিমঠের ভারত সেবাশ্রম সংঘের অতিথিবাসটিকে যদি বর্ণনা করতে হয়, তাহলে বলতেই হয় ভয়ংকর সুন্দর। খাদের থেকে উঠে আসা সাততলা বাড়ি। রাস্তা যেখানে, সেটি বাড়িটির চতুর্থ তলা। গাড়ি থেকে নেমে অফিস ঘরে ঢুকতেই অধ্যক্ষ মহারাজ অভ্যর্থনা জানালেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি, আমাদের মুড়ি খাওয়ালেন, কতো গল্প করলেন। এই ভ্রমণের ৮ বছর পর, তাঁর সাথে আবার দেখা হয়েছিল কেদারে,তখন উনি সেখানকার মহারাজ। পুরনো কথা আলোচনার ফাঁকে, তাঁকে কথা দিয়েছিলাম আবার দেখা হবে। কিন্তু সে কথা আর রাখতে পারিনি। ২০১৩ সালের বন্যায় মহারাজ শহীদ হন। বালিগঞ্জের হেড অফিস থেকে যখন এই খবর জানতে পারি, চোখের জল বাধা মানেনি। ২০০৩ এর সন্ধ্যার কথাই বার বার মনে আসছিলো।
আশ্রমের ঘরে খানিকক্ষণ রেস্ট নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কাছে পিঠেই। আশ্রমের থেকে এই ২০০ গজ মতো দূরে একটি ঝুপড়ি দেখে বড়োরা চা খাবার সিদ্ধান্ত নেন, আর তারপরেই আবিস্কার সেখানে ডিমের অমলেট পাওয়া যাচ্ছে। আর যায় কোথায়। এতো দিনের আমিষ বঞ্চিত জিভগুলো সবার লকলক করে উঠলো। কতোদিন পর ডিম ও পেঁয়াজের স্বাদ পাওয়া। সেদিনের সেই হঠাৎ পাওয়া আমিষের স্বাদ চিরজীবন মনে থাকবে।
খেয়ে নিয়ে সবাই ঠিক করলো আজ আর না বেরিয়ে আড্ডা হবে। লেপ মুড়ি দিয়ে মোমের আলোয় আড্ডা আর মুড়ি, তারপর তাস খেলা। একটু পরে খাবারের ডাক এলো। ভাত, ডাল, পনিরের সব্জি দিয়ে জমজমাট ডিনার খেয়ে আবার লেপের তলায়। তারপর ঘুম, ঘুম আর ঘুম।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register