Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ১৫)

maro news
গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ১৫)

নর্মদার পথে পথে

  ... গেন্দে কা থোরিসি পাত্তা লেনা ঔর দো বুঁদ ইয়ে তেল ডালকে মসলকর যাঁহা লাগাকে বাঁন্ধকে রাখনা।সুবহ তক বিলকুল ঠিক হো জাওগে।' সেই' মহাকাল তেল'- এর শিশির হাতে নিয়ে আমি কোনমতে ধীরে ধীরে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম। গাড়ির কাছে পৌঁছে দেখি আমাদের এই অটো'টাকে বাঁদরে ঘিরে ধরেছে। আমাকে দেখে দাঁত খিচিয়ে দিয়ে অটোর তলায় লুকিয়ে পড়ল। আমি অটোর ভেতরে তাকিয়ে দেখি সব জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আমার ব্যাগের ওষুধপত্র বার করে চিবিয়ছে। কিন্তু স্ট্রিপগুলো গিলতে না পেরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বাইরে। সবার ব্যাগেই খাবার থালা গ্লাস, জলের বোতল ছিল। থালা গ্লাস সিটের ওপর গড়াগড়ি খাচ্ছে তবে জলের বোতল উধাও হয়ে গেছে। আপেলের প্যাকেট নেই। ব্যাগের গামছাটা বোধহয় দাঁত দিয়ে চিবিয়েছে। বড় একটা খাবলা মতো হয়ে ছিঁড়েছে। সবথেকে আশ্চর্য, বুড়ো হনুমানগুলো সামনের স্টিয়ারিং এসে বসে আমাকে রীতিমত ধমকাচ্ছে। ভয় হচ্ছে খিমচে না দেয়। পা'টা নিয়ে নড়তে কষ্ট হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বসে আছি। বসে বসে ভাবছি 3/11/2019 তারিখে নর্মদার উদ্গমস্থল অমরকণ্টক দেখার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। শালিমার থেকে ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যায়। আমি বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি দুপুরে। আসানসোল থেকে কলকাতাগামী বাসে শালিমার যাবার সময়ে এই কবিতাটা লিখেছি।নর্মদার ডাকে সাড়া দিয়ে চলেছি তার পথে। তাই মায়ের চরনে উৎসর্গ করে এই কবিতা লেখা। প্রণতি_আমার_গ্রহন_করো নর্মদা মা'র ডাকে সাড়া দিয়ে আজ পথে বাহির হলাম। দেখার আশা বহু কাল ধরে এই প্রথম সুযোগ পেলাম। কত জায়গায় গিয়েছি বেড়াতে তোমার কাছে ই যাই নি। আজ মনে হয় এতদিন ধরে আমার সময় ই হয় নি। অথবা তুমি ডাক দিলে আজ আমায় ভালোবেসে। সাড়া দিয়ে আমি বেড়িয়ে পরেছি ভারী একগাল হেসে। ভক্ত বাঞ্ছা পূর্ণ কর মা মোক্ষ দাত্রী তুমি। আমার ভক্তি তোমার পূজায় চরনে তোমার নমি। শঙ্কর নন্দিনী গো রাখ তব পদতলে । কল্পে কল্পে তুমি শাশ্বত সনাতনী সবে বলে। নীর রূপে তুমি প্রবাহিতা দেবী জ্ঞানের প্রকাশ করে। চিতির আলোকে জাগে হিল্লোল বিকাশিছে তব বরে। কল্পান্তরে আছ শুধু তুমি আদি ও অন্ত তোমাতেই। পেয়েছি তোমার সদয় দৃষ্টি প্রসন্ন থেকো এভাবেই।। মায়ের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলাম। তবে আজ কেন একলা এভাবে অটো'তে পায়ের যন্ত্রণা নিয়ে বসে আছি? সকালবেলা একবার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। এখন আবার এক বিকট পরিস্থিতিতে পরেছি। চারদিকে হনুমানের দল ঘিরে রেখেছে অটো'টাকে। একটু যে জল কিনে আনবো তারো উপায় নেই! চোখ বন্ধ করে সিটের ওপর পা তুলে কোনোরকমে কাত হয়ে রইলাম। মনটা খুব খারাপ কপিলধারা দেখা হলোনা বলে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register