Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৯৮

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৯৮

ফেরা

দিল, দিল দিল্লি।। শিয়ালদহ রাজধানী যখন স্টেশনে ঢুকলো, তখন সকাল সাড়ে দশটা। আমাদের বাস রাত আটটায়। তো এই সাড়ে নয় ঘন্টা, আমাদের কাটাতে হবে এই শহরের বুকে। গরমে গা চ্যাটচ্যাট করছে নেমেই, সবার আগে দরকার স্নান। ও হ্যাঁ, তার আগে দরকার একটা হোটেল কিন্তু তার ও আগে আমার নিজের দরকার, একটু বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দেওয়া। দুই ভদ্রমহিলা ও লটবহর নিয়ে বেরিয়ে আসি স্টেশনের বাইরে। বাইরে দাঁড়িয়ে একটি সিগারেট খেতে খেতে পরবর্তী প্ল্যান অফ অ্যাকশন ভেবে নি। রাস্তার ওপারেই কয়েকটি হোটেল দেখা যাচ্ছে, যে কোনো একটায় ঢুকে একটা ঘর নেওয়া যাক। স্নান সেরে, মালপত্র রেখে একটু ঘুরে নেওয়া যাবে। অনিন্দিতা নিরামিষাশী বলে, কাবাব গলি নৈব নৈব চ, পরাঠা গলিতে যাওয়া হবে। পাশেই মীনা বাজার, ওখানে নাকি কানের দুল দারুণ পাওয়া যায়, দুজনেই কিনবে। এরপর এক চক্কর দিল্লি মেট্রোয় ঘুরে হোটেলে ফেরা যাবে। যে ভাবা সেই কাজ। প্রথম হোটেলটিতে জায়গা না পেলেও, পরেরটিতে জায়গা মিললো। একটা বেশ বড়ো ঘর। আটঘন্টার জন্য ভাড়া নিলো ১২০০ টাকা। কুলার ও আছে। ভালোই হলো। প্রথম দিন হোটেল বাজেটের ৩০০০ টাকা থেকে ১৮০০ সাশ্রয়। ওটা পরে কাজে লেগে যাবে। এবং পরে গিয়েওছিল কাজে লেগে। কিন্তু সে কথা যথা সময়ে। বাথরুমের অধিকারী আমিই প্রথম ছিলাম। ভালো করে স্নান সেরে বিছানায় একটু শরীর এলালাম। এবার ওদের কাজ মিটলে আমাকে ডাক দিলেই হলো। শুয়েছি সবে, ফোনটা তুলে ঘাঁটতে যাবো, তারিখের দিকে তাকিয়ে পাথর হয়ে গেলাম। বেড়ানোর আনন্দে, তারিখ ভুলে মেরে দিয়েছিলাম। ১৯শে জুন।। বাবা চলে যাবার দশ বছর পূর্ণ হলো।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register