- 14
- 0
এবার এই মে মাসে সুয্যি দেব বেশি ব্যাটিং করতে পারেন নি । তিনি রেগে মেগে চোখ পাকালে ফিচেল মেঘের দল বৃষ্টিরানী কে নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে । গাছের পাতারা হেসে লুটোপুটি । তার মধ্যে আবার এখন আম, কাঠালের সময় । খাদ্যরসিক বাঙালী একের পর এক রেসিপি চট জলদি নামিয়ে ফেলছে রসুই ঘরে । সুচরিতা অধিকারী মুখবইতে নিত্য নতুন প্রনালী নিয়ে এসে রোজকার আদা, জিরে বাটায় এক কাব্যিক মাত্রা জোগ করছেন । পাঠকের দরবারে আজ রইল মৌরলা মাছের আম চচ্চড়ি । সকলে ভালো থাকুন । রসনার রসে বসে থাকুন । ইন্দ্রাণী ঘোষ।
মৌরলা মাছের আম চচ্চড়ি সক্কাল সক্কাল মাছের বাজারে ঢুকেই পেয়ে গেলাম এই মাছ। সচরাচর দেখা মেলে না। একটু বেলার দিকে বাজারে গেলে তো একদমই পাওয়া যায় না। এতোটাই চাহিদা এই মাছের। সাউথ কলকাতা বাজারে এই মাছের ডিমান্ড বেশ। একবার বাজারের ঝোলাতে ঢোকাতে পারলেই উইকেট পাওয়ার মতো অবস্থা হয়। দেরী না করে ৬০ টাকা ১০০ গ্ৰাম দর হিসেবে ৫০০ নিয়ে ফেললাম। গোলাপি আভায় পাবদা আর শুভ্র সৌন্দর্য্যে চিংড়ি, যদিও ঝোলার গুন আরো কিছুটা বাড়িয়ে দিলো। বাজারের ঝুলিতে যখন মৌরলা মাছ তখন কাঁচা আম তো নিতেই হয়। আমার কি আর তোমাদের মতো আম গাছ আছে যে ইচ্ছা হলেই দু চারখান পেড়ে নিলুম। অগত্যা ২০ টাকায় ৩ টে আম ঝুলিতে পুরে নিলাম। টাটকা কলাপাতা চোখে পড়তেই ১০ টাকা দিয়ে একটা কিনে ফেললাম। ব্যাস এবার খালি ঠিকঠাক জোগাড় আর রান্নার অপেক্ষা। বাড়ি ফিরেই বানালাম ভীষন প্রিয় মৌরলা মাছের আম চচ্চড়ি। রেসিপিটা বলি,
মৌরলা মাছের আম চচ্চড়ি
মৌরলা মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়ে নুন হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে বেশ কড়া করে ভেজে নিতে হবে। কালো, সাদা সরষে, কয়েকটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে বেটে নিতে হবে। কাঁচা আমের টুকরোগুলো ধুয়ে নিয়ে সামান্য নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়ে নিতে হবে। মাছ ভাজা হলে তুলে নিয়ে ঐ তেলেই কালোজিরা আর কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আমের টুকরোগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। এরপর বেটে রাখা সরিষার পেস্ট দিয়ে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে এক কাপ মতো গরম জল দিয়ে দিতে হবে। স্বাদমতো নুন, চিনি দিয়ে চাপা দিয়ে ৫ মিনিট মতো হতে দিন। শুকনো শুকনো হলে কাঁচালঙ্কা চেরা দিয়ে নামিয়ে নিন মৌরলা মাছের আম চচ্চড়ি।
দারুন খেতে হয়।
0 Comments.