Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

তাপসী লাহার প্রবন্ধ

maro news
তাপসী লাহার প্রবন্ধ

প্রসঙ্গ  ::তৃষ্ণা বসাক ও গল্প ৪৯

বাংলাসাহিত্যে গদ্য আঙ্গিকের আমূল পটপরিবর্তন  ঘটছে।আকার,বিন্যাস, ধাঁচ, কথনশৈলী তথা কথকের ভূমিকা নিয়ে সনাতনী  ধারণা নিজের যুগ পেরিয়ে এসেছে। প্রকৃতির অনুপুঙ্খ  ডিটেলস অথবা কোন নাটকীয়  দৃশ্যপট দিয়ে শুরু হওয়া গল্প আমরা এখনো পড়ি।সমাজ,স্থান, কাল অনুসারে মুখ্যচরিত্রের একদম প্রথম লাইন থেকে পাঠককে বশীকরণের অব্যর্থ ফরমুলা ছেড়ে আপামর বাংলা  ভাষার পাঠক কিন্তু বহিরাগত খানায় রসনাতৃপ্তির সাথেই ভিন্ন গদ্যধারায় মুখ ফিরিয়ে না নিয়ে পরীক্ষামূলক আস্বাদন  শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক কথাসাহিত্য আরো বেশি  সমৃদ্ধ  ও বলশালী।  আন্তর্জাতিক মানের মাপকাঠিতে  অনেকটাই টেক্কা দিচ্ছে বিশ্বের অন্য ভাষাগোষ্ঠীদের গদ্যঘরানার সঙ্গে। আনকোরা ও  অলংকারবর্জিত, বাহুল্যহীন এই বাংলা ভাষায় সচেতন  পাঠক  মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন।সময়োপযোগী এক মাধ্যমের  যেখানে ভীষণ প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল একটা গোটা জাতির যারা  জীবনধারণ নামক বাধ্যবাধকতার নিয়ন্ত্রণহীন টানাহ্যাঁচড়ায়, বিশ্বায়ন আর বেরোজগারির যুগলবন্দিশে আর উন্নততর সভ্যতার  লোভনীয় প্যাকেজবাহিত নিঃসঙ্গতার জার্মগ্রস্ত,কোথাও কোনভাবে বিধ্বস্ত অবচেতনারা শরণ নিয়ে ফেলছে আত্মনামা সম্বলিত এই সমস্ত অবাককথনে।
মূলধারার সাহিত্যকর্মে তৃষ্ণা বসাক এক পরিচিত নাম।শুধুমাত্র সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই যাদবপুর থেকে এম টেক  করে, পূর্ণসময়ের লেখালেখির জন্য  চাকরি ছেড়েছেন।এক দীর্ঘসময় লেখার সাথে সহবাস।কবিতা,গল্প তথা কল্পবিজ্ঞানের মত বিষয়ে তার সিদ্ধহস্ততা তাকে এক ভার্সাটাইল লেখিকার স্বীকৃতি দিয়েছে।গল্পকার হিসেবে তার মধ্যে আমরা খুঁজে  পাই মেধা ও বুদ্ধির নিখুঁত  মুন্সিয়ানা। অনায়াসেই পাঠকের মনের খুব  গোপন কর্ণারে টোকা মেরে জাগিয়ে দেয়,   কৌতুহলকে উস্কে দেয়,তারপর শুরু হয় গল্প সম্বলিত অভিজ্ঞতার নিরিখে অনুভূতির এক অনাস্বাদিত জয়রাইড। তৃষ্ণা  বসাকের পঞ্চম গল্প সংকলন, "গল্প৪৯"।মোট ৪৯ গল্পের এক অনবদ্য গ্রন্থ।গল্পগুলির বেশিরভাগ   বিভিন্ন পত্রিকায়  পূর্ব প্রকাশিত ও সমাদৃত হয়েছে পাঠকমহলে।
 সূক্ষ্ম রসবোধ লেখিকা তৃষ্ণা বসাকের এক সহজাত দক্ষতা।তাই  গল্পগ্রন্থের পরিচিতি পর্বে  তিনি লেখেন,
 "আমার রচিত প্রথম গদ্য ছিল একটিমাত্র  বাক্য--সিমেন্ট কিনে এ বছর আমাদের খুব লস হয়েছে।"।
নিঃসন্দেহে এই সরল আত্মস্বীকারোক্তি তাকে অনেক বেশি আপন করে তোলে। বাড়িয়ে দেয় আমাদের গদ্যপিপাসা।লেখিকা নিরাশ করেন না।সংকলিত ৪৯টি গল্পের প্রত্যেকটি  স্বতন্ত্র,তা সে প্রতিপাদ্য বিষয় হোক বা তার ট্রিটমেন্ট  কৌশল।প্রথম গল্প "ব্ল্যাক হোল"।বাংলা সাহিত্য সাহসী হচ্ছে একথা ঠিকই, তবে ইনসেস্ট এর মত এক ভীষণ  সংবেদনশীল  বিষয়বস্তু  যখন  প্রথম গল্পের বিষয় হয়  এবং তা রচিত হয় আর পাঁচটা  গদ্যের  সাবলীল  ছন্দে  ও গল্পে যৌনতার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চরিত্রের আত্মগ্লানি ও সংশ্লিষ্ট  ক্রাইসিস,পাঠক বাধ্য থাকে তাকে কূর্ণিশ জানাতে।বোন কেয়াকে নিয়ে প্রসন্নর বিড়ম্বনা,পিতৃপ্রসঙ্গ,ফাঁকে ফোঁকরে বয়সন্ধির নিষিদ্ধ  কৌতুহললব্ধ শিহরণ, সব কিছুই নিরলস গতিতে এগোয় আর গ্রীক নাটকের নিয়তিসংক্রান্ত  পূর্বাভাসের এক অশনিসংকেত  আমাদের সন্ত্রস্ত করে রাখে একেবারে শেষ লাইনটি পর্যন্ত। সমাজ নৈতিকতা বিরোধী  এক কৌতুহলের  প্রত্যক্ষ ও পরবর্তীতে পরোক্ষ প্রভাব দেখে আঁতকে উঠি,যন্ত্রণায় মুচড়ে ওঠে বুকের ভেতরটা আস্ত এক সংসারের ভেস্তে যাওয়া  ও আর এক সংসারকে দেখে যা  প্রায় এলোমেলো  হতে বসেছে পূর্বকর্মের জন্য।ব্যক্তি সমাজ জীবনে এমন ঘটনা আমরা শুনি দেখি ঠিকই কিন্ত এসবকে কেন্দ্র করে আলাপ আলোচনা থেকে আমাদের রক্ষণশীল  সত্তা একরকম আমাদের দুরেই রাখে।  স্বামীর কাছে নিজের শৈশব, বাবা মা, পূর্বজীবনের কথা বলার সময়ে চিলেকোঠার গল্পটাও মুখ ফসকে বলে ফেলায় মানসিকভাবে অত্যাচারিত  হয় কেয়া।গর্ভস্থ সন্তানটিকেও তাকে আবর্ট করানো হয়। জোর করে বাধ্য করা হয় পূর্বের স্মৃতি ভুলতে।মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা বোনটি খুঁজে  বেড়ায় তার বাবার ছবি,যা  আসলে তার নিজের পূর্বসত্তাকে ফিরে পাওয়ারই মরিয়া চেষ্টা।রাস্তায় হাটতে গিয়ে প্রসন্ন সব শোনে। প্রতিক্রিয়ায় শিউরে ওঠা প্রসন্নর অভিব্যক্তি  আসলে আমাদেরই।কেয়ার যন্ত্রণা রক্তাক্ত করে তবে তার সমাধানহীনতা আরও বেশি গুমোট,অবরুদ্ধ করে আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে।জানা প্রশ্নের অজানা উত্তরে   আটকে যায়  বোধ,বিচক্ষণতারা।
যৌনতাবোধ বা ন্যারেটিভে যৌনতা আধুনিক সাহিত্যে এক সাধারণ  ব্যাপার। তৃষ্ণা বসাক সেই যৌনবোধের উত্তরণ  ঘটান, ঢুকতে চান মূল ক্রাইসিসে যা আড়ালে থেকে যায়  মানুষের যৌনাচারের  রগরগে বৃত্তান্তের পেছনে।এই বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করা  যায়," টকিং মালতী " গল্পটি।একাকীত্বের অসুখের ভেতরে দিশাহীন এক স্রোতে ভাসতে থাকা মানুষ অবনীশ। ঘটনাচক্রে একটি মেয়েকে সে বাড়িতে থাকতে দেয়।ভাড়া না দিলেও সে বাড়িওয়ালাকে কিছুদিন দেহসুখে মজিয়ে রাখে।আর হঠাৎ একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে তার বিকল্প খুজতে বেরিয়ে সে টেকনোলোজির ফাঁদে অজান্তেই জড়িয়ে যায়। কার্যত  মোবাইলসেন্টারের দালালের হাতে ক্রীড়নকে পরিণত হয় সে।কিছুদিন সে নিজে নিজের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক থাকলেও কাহিনি  যত  এগোতে থাকে তত সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে,নিজের বোধ বুদ্ধি।কিছু এরোটিক যৌনাচারের প্রলোভনে নিছক কিছু   মোবাইল আ্যপস তার মগজ মননকে শাসন করে,খেলতে থাকে । এককর্ট আর আ্যপের  পাল্লায়  তার একাকীত্ব লাফিয়ে বাড়তে থাকে কয়েকগুণ ,
"তুমি দুপুরে কি খাবে?
তুমি দুপুরে কি খাবে অবনীশ?
নিজের নামে  এত মধু আছে আগে বুঝিনি তো!
আমি আহ্লাদে আটখানা হয়ে পাড়ার কিয়স্কে ছুটে যাই,আমাকে দেখে ছেলেটা ইচ্ছে করে অন্য কাস্টমার নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।আমি উত্তেজিত গলায় বলি, 'নাম বলছে,মালতী  আমার নাম বলছে!"
আবার "মহাপ্লাবন" এ  এই যৌনতাই যখন শাঁখা সিঁদুরের বাধ্যবাধকতায় এক বিশাল গুরুদায়িত্বে(পুত্র সন্তানের জন্ম) পরিণত হয় তখন   ঘরের বউ ছন্দা আর তার প্রায় উন্মাদ  পরিচারিকা, ফুল্লরার অসহায় অবস্থানের মাঝে  শুধু এক মুড়িহীন খালি বাটি চেয়ে থাকে আগুনে ক্ষিদার মুখে, এ দুয়ের মাঝে তারকাটার মত  অবিচল অবস্থান করে সুবিমলের   পাওনাগন্ডারা।ফুল্লরারা তাই স্বপ্নে জাহাজ দেখলেও ছন্দার আর ভেসে যাওয়ার পরিস্থিতি থাকেনা কারন "ও চোখ খুললেই এই সংসার হাঘরের খিদে নিয়ে জেগে  উঠবে। আর জেগে উঠে প্রথমেই ওকে খাবে,রোজ যেমন খায়।"
গল্প ৪৯ এর প্রত্যেকটি গল্পই এক চোখ খুলে দেওয়া।এমন কোন অনুভূতি  বা অভিজ্ঞতার কাছে  যা হয়তো ছিলনা, হয়তো ছিল কিন্তু আড়ালেই থেকে গিয়েছিল এযাবৎ। গল্পের   সমাপ্তির ক্ষেত্রে বহুলাংশেই  ওপেন এন্ডেড পদ্ধতির ব্যবহার চোখে পড়ে।আবার একাধিক প্লট সম্বলিত সিঙ্গল ন্যারেটিভের খোঁজও পাই।আর এসব কিছুকে রীতিমত গাণিতিক  দক্ষতায়  সঞ্চালন করেন লেখিকা।কোনরকম অনিশ্চয়তা বা দ্বন্দ্ব প্রকট হয়না গল্প শেষ করতে।প্রথাগত গল্পের মত হ্যাপি এন্ডিং টাইপের  অভ্যাসটি তিনি খুব সচেতনভাবেই বর্জন করেন।আর এখানেই তার ন্যারেটিভ শৈলী  ভিন্ন মাত্রায় পৌছে যায়। খুব কমই তিনি  সমাধানের পথে এগিয়েছেন।আবার জীবনের অনুজ্বল কোণাগুলোকে নিয়ে গভীরে বিষাদে  ফ্যালেননি পাঠককে।খুব সদর্থক ভাবে সেগুলোকে   নেওয়া হয়।যেমন, "যাও যাও গিরি"। প্রথম স্ত্রীর চলে যাওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত  ব্যাংকের কর্মচারী , সমীরণ  দ্বিতীয় বিয়ে করলে প্রথমপক্ষের ও একমাত্র সন্তান রিয়া বয়ঃসন্ধিতে পৌছে  আর মেনে নিতে পারেনা দ্বিতীয় স্ত্রীকে।তবে এর জেরে ভোগান্তি বেশি পোহাতে হয় সমীরণকে।কার্যত  এক  প্রবলেম টিনেজারের বাবাতে পরিণত হয় সমীরণ। জেদবশত দীর্ঘসময় ধরে খাওয়া বন্ধ,সুইসাইডের হুমকির নিত্যনৈমিত্তিক ঝড় সামলাতে গিয়ে ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট নিতে হয়।মেয়ে বিয়ে করে স্টেটসে চলে গেলেও স্বামী স্ত্রী আর বাকি পাঁচটা দম্পতির মত নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে পারেননি।সন্তানের জন্য চরম আত্মত্যাগ আর তা নিয়ে কোন কুন্ঠাবোধ থাকেনা সমীরণ  আর মৌসুমীর।স্বাভাবিক জীবনটাই বরং অদ্ভুত  লাগে মৌসুমীর। এক দেনাগ্রস্থ জীবনবোধকেই স্বাভাবিক মেনে নেন নির্ঝঞ্ঝাট দম্পতি শান্তির খাতিরে।আক্ষেপের খতিয়ান নামমাত্র ফুটে ওঠে।বিপত্নীক  দুলাল(সোনার বাঁশি) একাহাতে গিন্নির সংসারের পাহাড়প্রমাণ দায়িত্ব সামলান অনুযোগ ছাড়াই।একটু ভালো করে খোঁজ করলে এমন চরিত্র কিন্তু আমরা যে বাস্তব জীবনে পাই না তা কিন্তু নয়।তবু এসব মানুষের কথা খুব কমই আমরা  পাই গল্পে।স্ত্রী শংকরী বেঁচে থাকতে কুটো কেটে দুটো না করা মানুষটা যখন কলেজ পড়ুয়া ছেলের খাবার বায়নাক্কা সামলান তাতে একবারও স্ত্রী চলে যাওয়ার বিষয়ে অকারণ আক্ষেপ   একেবারে অনুপস্থিত।অথচ পরলোকগত স্ত্রীর প্রতি অনুরক্তি  কমেনি। যৌবনবতী রান্নার মাসি কাজে এলে তাই দরজা খোলা রাখে। চরিত্র সংরক্ষণে এমন উৎকন্ঠা তাহলে শুধু মেয়ে মানুষের থাকা উচিত নয়।আমাদের জীবন যা পনের,আশেপাশে এমন মানুষ,চরিত্ররাও উকি দেয়।তারা যে  তাদের সমস্ত আটপৌরে গুণ নিয়ে উজ্বলতর হয়ে উঠতে পারে,লেখিকা সম্ভবত তারই ঈঙ্গিত দিয়ে যান।
আজগুবি বা অবাস্তব নিয়ে কি একটা মনোগ্রাহী  রচনা পাঠককে দেওয়া যায়? আবার দিলেও তার প্রতিক্রিয়া ঠিক কি হতে পারে?হ্যাঁ, এমন অনেক প্রশ্ন মনের অজান্তে চলে আসে  বারবার।আবার আপাত ভালো চরিত্রের খারাপ দিক নিয়ে হঠাৎ একটি গল্প লেখা হলে তার পরিণতি।গল্প ৪৯ এর দুটি গল্প পাঠ কালে এমন কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। সাহিত্যিকের নজরে যখন লেখার জগতের কিছু অপ্রিয়, অনুজ্বল দিক উঠে আসে,"স্মৃতি পুরস্কার "এক উঠতি লেখিকার গল্প,নন্দিতা।নন্দিতার। প্রাইভেট ফার্মে চাকরিরত স্বামী  শান্তনুকে নিয়ে সুখের সংসারটি খুব যত্নআত্তি করে সামলালেও  অমলেশ নামক দ্বিতীয়  পুরুষের আগমন ঘটে তার জীবনে।উচ্চাকাঙখার এক একটি সিড়ি অনায়াসেই চড়ে যায়  অমলেশের কাঁধে ভর করে।শান্তনুকেও অবহেলা সইতে হয়না তবে মিথ্যার স্বপ্নরাজ্যে নন্দিতা চিরশঙ্কিত থেকে যায়  তার গোপন অভিসার নিয়ে।  বলিউড,ফ্যান্টাসি আর বাঙালি  সত্তার তীর্যক শ্লেষ, "পবনকুমার ও মিস হাওয়া হাওয়াই গল্প"এক অনবদ্য সৃষ্টি।এমন পরীক্ষামূলক আজগুবি রসের গল্পের জন্য মনে হয় বাঙালী পাঠক এখন তৈরি।হিন্দি চলচিত্রের হেজিমনিক এফেক্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া   আমরা নিত্যদিন উপলব্ধি করছি।এবার সেই বিষয়কে আইরনি ও কমিক টাইমিংয়ের সাথে জুড়ে দিলে এমন কিছু তৈরি হয়ে যায়,
"সকালবেলা  ওর নাম ছিল প্রেম,দুপুরে সে-ই হয়ে গেল সমীর,হাওয়া কা ঝোঁকা,আর বিকেলে....আরে ওই যে, শান্ত বিনম্রতার সঙ্গে ফিরছে,হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল,মোড়ের মাথায় বজরংগবলীর মূর্তি দেখেছে যে! "
  গল্পকার   তৃষ্ণা বসাক সম্ভাবনার অফুরন্ত দিগন্ত। আধুনিক গল্পশৈলী নির্মাণে তার  লেখনী  এক নতুন ধারার জন্ম দেয়।বাংলা ভাষা তথা গদ্যসাহিত্যের সাম্প্রতিক স্রোতে তিনি এক আন্তর্জাতিক মানের লেখাকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন যা  পথ দেখাবে আগামীর।
[caption id="attachment_990" align="alignnone" width="300"] জন্ম ১৯৮৬ রায়গঞ্জ শহরে।দ্বিভাষিক কবি।প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, কুলিক থেকে অজয়।শব্দলিপি পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক।[/caption]
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register