- 28
- 0
উষ্ণতা
যিনি বীজ পুঁতে প্রতি মূহুর্তে অপেক্ষার প্রহর গোনেন
তারপর দু'পাতা বেরলে গোড়ায় জল দান করেন
সেই গাছ ডালপালা বিস্তার করলে আনন্দে আত্মহারা হন
জগৎ ভুলে দেখতে থাকেন
তারা আলো হয়
ছায়া হয়ে স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে দেয় চারিদিকে
কুঁড়ি হয় ফুল ফোঁটে ফল দেয়
মা পাখি কী পরম মমতায় ডিমে তা দেয় বাচ্চা ফোঁটায়
খাবারের জন্য মায়ের ঠোঁটে ঠোঁট রাখে ছানারা
মা-ই তো তাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
মায়ে-পোয়ে কী বিস্ময়কর জগৎ সংসার
আবার তারাও বড়ো হলে ডানা মেলে উড়ে যায়
দূর অজানায়
তারাও স্বাধীন হয় কাছ ছাড়া হয়
তবুও আনন্দিত হয়
দুচোখ ভরে দেখে
গর্বে বুক ভরে যায়
এ-তো আমারই সৃষ্টি
ঈশ্বরের অকৃপণ দান
শুয়োপোকাও একদিন প্রজাপতি হবেই
বাহারি পাখা মেলে উড়ে যাবেই জানে
তবু খুশি হয়ে বলে বাঃ বাঃ কী সুন্দর!!
এমনি করেই পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় ভালোবাসা
জন্ম হয় নতুন নতুন প্রাণ
প্রাণের পরশে ভালোবাসার উষ্ণতা
আর এই ভালোবাসার বিন্দু বিন্দু কণার জমাট বাধা শিখরে
অবস্থান করেন যিনি
যিনি ভালোবাসার বীজ পুঁতে দেন জীবনভূমিতে
আর অপেক্ষা করেন কখন দু পাতা বেরবে
মাটিতে কান পেতে মাটির তলায় জীবনের হৃৎস্পন্দন অণুভব করতে কান ও মনকে এক বিন্দুতে মেলাতে কঠিন পণ করেন
তিনি আমার মা
আ--মা--দে--র 'মা'
0 Comments.