Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০১

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১০১

ফেরা

বাস থেকে নামতেই একঝলক ঠান্ডা হাওয়া, শরীর মন জুড়িয়ে দিল। কে বলবে দিল্লীতে ভ্যাপসা গরম ছিলো। আমাদের বাসের গার্ড পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন। এক পেল্লায় সুইমিং পুলের পাশে এক গাদা কাউন্টার। মন মাতানো খাবারের সুবাস ভাসছে চারদিকে। তবে সব নিরামিষ!! অনিন্দিতা উল্লসিত। আমাদের বাকি দুজনের ও খুব একটা আপত্তি ছিলো তা নয়। তবে তখনো গোটা রাতের জার্নি বাকি। তাই মসলা ধোসাতে পেট ভরিয়ে, একটা কিংসাইজ দিয়ে খাবারের ইতি। বাসে উঠে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে গেছি।। ঐ ঋক, ওঠ। অনিন্দিতার ডাকে ঘুম ভাঙলো। বাইরে তখন ঘন কুয়াশা। চোখ কচলাতে কচলাতে বাইরে বেরোই। উঃ কি শীত মাইরি। রাতের অন্ধকারে, বাস পাহাড় চড়েছে। ঘুমের ঘোরে টের পাইনি। এ জন্মে শুধরোবে না। কোনো দিক না তাকিয়ে নেমে এল। গজরাতে গজরাতে একটা সোয়েটার হাতে ধরায় শতাব্দী। সেটা পরে ধূমায়িত এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে ভারী আরাম হয়। মানালি আর ঘন্টা তিনেকের রাস্তা। পাহাড়ি আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে, যেখানে নামায়, সেই জনপদকে ভারী অচেনা লাগে। কুড়ি বছর আগে যখন মানালি এসেছিলাম, তখন হোটেল বিয়াস ছিলো মানালি শহরের শেষপ্রান্তে। এখন শহর বাড়তে বাড়তে বিয়াস প্রায় মধ্যবর্তী। ওর সামনেই বাস স্ট্যান্ড। সেখানেই আমরা এসে নেমেছি। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালে, কিন্নর থেকে ফেরার সময় দেখেছিলাম, শহর আরো বেড়েছে। এখন জানি না, শহরের কি অবস্থা, কেমন আছে আমার সেই স্বপ্নের জনপদ।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register