Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে যুথিকা সাহা (গল্প - পর্ব ৬)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে যুথিকা সাহা (গল্প - পর্ব ৬)

দাসী

বাবার খাওয়া হয়ে যেতেই বললো ,তুই খেয়ে নে রে মা। তোর মা কখন আসবে, রাত হবে এতক্ষন বসে থাকার দরকার নেই । তোর মায়েরটা ঠিক করে রাখ তাহলেই হবে । মেয়ে বললো মা আসার আগেই,,,,,,,,,, বলতেই বাবা কেন তোর মা কি তোর জন্যে বসে থাকে? , সে তো তার সময় হলে খেয়ে নেয় কত সময় তোকে বাদ দিয়েই! সে আজ অনেক দেরী করে ফিরবে ,তুই ওঘরেই শুয়ে পড়িস,আর তোর মা এই সামনের ঘরে চাবি দিয়ে গেছে এসে ওখানে শোবে ---------- বলছিল তো ওদেরকে তখন,তারা দুটো শো দেখে আসবে । কই মা তো কিছু বলল না? তাই দেখছি ওঘরে তালা দেওয়া ! আচ্ছা তুমি যখন বলছো খাচ্ছি । জানো বাবা বুলি ওর মা আর ওর ভাইঝি এক সাথে ঘুমোয় এক ঘরে ,আর দিদি কত গল্প করে সেই বাংলাদেশের গল্প আর মাঝে মাঝে মন খারাপ করে । হ্যাঁ শুনেছি ওর মা খুব বড় ঘরের মেয়ে ,এই বাংলাদেশের গন্ডোগোলের জন্যে উনি দুভাই আরো আত্মীয় স্বজনদের হারিয়েছে ! শুধু এক ভাইকে আনতে পেরেছিল । সেই কষ্টে এখনো তার প্রাণ তো কাঁদবেই রে !!তবে মানুষটা খুব ভালো ।দিদি কখনও বুলিকে বকে না ,কিছু দোষ করলে বুঝিয়ে বলে ...... মা তো ,,,,,,,, বলেই চুপ হতেই ..... বাবা -তোর মা তোকে বকে,মারেআমি সবই দেখি রে মা । যেদিন আমার পয়সা কমে গেল ,ব্যবসা বানিজ্যের অবস্থা খারাপ হতে লাগলো ,সেই থেকেই আর আমার ও করার কিছু ছিল না। আমারই দোষে সব পন্ড হলো বলে মাথা নিচু করে ঘরে গেল ........ টুকি বুঝতে পেরে গেছে তার বাবার কথা । সে খেয়ে শুয়ে পড়লো ,কিন্ত ঘুম তো তার কিছুতেই আসেনা -----তাকে কে যেন পেছন থেকে বার বার বলে যাচ্ছে ..... "তোমায় আমি ভালো বাসি..ভালোবাসি ,তোমায় আমি ভালোবাসি খুউব খুউব.... ..." ! ভাবতে ভাবতেই স্বপ্নের ঘোরে বিভোর হয়ে স্বপ্নরাজ্যে ঘুমিয়ে পড়লো ... এই করে তার দিন যায় ।একদিন মিতু এল বললো,এই তুই অনেক দিন হল আমাদের বাড়ি যাচ্ছিস না কি রে ?.. ও মাসীমা ভালো আছেন তো? হ্যাঁ এখন ভালো রে । ও যাচ্ছে না কেন বিকেলে আমাদের বাড়িতে? আমার মাও বলছিল ----ওর মা বললো সন্ধ্যা বেলায় ওর গেলে চলে, ওর কাজ থাকে তো .....সন্ধ‍্যে পুজো আছে না ! ওতো এখন কলেজে ও যায় না ,বাড়িতে একা থাকে তাই বলছিলাম যে, এতদিনের বন্ধু মন খারাপ লাগে । আগে সবাই তো আমরা বিকেলে মণিমেলায় যেতাম । কাল বাড়িতে গোপালের পুজো তাই মা আর ঠাকুমা পাঠালো - ওকে যেতে বলেছে । সবাই আসবে তো ওকে পাঠিয়ে দেবেন কাল কেমন মাসীমা । বললো যাবেক্ষন । টুকি যেন হাতে চাঁদ পেলো ----সে গেলো পরদিন ওদের বাড়ি । টুকি যেতেই মিতু বললো--- এই তোর চিঠি এসেছে তাই জন্যই গেছিলাম ....... আরে আমাদের বাড়ি গোপালের পুজো রোজ হয় ,আমার ঠাকুমা ওই দায়িত্বে ও রোজ যা তৈরী করে বড় পুজোর মতোই বুঝলি ! মালপোয়া তো বারোমাস হয় আরো সব তো হয় ।দেখবি আরতি হবে ও ঠাকুমা একাই একশো ।আমরা পাঁচ বোন কাউকে ডাকে না এমন কি মাকেও না নিজেই করে । উনি মেয়েদের দিয়ে কাজ করানো বিশেষ পছন্দ করে না। বাবা কে বলে দেখ নন্দ এই নাতনীরাই আমার ঘরের লক্ষ্মী ,ওদের দিয়ে কি কাজ করাবো হাতে কড়া পড়বে যে !! এই সংসারে আমার বৌমা ও লক্ষ্মী মন্ত । আর বে হলে বাপু কোন ঘরে পড়বে কি করাবে মরার মিংসে গুলো কে জানে !! তবে আমিও কমলা দেবী ও ছেলের গুষ্টির সব দেখে তবেই বে দেবো অত সহজ নয় এই তোকে বলে দিলুম । আমার নাতনীরা ফেলনা নয়!! কি ভালো তোর ঠাকুমা বল ? হ্যাঁ রে আমাদের বলবে লেখাপড়া করো মন দে ,হাতা খুন্তি তোমাদের নাড়তে হবে নে মা জননী ..... কত গল্প বলে জানিস ঠাকুমা । আমাদের বাড়িতে দোলের সময় ঠাকুযমা কৃষ্ণ সাজবে আর আমি রাধা ---- আবীর, রঙ খেলি সবাই মিলে । কাকিমা চলে আসে ধানবাদ থেকে বলে ধুর ওখানে কেমন জায়গা ভালো লাগেনা ,এখানে কত আনন্দ । কাকিমা তো আমাদের বন্ধু আমরা সব বিষয়েই গল্প করি জানিস...... এক্কেবারে মাই ডিয়ার বুঝলি ! এবার এলে একসাথে আমরা ঘুরতে যাবো কেমন ....... যা বলছিলাম শোন তোর চিঠি এসেছে ,ছাদে যাই ওখানে গিয়ে তুই চিঠি পড়। না না তুইও থাক। না তোকে ভালোবাসার কথা লিখেছে তুই দেখ পাগলী ! না তা হবে না তুই না হলে আমিও পড়বো না .... তুই কি মেয়ে রে .!!!. না শুনবো না তুই আয় তবেই ,,,,,,, উফ্ বাব্বা চল চল খোল দেখি ওমা কি সুন্দর ছবি আঁকা রে !! এই টুকি এটা তোর ছবি তো? ওইই সেদিন তুই নীল রঙের জামা পরেছিলি তো? হ্যাঁ তাই তো। কি দারুণ এঁকেছে সুকান্তদা ...!! সত্যিই তোকে ভীষণ ভালোবাসে রে .. জানিস মন থেকে ভালো না বাসলে এত সুন্দর করে নিজের প্রেমিকার ছবি আঁকা যায়না ‌। আমরা তো আজ থেকে দেখছি না ওকে আর ওদের বাড়ির মানুষজনকে খুব ভালো । ওর জেঠুর ছেলে লন্ডন থাকে খুব ভালো রে, ওদের বাড়িতে সবাই যেমন লেখা পড়া করে সাথে গান বাজনা এসবের চর্চা করে । ওর বাবা ও খুব ভালো তবলা বাজায় ,সেতার ও জানে । মাও খুব ভালো গান গায়---- আমার ঠাকুমার কাছে শোনা ওর মায়ের গান শুনে ওর বাবা মেয়ে দেখতে গিয়ে সবার সামনেই নাকি বলে বসে আমি এই মেয়েকেই বিঁয়ে করবো ..! তখন কার দিন ভাব একবার !! ওর মা তেমন লেখা পড়া জানেনা খুবই গরীবের মেয়ে । ওর দাদু মেয়ের চোখ দেখেই বলেছিল এর মধ্যে কোন হিংসা ,লোভ নেই ,আছে মনে ভক্তি আর ভালোবাসা । এইই অনেকটা না তোর মতো,,,,, বলেই দৌড় ..... এই চলে গেলি কেন ? শোন শোন শো....ন। ও আড়াল থেকে দেখছে যে ও চিঠিটা নিয়ে বসে আছে ,আর বলছে ,ধুর তুই কি যে করিস না! ওদিকে বাড়ি না গেলে তাড়াতাড়ি আবার বলতেই দেখলাম ওর কষ্টটা মুখে ফুটে উঠল ,ঈস !! ওর মা কেমন যেন ,ওকে দেখলেই কষ্ট লাগে ,কত ভালোছিল লেখা পড়ায় ...
এই নে পড় এবার । তুই চলে গেলি কেন? বিঁয়ে হলে কি আমাকে সতীন করে নিয়ে যাবে খুকি ? আর কি হাসি ..... ওরে বাবা তুই কত কথা জানিস ..! চিঠিতে সুন্দর করে লিখেছে ,যে আজ একটু সময় পেলাম পড়ার খুব চাপ , কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে দেখতে, মনে হচ্ছে তোমার কাছে ছুটে চলে যাই ,আর সেই অরবিন্দ আশ্রমে বসে বসে সব মনের কথা বলি ..... আচ্ছা তোমার কিছু ইচ্ছে হয়না ? আমার ইচ্ছা হয় বলেই তো তোমাকে খুব ভালো করে দেখেছিলাম সেদিন আর মনে ভেবেই রেখে ছিলাম তোমার ছবি এঁকে তোমায় পাঠাবো ,তুমি আমার আঁকা ছবিটা মিলিয়ে দেখো তোমার সাথে ঠিক মিললো কিনা ---আচ্ছা তুমি স্বপ্ন দেখো ? জানো আমি দেখি তোমায় ঘুমের মধ্যে ----"তুমি চুলে দুই বিনুনী করে ফ্রক পরে এসেছো মিতুদের বাড়িতে ,আমাকে নিয়ে কথা বলছো ,তুমি কলেজ যাচ্ছো শাড়ি পরে .......আরো আরো কত কি...."। আরো দেখি জানো আমিও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেছি, আর তোমাকে আমাদের ঘরে নতুন বৌয়ের সাজে নিয়ে এলাম ,বাড়িতে তোমাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে .....আর রাতের বেলায় আমাদের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দুজনে ওই চাঁদ দেখছি আর তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে তোমাকে মন ভরে দেখে বলছি ,"এই তো আমার সেই চাঁদ যে আকাশ থেকে নেমে এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে" ... তখনি তোমাকে পাঁজকোলা করে তুলে একবারে বিছানায় ফেলে চাঁদপানা মুখে আলতো ছোঁয়া দিয়ে এই আলোর জোছনায় দুজনের অঙ্গ ভিজিয়ে নিচ্ছি... ...!!" ঘুম ভেঙে যেতেই অনেক ক্ষন বসে থেকে তার পর আমি যেন নিজের মধ্যে ফিরি ...... তবে এখানে এসে একটা বাজে অভ্যাস হয়েছে সিগারেট খেতে হচ্ছে ,কারন সেটা হল "তুমি"...তোমাকে না দেখতে পাওয়ার জন্য ,ওদিকে আমার পড়াশোনায় টেনশন যাতে না হয় তাই-----ওটাই তো আমার কেরিয়ার ..ওটা পূর্ণ হলেই তো আমি তোমাকে আমার করে নিতে পারবো । এতে কোন বাঁধা আসবে না ।আমার মাকে সব বলেছি ,মা বলেছে তোর যাকে পছন্দ তাকেই বিঁয়ে করিস , আমাদের বাড়িতে কে আপত্তি করবে শুনি? তোর বাবাকে বললে বলবে ,কালই আশীর্বাদ করে রেখে আসি ,কিন্ত আমিই মাকে বললাম বাবাকে বোলো না । আমি তোমার সব ব্যাপারটাই জানি তাই তোমার ওপর চাপ পড়ুক আমি চাই না ,আমার এদিকের অবস্থা দেখে মাকে বলেছি তার পর বাবা কে বলতে ... আমার বাবা খুব হৈ হুল্লোর মানুষ ,সবসময় আনন্দ করতে ভালোবাসে শুধু নিজেকে নিয়ে নয় সবাই কে তার চাই ..! তোমার জন্য খুব কষ্ট হয় ,পড়াটা বন্ধ হয়ে গেল ..! দেখি বিঁয়ের পর তোমাকে আমি পড়াশোনার ব্যবস্থা করবো তোমার ইচ্ছে অনুযায়ী পড়বে ,শুধু তোমার ইচ্ছে গুলো যাতে আমি পূরন করতে পারি তবেই না আমি পুরুষ মানুষ! মেয়েদের ইচ্ছেকেই যদি দাম দিতে না পারি তাহলে আর কি হলো? মেয়েরা মাথা উঁচু করে বাঁচুক এটাই আমি চাই জানো ? ভালো থেকো নীচে ঠিকানা দেওয়া থাকলো .. আর হ্যাঁ সব কিছু মন খুলে লিখবে ,ভয় নেই আমি পালানোর ছেলে নই ,একবার যখন ভালো বেসেছি তার ভাগ আর কাউকে দেওয়া যায়না বুঝলে ! আমি শুধুই তোমার...... আর তোমার অপেক্ষাতেই থাকবো ....। পুজোয় বাড়ি যাচ্ছি কেমন,ও একটা কথা তোমার একটা নাম দিয়েছি .............................. সঞ্চিতা পছন্দ কিনা লিখে জানিও। কলম যেন আরো লিখতে চাইছে ,সময় দৌড়ে যাচ্ছে তাই ইচ্ছে থাকলেও কলমের গতি কমাতে হল ...! কবে গিয়ে যে তোমাকে সামনে থেকে দেখবো উফ্ফ্ ....!!! ভালোবাসায় ভরিয়ে চিঠিখানা দিলাম তোমায় "আমি তোমার সুকান্ত ... তুমি আমার সঞ্চিতা"! ...... নিজের খেয়াল রেখো কেমন .......
দুজনে পড়ে মিতু বলে উঠলো দেখ তোকে বলেছিলাম না কেমন ভালো ছেলে ....দুজনেরই চোখ ছলছল করে উঠলো, বললো তুই লিখে আমায় দিস আমি পোস্ট করে দেবো ... চল আরতি শুরু হয়ে গেছে ,পুজো হলে প্রসাদ খেয়ে যাবি ।এই শোন তুই না কবিতা লিখতে পারিস ,একটা লিখে দিস।ওর ঠাকুমা সবাইকে প্রসাদ দিচ্ছিল ওকে দেখে বললো কিরে মনা কখন এলি মা ? এই তো ঠাকুমা তোমার গোপালের প্রসাদ খেতে। খুব ভালো ও মিতু ওকে ওই নাড়ু ,মালপোয়া বেশী করে দে তো খেয়ে যাক ।শোন ওদের বাড়ির জন্য ও দিয়ে দিস । এর মধ্যে প্রায় সাতটা বেজে গেছে ওতো ঘড়ি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ ,বললো আমাকে দিয়ে দে দেরী হয়ে যাবে বাড়ি গিয়ে আবার ,,,,, বলতেই ওর ঠাকুমা বললো খাওয়া ফেলে উঠতে নেই মা,খেয়ে যা মনা একটু দেরী হলে কি আর হবে নে খেয়ে নে ।এর মধ্যেই অমলের বাবা কে ওর মা পাঠিয়েছে -----তুমি এখানে কখন এসেছো ? ওদিকে তোমার মা তোমার জন্য কোথায় যাবে বেরোতে পারছে না ? ও বললো মা যে বললো আসতে তাই এলাম ‌। মা বেরোবে কিছু বললো না তো ? ওহ্ দাঁড়াও না বাপু মেয়েটা এতদিন পরে এলো প্রসাদ খাচ্ছে তার পর যাবে । নাও দেখি ধরো তুমিও খাও ওর ঠাকুমা ধমকের সুরেই যেন বলে উঠলো....! বাড়ি আসতেই ওর মা বললো তুই কখন গেছিস শুনি এতক্ষনে তোর সময় হলো? তুমিই তো বললে যেতে। কি করতে যাস? এখন তো আর লেখাপড়া নেই ধিঙ্গিপানা করা না? ---মনে করো আমি কিছু বুঝিনা একবার চেলা কাঠের বাড়ি খেয়ে হয়নি ! দেখাচ্ছি মজা এই বলে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি চড় ,থাপ্পড়, কিল সে মেরেই যাচ্ছে ,অমলের মা দৌড়ে এসে টেনে ধরে বলল কিগো তোমার হুস জ্ঞান নাই ?ওইরম কইর‍্যা মারে বয়েস্তা মাইয়্যা ? না মারবে না মাগীর তেল হয়ে গেছে ,আমার কোন জায়গায় যাওয়ার জো নেই ---বাপতো একটা শয়তান ! তার মেয়েও হয়েছে ওইরকম ওই মিংসে ধরতে গেছিল .. ঈস !!কি কথা কও দেহি ,তোমার পেটের মাইয়্যা না শত্তুর? ওর জন্য আমার সব সময় কথা শুনতে হয় । টুকিতো কেঁদেই চলেছে, অমলের মাকে ধরে বলছে পিসি বলতে পারো আমি কি অপরাধ করেছি ? আমাকে বিষ দেবে আমি খেয়ে একেবারে শেষ হয়ে যাই ...ওই কথা কইসনা মা সবই কপাল ...। এর মধ্যে মনা আইস্যা কইল দিদি আইজ ভিডিও হইবো না ,মেশিন খারাপ .. টুকির হাতের গোপালের পুজোর মালপোয়া,নাড়ু,ফলের ঠোঙাখানা মাটিতে ছিটকে পড়ে গেলো... ..! অমলের মা কইলো ও প্রসাদ খাইতে গেছিলো ছেমরিটা ? ও কালকা কইয়্যা গেসিল অহন বুঝলাম কই গেসিলো । মনু কইলো এর লাইগ্যা কেউ মারে ? ঈস দিদি যে কি মানুষ!! সত্যিই মনে হয় যেন সতীনের মাইয়্যা .. আমাগো ঘরেও তো মাইয়্যা আছে কোন সময়ের লাইগ্যা ও গায়ে হাত উঠাই না ‌। ঠিক মত মাইয়্যা রে খাইতে দিতে পারিনা আর কি কমু ... কয়দিন তো আমার কাছে ও যায়না ---আগে তো চুল বানধার লাইগ্যা যাইতো ,কইতো আমাকে বিনুনী করে দাও মনা মাসি তুমি ভালো বিনুনী করতে পারো । চল মা ওঠ ওঠ .... প্রসাদ গুলা তোল দেহি মনা ঠাউরের প্রসাদ বইল্যা কথা পাপ হইবো....! আর কি পাপ হইবো গো অমলের মা মাইয়্যা মানুষের গায়ে হাত তোলন হইলো মহাপাপ ---আমার মা তো সবসময় কয় মাইয়্যা মানুষের গায়ে তোলন তো ঘরের লক্ষ্মী ঠাকুরের সমান ! এতে ঘরের লক্ষ্মী থাকে না গো,,,,,, আগে তো ওগো কতো কিছু ছিলো ...... চোখ মুছতে মুছতে বললো মাইয়্যাটার জন্য খুব খারাপ লাগে গো .. .ভিডিও তো হইলোই না উল্টা মাইর খাইলো ছেমরি . .... চল তোর মারে চা কইর‍্যা দি ,মাথা ঠান্ডা হউক .. ওনার কপালে কষ্ট আছে মনে মনে কইল আমলের মা,,,,,,,, বিনা দোষে এইডা কেউ করে ...ছ্যা ছ্যা নেহাত কাম করি অনেক দিন তাই মায়া পইর‍্যা গেসে ছাড়তে পারিনা ! ভগবান রে কই তোর একখান ভালা পাত্তর জোগাড় কইর‍্যা দিক। আমারো তো তেমন কিছু নাই যে দিমু রে মা ... হাঃ ঠাউর তুমিই দেইখ্যো .......
এগিয়ে যাবে আরো কিছুটা ক্রমশ প্রকাশ্য....
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register