Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪৪

maro news
ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪৪

ফেরা

পরদিন ভোর ছয়টার মধ্যে রেডি হয়ে দেবাদিদেবের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে আমরা পথে নামলাম। চারিদিকে ভিড়, সবাই চলেছে কেদারনাথ দর্শনে। এদিকে গোমুখ থেকে নামার সময় আমার হাঁটুতে একটু চোট লেগেছিল, কিন্তু উত্তেজনার বশে টের পাইনি। একটু চড়াই ভেঙে বুঝলাম যে আজ ১৪ কিলোমিটার হাঁটা আমার কম্মো নয়। কি করি,দলের কাছে একটি ঘোড়া জোগাড় করার অনুরোধ করলাম। সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করা হলো যে আমি ঘোড়া নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘে পৌঁছবো।ঘর খুলে জিনিস পত্র রেখে সিধা মন্দিরে গিয়ে লাইন দেবো। পুজো দেওয়া হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। বাকিরা হেঁটে গিয়ে পরে দর্শন করবে। বোন যথারীতি পিট্ঠুর পিঠে যাবে, তবে তারাও হেঁটে যাওয়া বাকিদের সাথেই থাকবে। অগত্যা তড়িঘড়ি একটি ঘোড়া বুক করে এগিয়ে গেলাম।

সুন্দর বাঁধানো রাস্তা। বেশ বড়ো ঘোড়া, নাম পবন। একটু পরেই আমার সাথে তার দোস্তি হয়ে গেল, আমি একা একাই তাকে নিয়ে এগিয়ে চললাম। সহিস, কখনো এগিয়ে, কখনো পিছিয়ে চললো। চারিদিকে মনোরম দৃশ্য, যারা উঠছে বা নামছে সবাইকেই দেখলে জয় কেদারনাথ বলে সম্ভাষণ জানাচ্ছি। বড়ো ভালো লাগছিলো। বেশ খানিকক্ষণ পথ চলার পর সেই ঐতিহাসিক রামওয়াড়া চটি। কথিত আছে, পান্ডবরা মহাপ্রস্থানের পথে এখানে একরাত কাটিয়েছিলেন। আমরাও এখানে দাঁড়িয়ে নাস্তা সারলাম,পবনকেও তার বরাদ্দ ছোলা গুড় খাওয়ালাম নিজের হাতে। তারপর আবার পথ চলা।

বেলা আন্দাজ এগারোটা নাগাদ পথ ফুরোলো।ইতিমধ্যেই দেব দর্শনী থেকে একবার সেই কেদারনাথ মন্দিরের দর্শন পেয়েছি। মন ছুটে চলেছে আগেই, অতঃপর আমি গিয়ে পৌঁছলাম। পবন আর ওর সহিসকে এখানেই বিদায় জানাতে হলো। কতক্ষণের বা একসাথে পথ চলা, তবুও মনটা ভারী হয়ে উঠলো। একটু সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে গুটি গুটি পায়ে গিয়ে প্রবেশ করলাম ভারত সেবাশ্রম সংঘে।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register