Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সম্পাদকীয়

maro news
সম্পাদকীয়

এসো হে বৈশাখ

নববর্ষের সাথে বসন্ত নিয়েছে বিদায়, বৈশাখ এর আগমন হয়েছে, যদিও ক্যালেন্ডারের কথা শুনছে না খামখেয়ালি প্রকৃতি। কোকিল এখনও কুহুতান ভোলেনি। শিমূলের ডালে নতুন পাতার সাথেও রয়েছে কিছু দেরীতে ফোঁটা ফুল। অনাড়ম্বরে চলছে বাসন্তী পূজা। ভোরের বাতাসে এখনও হিমেল হাওয়া। দুপুরে পারদ ঊর্ধমূখী হতেই বিকেলে একরাশ ঝোড়ো হাওয়ায় আবার শীত শীত রাত। আম্রমুকুল মুকুলিত হয়েছে শাখায় শাখায়। ঘোড়ানিম গাছগুলির কচি কিশলয়েরা ক্যানোপি সৃষ্টি করেছে। প্রজাপতিরা তাদের ডানায় সূর্য্যের ওম নিয়ে ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জারুল, ফুরুস এর বেগুনী, গোলাপী আভায় সাজছে ঈষাণ কোণ, কৃষ্ণচূড়া, গুলমোহরের লালে লাল অগ্নি, অমলতাস, রাধাচূড়ার হলদে আভায় বায়ু কোণ রাঙা, ক্যাসিয়া রেনিজেরার গোলাপী আভায় মুগ্ধ নৈঋত, নীলিগুলমোহরের রাজকীয় নীল রঙে মাতোয়ারা চারদিক। মেঘেদের ছুটি শেষ, তারা একে একে নীল আকাশের হাজিরা খাতায় সই করছে। গুর গুর গুড়ুম ডাক ও বিদ্যুৎ ঝলকানিতে গুরুগম্ভীর উপস্থিতি ঘোষণা কালবৈশাখীর। দু এক পশলা বৃষ্টি ঝরে পড়ছে কখনও।সাথে শিল পড়ছে টুংটাং শব্দ তুলে। বসন্ত চলে গেলো বলে দুঃখিত? কিন্তু আবার তাকে ফিরে পেতে হলে যে যেতে দিতে হবে। ঋতুচক্র সম্পাদন করে আবার সে আসবে পরের বছর। সামনে আরও একটি উৎসব। আজকাল ভোট বললেই রাজনীতি এসে পড়ে। রাজনীতি বললেই বিতর্ক। কিন্তু এও তো উৎসব। গনতন্ত্রের উৎসব। কেউ সকাল সকাল সমস্ত কাজ ফেলে ভোট দিয়ে আসে, কেউ বা কাজের ফাঁকে টুক করে ভোট দেয়, আবার কেউ সংসারের সমস্ত কাজ সামলে ধীরে সুস্থে বিকেলে যায় ভোট দিতে। প্রকৃতিও নির্বাচনে যোগ দেয়। কোন ফলটিকে কখন পাকাতে হবে সেই প্রাকৃতিক নির্বাচন। আম, কাঁঠাল, লিচুর সময় হয়েছে। বসন্তের স্ট্রেসের দিনগুলো কাটিয়ে গাছেরাও বৃষ্টির জল পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। জল যুক্ত করে ফলকে রসালো করে তোলে... ভাবি উদ্ভিদের রসদ... তাই এসো হে বৈশাখ... তোমারও প্রয়োজন আছে।   সায়ন্তন ধর
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register