Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

গদ্যের বড়দিনে ময়ূখ হালদার

maro news
গদ্যের বড়দিনে ময়ূখ হালদার

শীতের দোররা

শীতকালের মতো ইরোটিক সিজন দ্বিতীয়টা দেখিনা এমন হার্ডকোর লাভ মেকিং ক্ষমতা আছে কার অন্য ঋতুর ধ্যাড়ধেড়ে রোম্যান্টিসিজ্ম পুতুপুতু পেরেম পেরেম চু-কিতকিত খেলায় আমি নেই বেশিরভাগ মানুষ বসন্তের পূজারি সে হোক তাঁদের আপনা পসন্দ কিন্তু আমার কাছে শীত আসলেই পাগলা ঘোড়া শীতকাল আছে বলেই সুপর্ণা আমি সূর্যকে ভালোবাসতে শিখেছি তোমাকে ভালোবাসতে পারি দ্বিধাহীন বাতিস্তম্ভের নীল আলোর মতো কবিতা লিখতে পারেন ভাস্কর তোমায় নিয়ে আর আমি সামান্য কষ্ট সইতে পারবো না তাই কখনও হয় ধূসর সৌন্দর্য অর্কিডের বাহার পাতাঝরা বাদামির মেলানকলি রঙিন পাখসাট হাড়ের দাঁত ঘষটানি ওহ্ ডিয়ার উইনটার মাই বিলাভেড মেসেঞ্জার অব্ ডেথ সারসত্য সাধ্য কী উপেক্ষা করি ব্যক্তিগত কুয়াশা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বাইরের কুয়াশার সাথে যেন আসল নকল সবটা গুলিয়ে-গ কী চরম ডিলেমা উফ্ ভাবা যায় পা'দুটো কী অসম্ভব গতিশীল হয়ে ওঠে স্নিকার সঙ্গমে সে কথা তোমার চেয়ে ভালো আর কে জানে শরীরে মনে প্রচণ্ড দাবানল জ্বেলে বারবার ফিরে ফিরে আসি তোমার জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের ভেতর আর জীবনানন্দ হিমেল কুয়াশার ছবি আঁকেন অক্ষর ছেনে ছেনে শিশিরের শব্দের মতো নিঃশব্দে আমার বুকে জমে থাকা প্যাশন ডানা মেলে উড়ে যায় নীল ছাদের পলেস্তরা ফাটিয়ে এবার আসি সেই প্রসঙ্গে যেখানে পৌঁছে থমকে যায় মানুষের বোধ সবার দুশ্চিন্তা পশুপাখিদের নিয়ে যেখানে মানুষ জমে যায় শীতে সেখানে ওই অবলা জীবদের কী কষ্ট এক্ষেত্রে নিরপরাধ শীতকে কাঠগড়ায় তোলা হয় এই যে দুর্ভোগ তা কি প্রাকৃতিক অথবা ঈশ্বর প্রদত্ত আমি তা বিশ্বাস করিনা মহান সৃষ্টিকর্তা সবার জন্য চিন্তা করেন এবং তাদের আবশ্যিক চাহিদা পূরণ করেন কখনও আগে কখনও বা পরে যখন তিনি সমীচীন মনে করেন কিন্তু মানুষ শালা পরের ধনে পোদ্দারি করতে অভ্যস্ত সবার ভাগের পেছন মেরে অন্যের জন্য দরদ দেখাতে এক্সপার্ট নিজেকে প্রফেসি মেকার ভাবতে চায় খোদার ওপর খোদকারি আর কী এই যে অসহায় ছাদহীন মানুষ আর জন্তুদের খাবারের অভাব বস্ত্রের অভাব কিংবা ওদের থাকার মিনিমাম জায়গাটুকু দখল করে বসে আছি রাষ্ট্র সব বোঝে মালসাটের দুঃখ ন্যাকাচো শেয়ালচো ফায়দালোভীর আঁতুড়ঘর জ্ঞানপাপী আমিও কম যাইনা একটা আস্ত শয়তানকে আঁকড়ে ধরে ফুটপাথের লক্ষ কোটি ঈশ্বর-পুত্রের ক্রুশিফিকশনের ব্যবস্থা করি কতো বড় আহাম্মকের দল যেখানে মহান জেসাসকে পর্যন্ত ছাড়িনি সেই হেরাডের বংশধর আমরা অবলা নিরীহদের নিয়ে কতটা ব্যথিত সে তো মহাকাল জানে চিত্রগুপ্ত হাসে যমের দক্ষিণ দুয়ারে বসে আর কলম দিয়ে ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে কাটতে থাকে যমের অরুচিদের নাম আসলে শীতের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে ঝাড়া হাত-পা কী মজা শীতকালে আমাদের যাবতীয় ছুঁৎমার্গ কর্পূরের মতো উবে যায় জল যে কী গর্ভযন্ত্রণা হাড়েমজ্জায় টের পাই পোয়াতিরা গোসল থেকে ট্রেনে পাশে বসা গা ঘেঁষে হিন্দু না মুসলিম জানিনা জানতে চাই না শুধু ওম্ নিই আর জাত গেল জাত গেল বলে ভেতরের পাখিটা আর্তনাদ করে ওঠে হিপোক্রিট তুমি তো জানো সুপর্ণা আমি যখন বলি সবার গায়ে ফোস্কা পড়ে সে পড়ুক তাতে আমার কিছু যায়-আসে না যা বাস্তব তা বলবোই বলতেই হবে চাবুক আর দোররার বাড়ি আজ খুব দরকার যেটা শীত মানুষের শরীরে চাবকে দেয় সেই আঘাত আমি দিতে চাই (অ)মানুষের মনে আর মননে সভ্যতা নামক গণ্ডারের চামড়ায়
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register