Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সম্পাদকীয়

maro news
সম্পাদকীয়

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

তার থিম, #BreakTheBias। বায়াস অর্থাৎ কিনা একদেশদর্শীতা। তাকে ভাঙতে গেলে একে অপরের কথা একটু ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। বুঝতে হবে। সহ্যশীল হতে হবে।

মেয়েরা যদি আগেই, " সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন " মার্কায় দাগানো হয়ে যায় ত সেটা আর হবার জায়গা থাকে না। বিশেষত, তার নিজের ঘরে।

এই খানেই সবচেয়ে বেশি মুস্কিল।

বাইরে তবু লড়াই চলে, জিতেও যায় মেয়েরা।  কিছু সম্মান আদায় করে কর্মক্ষমতা দেখাতে পেরে।

কিন্তু বাইরের মহিলাকে ভদ্রমহিলা বলে যে সম্মান ভদ্রলোকেরা দেখান,  সেটা বেমালুম উবে যেতে চেষ্টা করে, যেই সেই মহিলা তার পরিবারভুক্ত হয়। ঘরের চৌকাঠ পেরোলেই যেন,অর্থের বিনিময়ে  কাজ করতে আসা মেয়ের সাথে ঘরের নারীর কোন পার্থক্য থাকে না। পুরুষ কর্তাব্যক্তিরা এদের সাথে হুংকার এবং ফরমায়েশি কন্ঠস্বরই বরাদ্দ রাখেন।

কেন যে কে জানে। কারণ দুই দল মহিলারাই এদের দৈনন্দিন সমস্ত আরামের জোগান দিয়ে চলেন অহরহ। সে ক্ষেত্রে, বরং এদের কাছেই কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ নয় কি? নিদেন একটু ভালো ব্যবহার, মিষ্টি কথা। হাতের কাছে জামা, খাবার, পয়সা পেলে একটু ধন্যবাদ জ্ঞাপক হাসি?

শ্বশুরবাড়িতে ছেলেদের দাম একটু বেশি।  সেখানে এসে আমার ধাক্কাটা বেশি লেগেছিল  কারণ আগের অর্ধেক একেবারে উল্টো। আমি একমাত্র সন্তান, তাই ছেলের মতই চিত্রাঙ্গদা হয়ে বড় হয়েছি। আগে ভাইবোন নেই বলে এত ঘ্যানঘ্যান করতাম,  চাকুরে মা বলতেন, অফিস করে এক তোমার পড়াশোনা নিয়েই পাগল,  আর পারব না। অনেক পরে, যখন নিজে মা হয়ে সংসার করছি, আর বাবা মা আমাদের সন্তানদের সামলে আমায় কাজ করার সময় তৈরী করে দিচ্ছেন, একদিন বললেন,  এখন কি বুঝতে পারছ,  আজ এ বাড়িতে একটা ছেলে থাকলে তুমি বহিরাগত হতে?  এটা তোমার ভাইয়ের বউয়ের সংসার হত?  আমি তোমার কোন ভাগীদার চাইনি। তাই অনেক লড়াই করে তোমাকে একা রেখেছি। আজ ৫২ বছর পরে বুঝি, সেটা কত বড় নারীবাদী যুদ্ধ। আর কুর্নিশ করি রোজ সেই লড়াকু মানুষটিকে।

সোনালি

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register