Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক রম্য রচনায় সংযুক্তা দত্ত - ২৪

maro news
ধারাবাহিক রম্য রচনায় সংযুক্তা দত্ত - ২৪

থ‍্যক্নস গিভিং

নাচ নিয়ে অনেক গুরুগম্ভীর আলোচনা হল। অনেক অনুষ্ঠানের মজার গল্পও হল। এখন ক্রিসমাস অর্থাৎ যিশুপূজার সময় চলছে। তা ক্রিসমাস মানেই তো সান্টা ক্লস আর তার ঝোলা ভর্তি গিফ্টের কথা মনে পড়ে, তাই না? যারা আমায় ছোট থেকে চেনে তারা জানে, যেমন সাধারণ মানুষের মাঝে মধ‍্যে সর্দি কাশি জ্বর হয়, আমার মাঝে মধ‍্যে সর্দি কাশি জ্বর কমে মানে প্রায় সারাক্ষণই ভুগি। নাচতে নাচতে কাশির গল্প তো সেই প্রথম শিয়ালের পর্বেই বলেছিলাম। একটা অদ্ভুত যোগ ছিল, আমার নাচের ফাংশন এলেই জ্বরে পরতাম। বেশিরভাগ অনুষ্ঠানেই এরম হয়েছে যে প্রচন্ড জ্বরের জন‍্য স্টেজ রিহার্সালে যেতে পারি নি। অনেক ডাক্তার ই বলতেন যে নাচ ছাড়িয়ে দিতে কারণ নাচ করলে ঘাম বসে গিয়ে আমার জ্বর আসত। কিন্তু নাচযে ছাড়ে নি তার কৃতিত্ব আমার মার। সবরকম পরিস্থিতিতেই মা আমাকে নাচটা চালিয়ে যেতে সাহায‍্য করেছিল। তাই আমার নাচের সান্টা হল আমার মা। এর সঙ্গে বলতেই হয় কাকিমা ও কাকার কথা যাদের জন‍্য আজও প্রবাস থেকে ফিরলেই স্টেজ রেডি পাই। আর বাবার সমর্থনটা থাকে নীরবে, আমাকে প্রশংসা করবে না কিন্তু অন‍্য কেউ প্রশংসা করলে তখন বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে। আর আমার মেয়ে, সে তো আমারই মতন নাচ পাগল আর তার সরব সমর্থন ও ইন্ধন ছাড়া এই সেকেন্ড ইনিংস শুরু করা সম্ভব ছিল না। এই যে আমার লকডাউনের সময়ের প্রচুর প্রচুর ভিডিও, এত অনলাইন লাইভ প্রোগ্রাম তার পিছনে সবসময়ই খুশির সাপোর্ট ছিল। আর একজনের নাম না বললে এই থ‍্যন্কস গিভিং অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, সে হল যাকে বলে লাস্ট বাট নট দ‍্য লিস্ট, আমার বর অরিজিৎ, সে যদিও একেবারেই অন‍্য জগতের বিচরণ করে কিন্তু এই পাগলামি গুলোকে শুধু সাপোর্টই করে নি তার ব‍্যস্ত সিডিউল থেকে সময় বার করে আমাদের যুগলবন্দী ( আমার আর খুশির ) ভিডিও করে দিয়েছে হাসিমুখেই ( হয়ত লকডাউনে পালাবার পথ ছিল না তাই)। সে যাই হোক, এছাড়া আমার অসংখ্য বন্ধু বান্ধবও আমাকে নিরন্তর উৎসাহ দিয়েছে ও দিয়ে চলেছে। তাদের গল্প নিয়ে আসব আবার পরের পর্বে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register