Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০৮

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০৮

ফেরা

অধিকাংশ খাবার বেঁচে গেছিলো। আর মদের ফুল বোতল এর খুব বেশি হলে ১৮০ মতো খালি হয়েছিল। সব বেঁধে নিয়ে গাড়িতে ওঠা। এবার গন্তব্য নাগ্গর। ১৪০০ বছর ধরে কুলু জেলার রাজধানী ছিলো এই ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ। আর তার অন্যতম আকর্ষণ, ৫০০ বছরের পুরনো প্রাসাদ, নাগর ক্যাসল। এমন তার গঠনশৈলী, বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় যখন বিদ্ধ্বংসী ভূমিকম্পের ফলে আশেপাশের অধিকাংশ বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়ে যায়, তখনো এক ফোটা তাকে নড়াতে পারেনি। পরবর্তীতে সত্তরের দশকে হিমাচল সরকার তা অধিগ্রহণ করে হোটেল বানায়। এখনও সে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। আমরা নেমে এক চক্কর ঘুরে এলাম। এরপর পরবর্তী ও নাগ্গরের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ, রৈরিক এস্টেট ও আর্ট গ্যালারি। কিংবদন্তি রুশ শিল্পী, দার্শনিক নিকোলাস রৈরিকের জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল। প্রথম নাম পড়েছিলাম উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখায়। যখন পড়া, তবে থেকেই সাধ, একবার যাবো। অবশেষে তা পুরণ হলো সেই দিনে। বিস্তীর্ণ বাগানের মধ্যে কাঠের ইউরোপীয় ধাঁচের বাড়ি, পিছনে ধ্যানমগ্ন হিমালয়। শিল্পীর উপযুক্ত বাসস্থান বটে। তাঁর আঁকা হরেক চিত্রকর্ম, তাঁর ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র, তাঁর গাড়ি সব সংগৃহীত রয়েছে। ঘুরে ঘুরে দেখি, ভাবি অতো বছর আগে কিভাবে এই দূর্গম জায়গায় এসেছিলেন উনি, কি ভাবে আপন করে নিয়েছিলেন এই দেশ কে। শ্রদ্ধা প্রনাম জানাই তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা নামে। পাহাড়ি আকাশে গাঢ় হয় কুয়াশা। আমরা ফিরে চলি। অনেক কাজ ঘরে ফিরে। প্যাকিং সমাধা হয়। কাল ভোর সাতটার সময় কর্মা আসবেন গাড়ি নিয়ে। প্রথমেই অগ্নিপরীক্ষা, সবচেয়ে কঠিন পথের সম্মুখীন হবো আমরা। এসব ভাবতে ভাবতে দুপুরের প্যাক করা খাবার দিয়ে ডিনার সমাধা হয়। উঠতে যাবো, দরজায় টকটক। এতো রাতে, কে এলো??

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register