Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় বলরুমে অমিতাভ সরকার

maro news
কবিতায় বলরুমে অমিতাভ সরকার

কলেজপাড়ার গল্প

তখন বারাসাত থেকে অরিন্দম, শুভঙ্কর, আমি একসঙ্গেই ট্রেন ধরতাম

অন্যরা অন্যদিক থেকে...

অরিন্দম কোনোদিনই ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারতো না, শুভঙ্কর আগে এলেও গল্প করতে গিয়ে সেই দেরিই হতো, আমায় দেখে সবাই যেটা ভাবতো মোটেও ততটা বোকা ছিলাম না

অনেক দিন হয়ে গেল, একেকজন এক এক দিকে

সেদিন যারা পছন্দ করতো না, আজ তারা আমার লেখা পড়ে কিনা জানি না,

সবারই তো বয়স হয়েছে, ভুলগুলোও এখন আর নতুন করে কিছু ভাবায় না

বাইরে হম্বিতম্বি করলেও রাণার ভিতরটা বেশ নরম, শুভঙ্করের এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সংসার, কাজে নাম করলেও আগের মতোই সতীশের দায়িত্বজ্ঞানটা এখনো বেশ কম

আচ্ছা, খুব জানতে ইচ্ছে করে অরিন্দম কি এখনও বেলা করে ওঠে, কৃষ্ণেন্দুর পায়ের ব্যথাটা কেমন, শানুর গানগুলো আজও কি রবীনকে সেভাবে টানে

অনেকদিন বাদে অভ্রর বাড়িতে গিয়েছিলাম, বারান্দায় এত হাওয়া যে ফ্যান লাগে না, কিছুক্ষণ ছিলাম, অনেক কথা মনে হচ্ছিল

সুমন্ত কুল খেতে ভালোবাসতো, দীপাঞ্জন যেমনটা চেয়েছিল সেও আজ অনেকটা দূরে, সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর অনির্বাণের কারোর সঙ্গে কথা বলারই সময় নেই, শান্তনু, দেবুর সঙ্গে বহুদিন দেখা হয় না, কে জানে সব কেমন আছে, আর বান্ধবীরা...

জীবনের এক জল-হাওয়া থেকে আরেক আবহাওয়ায় ক্রমাগত গান শিখতে শিখতে ওদেরও যে....

এদের মধ্যে অমিতেশের কথা আজ বেশ মনে পড়ে, তখন গরমের দিনে জলটা কম খেলেও ওর মনটা সত্যিই বেশ ভালো ছিল, একটু বেশিই ভালো।

দিনগুলো আজ আর পিছু ডাকে না, কলেজে সেই গাছগুলোও এখন নেই, সব কেমন হয়ে গেছে, সাজিরহাটে কিন্তু এখনও সেই হাটটা বসে

তবে হ্যাঁ, এখনো দেবব্রত বিশ্বাস শুনলে আমি গলা ছেড়ে গাইতে বসে যাই, সুরে কতটা হয় সে তো যারা শোনে তারাই বলবে।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register