কবিতায় দেবযানী সেনগুপ্ত
মেয়েটা
নদীর ওপারে ছিল তার বাড়ি,
মিষ্টি মেয়েটা কথা বলত,
নদীর জলের মতন কলকল করে,
গান গাইতে পারত মধুর সুরে।
নাচত পায়ে নুপুর পড়ে,
তেরোর মেয়েটা স্বপ্ন দেখত,
অনেক বড় নৃত্যশিল্পী হবার,
স্বপ্নটাকে জাপটে ধরে বাঁচতে শিখল।
কিন্তু, কি কপাল নদীর ভাঙনে,
তলিয়ে গেছে ঘর, আর মেয়েবেলাটাও,
একটা বাড়িতে আশ্রয় পেল সবাই,
কিন্তু, মেয়েটা কোথায়?
রাতে জল বেড়েছিল,
ঘুমের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে,
দিল দৌড় সবাই, মনে নেই তখন!
ভোরের আলোতে দেখল,
মাঝ নদীতে উপুর হয়ে, ভাসছে।
দুই একটা কাক শকুন ও বসেছে,
হাহাকার ভারি হল পথ ঘাট জঙ্গল,
শূন্য বিষন্ন হৃদয়ে নুপুরগুলো, হাওয়ায় দোলে,
আর ওদের নিয়ে কেউ,
দেখবে না স্বপ্ন, ওরা ঝুলবে ভাড়াবাড়ির স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার দেওয়ালে॥
0 Comments.