Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৮২

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৮২

ফেরা

পরেরদিন ভোরবেলা। ডাবলাদার ডাকে যখন ঘুম ভাঙলো, তখন ঘড়ি বলছে ভোর পৌনে চারটে। আগেরবার এতো ভোরে ওঠার কোনো দরকার পরেনি, কারণ তার আগেরদিন পুজো দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার পুজো দেবো ভোরেই। অত ভোরেও কিন্তু আশ্রমের ব্রহ্মচারীরা আমাদের অবাক করে দিলেন। বাইরে বিশাল এক হাঁড়িতে টগবগ করে গরম জল ফুটছে। এক ভারী ঘরে ঘরে ঝটিতি পৌঁছে দিয়ে আসছে। লোকে স্নান সেরে শুদ্ধ হয়ে পুজো দিতে যাবে।। ঐ কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গরম জলে স্নান সেরে শরীর মন ফুরফুরে হয়ে গেল। কি আরাম, কি আরাম। ফুরফুরে মন নিয়ে মন্দিরে ঢুকতেই মন আরো খুশী। মন্দির খাঁ খাঁ করছে, একমাত্র আমাদের দলের যাত্রীরা ছাড়া আর কেউ কোথাও নেই। একটু অপেক্ষা করতেই গমগমে ঘন্টার আওয়াজ সহকারে দরজা খুললো। আমরা কজন মন ভরে বাবার আরাধনা করলাম। বাবার যে মূর্তি আছে তাঁকে জড়িয়ে ধরে থাকলাম বেশ কিছুটা সময়। তখন যেন মনে হচ্ছিল আমাদের ঘরের কাউকে আলিঙ্গন করে আছি। একটু পরে বাইরে বেরোই।ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে, সূর্যের দেখা নেই। সংঘে ঢুকতে না ঢুকতেই শুরু হলো প্রচন্ড বৃষ্টি। আমরা এলার্ম দিয়ে যে যার কম্বলের ভেতর গিয়ে ঢুকলাম। বেলা এগারোটা নাগাদ বেরানো। কি আরো পরে। উৎরাই পথে ঘন্টা তিনেকে গৌরীকুন্ড। সেখান থেকে গুপ্ত কাশী। ব্যসস। সংঘের টিনের চালে বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে কখন আবার ঘুমিয়ে গেছি, খেয়াল নেই।।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register