- 4
- 0
অনেক বড়ো হয়ে পরিচয় হয়েছিলো শ্রী দীনেশচন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, তাঁর নাতবউ হিসেবে। আমার কর্তা তাঁর দৌহিত্র। এই প্রাজ্ঞ মানুষটির কাছ থেকে একটা অ্যাক্সিওম শিখেছিলাম। তিনি সংসার সম্বন্ধে অভিজ্ঞ, প্রাক্তন জজ, ঢাকা জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের হান্টেড লিস্টের তাড়া খাওয়া বুদ্ধিজীবী হিন্দু, কোনো রকমে দিনের পর দিন পালিয়ে বেঁচে থাকা মানুষ ছিলেন। এবং জীবনের শেষে ও একজন পণ্ডিত মাস্টারমশাই ছিলেন। আমার বরের তিনি দাদুভাই। মায়ের বাবা। আমার দাদাশ্বশুর। কিন্তু আমায় ইংরেজিতে চিঠি লিখতেন, “ সোনালি ডার্লিং ” বলে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “ মনে রেখো যার যার বেসিক স্বভাবটা কখনোই পালটায় না। যে আসামী যে কাজ একবার করে, সে তাই বারবার করবে। সেটা তার ক্যারেক্টরিস্টিক ফিচার। এ ভাবেই, প্রথমে না হলেও, পরের পরের বারে সে ধরা পড়েই যায়। ”
সাংসারিক ক্ষেত্রে আজও মানুষকে মাপতে -বুঝতে গেল দেখি ঠিক তাই। এ নিয়মের কোনো ব্যাতিক্রম হয় না।
তাই নিজেকেও মিলিয়ে দেখি। একই গল্প। মা বলেছিলেন, এই রকম রাগ! রাগ হলে কোনো দিন নিজেকেও নি: শব্দে খুন করে ফেলতে পারি মুখ বুজে। কে জানে, পারি হয়ত।
0 Comments.