- 4
- 0
জ্ঞানী পেঁচা বলল, ইন্দ্র-দা চলবে । খুব দয়ালু এবং শিল্পী । নন্দ-স্যার এবার বললেন, আরেকজন হচ্ছে শ্রোত্রিয় । আমার ছাত্র । বিমর্ষ হল পেঁচা । সে বলল, শ্রোত্রিয় একবার পাখির ডিম নষ্ট করেছিল । তখন টিকটিকি বলল, এখন ভালো হয়ে গেছে । খুব ভাবে । নন্দ-স্যার আশ্বস্ত হলেন । টিকটিকি বলল, স্যার – আর কেউ থাকবে না তো ! কান্তু আর পল্টন । আর কেউ নয় । জ্ঞানী পেঁচা বলল, ঠিক আছে মানলুম । কান্তু আর পল্টনকেও নিলাম আমরা । চশমা-পাখি বলল, ভবিষ্যতে এরা সাহায্য করবে তো স্যার ! আলবাৎ করবে । বেশ চেঁচিয়ে বললেন নন্দ-স্যার । তারপর বললেন – মার্কসের নীতি খারাপ নয় । তবে অহেতুক রক্তপাত হতে পারে । প্রথমেই হিংসার পথ নেওয়া ঠিক নয় । টিকটিকি বলল, স্যার – আজ রাতেই শুরু হবে । হ্যাঁ, মুক্তধারা মঞ্চে । সক্কলকে খবর দাও । ভোট হবে । ওরা চলে গেলে নন্দ-স্যার দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ নিয়ে বসলেন । না-প্রাণিদের পক্ষে শক্ত । এছাড়াও ওদের লড়াই মানুষের অত্যাচারের বিরুদ্ধে । মৌমাছিদের মৃত্যু-দৃশ্য তিনি দেখেছেন । মর্মান্তিক । মৌমাছি হুল ফটালে এমন কিছু হয়না । কয়েকদিন পরেই ব্যথা কমে যায় কিন্তু সেই কারণে নির্বিচারে হত্যা – মেনে নেওয়া যায় না ।
0 Comments.