Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ১১২)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ১১২)

রেকারিং ডেসিমাল

গল্প কাহিনী উপন্যাস, কখন যে দিব্যি জমাটি মজার বাঁক থেকে ট্র‍্যাজেডির দিকে ঘুরে যায়। কে এমন তুখোড় গল্পকার, বসে জলচৌকি পেতে লিখে চলেছো একের পর এক রামধনু রঙ গল্পগুচ্ছ। আহা, মনের গভীরে ধাক্কা দিয়ে তোলপাড় করে ফেলে মানুষকে অহরহ। কি বুনট, কি চমক, কি মোচড়!! নবরসের এমব্রয়ডারি সময়ের থান কাপড় জুড়ে আঁকা হয়ে চলছে তরতর করে। মানুষ দেখতে দেখতে কাঁদছে, হাসছে , কখনও আতঙ্কে ছটফট করে উঠছে, কখনও আল্লাদে গলে জল হয়ে যাচ্ছে। গল্পেরা থামছে না। টাইপ হয়ে চলেছে খটাখট খটাখট… বেরিয়ে আসছে ফসফস করে টানা লম্বা কাগজ। সময়। দেখতে দেখতে বেনারসি কাপড় কেনা, গঙ্গাস্নান, একেবারে রাজকীয় শয়ন আরতি দেখাও হয়েছিলো। হলিডে হোমের মালিক মিশ্রজী বিশেষ ব্যবস্থা করে গভীর রাতে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে এনেছিলেন সেই আরতি। ডাক্তার মা যায়নি। সে তার দুই ছানা নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো। পর দিন সকালে শ্বাশুড়ি মা কলকল করে কত গল্প করলেন। —- গেলি না তো। কি মিস করলি জানিস না। হাজার হাজার প্রদীপের ঝাড় উঠছে নামছে এক সাথে, আর সেই মন্ত্রোচ্চারণ আহা আহা। পুরোহিতদের কি চেহারা রে! চট্টানের মত! মিশ্রজী বললেন, এরা সব আবার কুস্তির আখড়ায়ে ও যায়, বুঝলি? ঘুম ঘুম চোখে হাসে বৌমা। যাক তোমার সাধের বিশ্বনাথ দর্শন, হল তো? হ্যাঁ হ্যাঁ। উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে পুণ্য অর্জন করে তৃপ্ত মন। সে হল রে। সত্যি। সব ফাঁক যেন ভর্তি হয়ে গেল, সত্যি। কি দেখলাম রে। মনে হচ্ছে আর কিছুটি চাইবার নেই। মনের মধ্যে কেমন যেন করে ক্ষুদ্র ডাক্তারের। তারপর আজেবাজে চিন্তা সরিয়ে দিয়ে প্যাকিং শুরু করে। বিকেলেই ফেরার প্রস্তুতি। বাড়ি গিয়ে পৌঁছলে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register