Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১২০

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১২০

ফেরা

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ববস ক্যাফে। চিকেন বার্গার আর মধু চা দিয়ে সকাল ভালোই শুরু হলো তিনজনের। বেলা আন্দাজ সাড়ে আটটায় একগাল হাসি নিয়ে কর্মা এসে হাজির। আজকে আমাদের প্ল্যান লেহ শহরের আশপাশ ঘুরে দেখা। আবার ৪০ কিমি মতো উজান যাত্রা। ঘন্টা খানেকের মধ্যে চলে গেলাম হেমিস গোম্ফায়। ১৬৭২ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চলের বিখ্যাত রাজা, সেনগে নামগয়াল এটি তৈরি করেন। তবে সেটি নতুন গোম্ফা। এর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো। এক সাংবাদিক ১৯ শতকে দাবি করেন যে খ্রীষ্ট স্বয়ং কয়েক বছর এখানে কাটান। তবে এর অনেক পক্ষে বিপক্ষে মত আছে। পক্ষে অন্যতম দাবীদার ছিলেন স্বামী অভেদানন্দ। তবে যে পুঁথি দেখে ওনারা এই দাবী করেন, পরবর্তীতে সেটির আর খোঁজ মেলে না। গোম্ফা দেখে ভালো লাগে। ভীষণ শান্ত পরিবেশ। একবার মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে এখানে থেকে যাই। লামাদের সাথে আলাপ হয়। জানান, আর এক মাস পরেই গুরু পদ্মসম্ভবের উদ্দেশ্যে বাৎসরিক উৎসব হবে। আমাদের আমন্ত্রণ জানান, ইচ্ছা হয় অদুর ভবিষ্যতে এখানে আসার।ওখান থেকে বেরিয়ে স্তাকনা গোম্ফা দেখি। সব ঘুরে যখন লেহ মার্কেটে আসি তখন বেলা দুটো। সকাল থেকে প্রচুর হাঁটাহাঁটি করে তিনজনেই ক্লান্ত। একটি টিবেটান রেস্টুরেন্টে গিয়ে থুকপা আর মোমো সহযোগে লাঞ্চ সারা হয়। কর্মা আমাদের হোটেলে পৌঁছে দিয়ে চলে যান। আগামীকাল সকালে এসে আমাদের নুব্রা নিয়ে যাবেন। মেয়েগুলো ঘরে চলে যায়। আমি বসে থাকি একলা লনে। মৃদু ঠান্ডা হাওয়ায় বসে থাকতে থাকতে একসময় ওখানেই চোখ লেগে যায়।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register