Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১১৫

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১১৫

ঝরঝরে শরীরে পথ চলা শুরু। সবার মন খুশী। মন ভরে পাহাড় আর উপত্যকার সৌন্দর্য অনুভব করতে করতে চলেছি আমরা। হাল্কা সুরে গান বাজছে গাড়ির স্পিকারে। এতো সুন্দর জায়গাও পৃথিবীতে আছে? চলছি আর প্রশ্ন করছি নিজেদেরকে। বেশ অনেকটা সময় একটানা চলে এক জায়গায় গাড়ি থামায় কর্মা। আমাদের অনুরোধ করলো একবার নেমে একটু হেঁটে নিতে। ভালোই হলো অনেক সময় বসে থেকে হাত পা ধরে এসেছিলো। তিনজনেই টপাটপ নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে। আর কি দেখলাম? সোনালী উপত্যকা চিড়ে মস্ত এক অজগর সাপের মতো একেঁ বেঁকে চলে গেছে হাইওয়ে। সামনে ধ্যানগম্ভীর পাহাড়, আমাদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। আমরা তিনজন আর গাড়ির ভেতর কর্মা ছাড়া কেউ নেই, কোথাও কেউ। এ যেন পৃথিবীর কোনো স্হান নয়, অন্য কোনো গ্রহ। একটা শব্দ নেই, আমরা ইচ্ছে করেই পকেটে থাকা একটা ছোট্ট ধাতব বস্তু রাস্তায় ফেললাম। পরিস্কার শব্দ হাওয়া বেয়ে এসে যাকে বলে একেবারে মরমে পশিল। আরো কিছু গিয়ে টাংলা পাস। এই রাস্তার সর্বোচ্চ অংশ। নেমে পাশেই একটা ক্যাফেতে কফি পকোড়া খেয়ে নিলাম আমরা। আবার পথ চলা। এবার উৎরাই বেয়ে। চলেছি তো চলেছি, পথে দেখা হলো এক নদীর সাথে। বিশাল ব্যপ্তি তার। আর কি তার রূপ। এটা কি নদী? আমরা শুধাই। কর্মা হেসে বলেন, সিন্ধু। তিনজনের হাত যে একসাথে কপালে ঠেকেছিল, এ আমি হলফ করে বলতে পারি। মনে পড়ে ছেলেবেলার ইতিহাস বইতে পরা এই নদী, আর তার সাথে গড়ে ওঠা সভ্যতার কথা।।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register