Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সম্পাদকীয়

maro news
সম্পাদকীয়

হিবাকুশা কবিতারা

হিবাকুশা শব্দটির অর্থ অনেকেরই জানা... তবু বলি জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকিতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে আজও জাপানে যে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়, তারা হিবাকুশা নামে পরিচিত। তাহলে কেন বললাম? ধরুন আমার কথাই, আমি তো এমন কিছু কবিতা লিখতে পারি না, কিন্তু যা কিছু জন্মালো আমার কলমের খোঁচায়, তাই তো কবিতা। প্রতিটি কবিতা কবির শ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টার ফল। হোক না সে হিবাকুশা... তাই বলে কি মা তার সন্তানকে ফেলে দিতে পারে? মায়ের কাছে সুস্থ/বিকলাঙ্গ সমস্ত সন্তানই বড় আপন, আদরের। একজন সম্পাদক হিসেবে মনে করি প্রতিটি কবিতার যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত। আমি অন্ততঃ সেই চেষ্টাটি করি। যদি দেখি কোন কবিতায় ছন্দের হেরফের আছে, তাহলে নিজে অপারেশন করে ঠিক করে নিই। ফেলে দিই না। কিন্তু এমন অনেক সম্পাদক আছেন, যাঁদের অদ্ভুত উন্নাসিকতা ভীষণ আঘাত হানে সাহিত্যের প্রতি। যদি বা একটি কবিতা স্থান করতে নাই পারে, তার কৈফিয়ৎ তিনি দেবেন না বলে হুঙ্কার দেন, এ কেমন কথা? কৈফিয়ৎ না দিন, অন্ততঃ বলতে তো পারেন যে লেখাটি নিলাম না। যদিও আমার মতে কৈফিয়ৎ দেওয়া উচিত। আমি যদি কোনদিন কোন লেখা ছাপতে অপারগ হই, কৈফিয়ৎ দেওয়ার সেই সৎসাহস যেন থাকে। কবিতার কোন নিয়ম রীতি থাকা উচিত নয়। নিয়মে আবদ্ধ কবিতা পুকুরের মতো। কবিতা হোক নদীর পার্বত্য গতির মতো। ক্ষণে ক্ষণে গতিপথ পাল্টাক, পুরনো রীতির ওপর দিয়ে চালিয়ে দিক ক্ষুরধার জলস্রোত। সম্পাদক সদা সত্য বলবেন এই কাম্য, তার দুরকম কথা থাকবে না। আমাকে এক সম্পাদক বলেছিলেন প্রতি সংখ্যায় লিখলে লেখকের মান কমে যায়। অদ্ভুত যুক্তি মেনে নিলেও দেখি অনেকেই সেই ম্যাগাজিনে পরপর লিখে যান। এসব দেখে শুনে সম্পাদক হিসেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার চেষ্টা করা ছাড়া আর কোন উপায় আমার নেই। অতঃপর আজ চলে এলাম সাতটি কবিতা ও তিনটি অণুগল্পের ঝুলি নিয়ে, যেখানে গুণীজন কবি/সাহিত্যিকরা সাজিয়েছেন তাঁদের নিজেদের সৃষ্টিকে মন খুলে। সায়ন্তন ধর
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register