- 3
- 0
সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। খরস্রোতা বিপাশা, তার সাথে লড়াই করছে আমাদের নৌকো। কখনো কখনো লাফিয়ে উঠছে। কনকনে ঠান্ডা জলে মুখ শরীর ভিজছে।কিন্তু উত্তেজনায় ঠান্ডাই লাগছে না। আশেপাশে বেশ কিছু নৌকা, লড়াই করছে সবাই। দেখতে দেখতে কখন যে আধঘণ্টা কেটে গেছে, টের পাইনা। খেয়াল হলো, যখন ফিনিশিং পয়েন্টে গিয়ে নৌকা থামলো। নেমে ঝপাঝপ তোয়ালে তে গা মুখ মুছে ফেলি। পাশের দোকান থেকে তিনজন একটা করে সোয়েটার কেনাও হয়। ঠিক ছিলো মানালি ফিরে কিনবো। কিন্তু সেখানে সস্তা পেয়ে আর লেট করিনি। গাড়িতে উঠে টের পাই, প্রবল খিদে পেয়েছে। আর তার সাথে এতোক্ষণের উত্তেজনা ছাপিয়ে এবার একটু ভয় লাগছে। কাল পরশু অতোটা জার্নি, ওপর ওপর ঠান্ডা লাগেনি বলেই জানি। কিন্তু যদি ভেতরে ঠান্ডা অলরেডি ঢুকে থাকে? কি করবো? একটু শরীর গরম না করলে চলছে তো না।
আমার অনুরোধে চালক আমাদের নিয়ে যান কাছেই এক বার কাম রেস্তোরাঁয়। একটা ফুল হুইস্কির বোতল কিনি। পুরো ট্রীপে লেগে যাবে। রেস্তোরাঁর ভিতর তিনজন বসে সবে আয়েশ করে বোতল খুলতে যাবো, মালিক হাঁ হাঁ করে ওঠেন। ইঁহা নেহি। আপলোগ কো বড়িয়া জাগা পে লে চলতাহু। উঁহা বৈঠনেকে পিনে কা মজা হি কুছ ঔর হ্যায়!! বটে, বটে। বেড়ে প্রস্তাব তো। ওনাকে অনুসরণ করে পিছন দরজা দিয়ে বের হই। বিয়াসের ধারে সুন্দর লন। টেবিল চেয়ার পাতা। কুলুকুলু শব্দে নদী বয়ে যাচ্ছে পাশে। ওফফ ফাটাফাটি। বাদাম আর আপেল চাট। নদীর ধারে বসে মেজাজটাই আলাদা। একটু পরে আসে, নান, স্যালাড, অনির জন্য কাড়াই পনীর, আমাদের জন্য রাড়া মটন। খানা পিনা জমে ওঠে। সে এক রাজসিক ব্যাপার।
0 Comments.