- 38
- 0


আকর্ষনীয়। তার গলার আওয়াজে আর চেহারায় মীনা কুমারী মুগ্ধ হয়ে তার সাথে কথা বলেন ও পান খেতে দেন। মকবুল মীনা কুমারীর হাতের পান নিলেন যা বলেছেন সব কথার জন্য মাথা নাড়িয়েছেন। কিন্তু কোন কথা বলতে পারেননি। খুবই লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। পরবর্তী জীবনে ইলা পাল হোসেনের উপর একটা বই ('Husain: Portrait of an artist' )লিখেছেন ও ঘটনাটা বর্ণনা করেছেন। ইলা পাল জিজ্ঞেস করেছিলেন, সুযোগ থাকা সত্বেও তিনি কেন কথা বলেননি। হোসেন উত্তর করেছিলেন,' তিনি এমন করে আমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলেন আমি কথা বলার শক্তি হারয়ে ফেলেছিলাম (kambakht ne is andaaz se meri taraf dekha, meri to zabaan hi kat gai! ) সূত্রঃ নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। মীনা কুমারীর তখন সবার সাথে বিচ্ছিন্ন। তার প্রেমিক জীবন বিরহ পূর্ণ। মীনা কুমারীর ভাল নাম মেহজাবীন বানু (Mahjabeen Bano) ডাকনাম মুন্না। জন্ম ১৯৩৩ সালে।
তবে মারিয়া ইতিমধ্যে একজন বিজ্ঞানীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। হুসেনকে তা মেনে নিতে হয়েছিল এবং তাকে ৩৪ টি চিত্রকর্ম যৌতুক হিসাবে দিতে চেয়েছিলেন। একদিন সকালে, মারিয়া ন্যানারি থেকে এসে হোসেনের সাথে দেখা করেন।হঠাৎ জুরকোভা তার মন পরিবর্তন করেন । বলেছিলেন যে তিনি নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে স্থায়ী বাসিন্দা হতেপারবেন না। হুসেন বুঝতে পেরেছিলেন যে মারিয়া তাকে বিয়ে করবেন না। মারিয়া মকবুলকে বোঝালেন যে তারা ভিন্ন দেশ থেকে এসেছে, ‘ভিন্ন সংস্কৃতি র লোক’। ্তাদের মধ্যে বিয়ে হলে সঠিক কাজ হবেনা। মকবুলকে বিয়ে করলে মারিয়ার পরিবার এবং তার বাগদত্তা স্বামী মনে আঘাত পাবে। মারিয়া বিয়ের পোশাক এবং গাড়ির চাবি মকবুলকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মকবুলের নিঃশর্ত জেদ ধরায় মারিয়া ৩৪ টি শিল্পকর্ম গ্রহণ করেছিলেন। (মারিয়া এরপর বিবাহিত হন, ও হোসেন তার সাথে অনেকদিন যোগাযোগ রেখেছিলেন।)
চিত্রশিল্পী এমএফ-এর সাথে রাশদা সিদ্দিকীর (Rashda Siddiqui) আবেশ হুসেনের সাথে দেখা হওয়ার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল (১৯৭৬ সালে দিল্লির হোটেল অশোকের একটি পার্টিতে), তখন তিনি লখনৌতে কলেজের ছাত্রী ছিলেন "স্থানীয় আর্ট কলেজের" ক্লাস ফাঁকি দিয়ে গ্যালারীতে ছবি দেখতে আসতেন। কারণতখনকার দিনে পরিবার আপনাকে আর্ট পড়তে দিতনা "।
যৌনতা বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নরনারীর বন্ধন জীবনকে অনেক দুর্স্প্রাপ্য জিনিস দেয়। যা টাকায় কেনা যায়না বা অন্য কিছুর বিনিময়ে পাওয়া যায়না।যারা সামাজিক প্রেম মেনে নিতে পারে তাদের জীবন ও কেরিয়ার অনেক পূর্ণতা দেখে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে এ চিরন্তন দৃশ্য। তবে অনেকেই অহং বা ভুলবশতঃ অশান্তি সৃষ্টি করে। তখন উভয় পক্ষই ক্ষতি গ্রস্থ হয়। প্রেম মূদ্রার মত দুটি পিঠ, একদিকে স্বর্গ অন্যদিকে নরক। যে যেইভাবে পায় বা নেয়। হুসেনের মহিলারা বা হুসেন কেউই ভুল করেনি ফলে তারা আজ গৌরবের অধিকারী।
মকবুল হোসেন বলিউডের মাধুরী দীক্ষিতের প্রেমে পড়েছিলেন। মাধুরীর 'হাম আপকে হ্যায় কৌন' ছবিটি ৬৭ বার দেখেন। 'আজা নাচলে' দেখার জন্য পুরো প্রেক্ষাগৃহটি বুক করেছিলেন।
0 Comments.