- 38
- 0
যাইহোক, হাংরি ধারার আন্দোলনের মূল জায়গাটি যেখানে "যেকোনো জাগতিক ঘটনার প্রকাশকে, অস্তিত্বের নেপথ্যে থাকা পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা চেতনার সংযোগরেখা দিয়ে উপলব্ধি" এভাবে করা হয়েছে (অর্থাৎ, আগে ইন্দ্রিয় তারপর চেতনা বা ইন্দ্রিয় ব্যতীত চেতনার জায়গা নেই); অপরপক্ষে শ্রুতি ছিলো "যেকোনো জাগতিক ঘটনাকে চেতনার কেন্দ্রাতিগো অঞ্চলের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করা এবং তার প্রকাশ; এখানে ইন্দ্রিয়ের নিজস্ব উপলব্ধি নেই, পঞ্চেন্দ্রিয় স্রেফ একটি মাধ্যম যা চেতনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিতো" (অর্থাৎ, আগে চেতনা পরে ইন্দ্রিয়)।
যদিও ষাটের দশকে এই দুই আন্দোলন ছিলো পরস্পর বিরোধী, মূলতঃ যার কারন ছিলো হাংরিধারার যৌনতাকেন্দ্রিক শিল্প; তবুও আজ ২০২০তে দাঁড়িয়ে (যখোন যৌনতাভিত্তিক্ বিভিন্ন ট্যাবু বা সংষ্কার ধীরেধীরে ভেঙে যাচ্ছে), এই দুই ধারার বিরোধীতায় না গিয়ে : মনে হয় ~ ভিন্ন একটি তৃতীয় ধারার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে প্রকৃত চর্চায়।(এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতো মত, যা নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে।) হাংরি'রা যেখানে যাপনপ্রসূতো শব্দ এবং যাপন তীব্রতা; এই দুই বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন || সেখানে শ্রুতি'র কবিরা অনেকটাই ছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের মতো শান্ত ও গভীর।শ্রুতি'র কবিরা চেয়েছিলেন শব্দের আবহমান কাঠামোকে ভাঙচুর করে, তার অভ্যন্তরীণ গতিশক্তি দ্বারা ধ্বনি এবং ধ্বনিকল্পনার ইমেজ্ বা দৃশ্য মাধ্যমে নতুনধারা গড়তে (চিত্রকল্প শুধু শব্দার্থ দিয়ে নয় ~ শব্দার্থ ভেঙে তার অভ্যন্তরীণ ধ্বনি ও অবয়ব : উভয়ের যৌথ মিথোষ্ক্রিয়া)।এই দুই ধারার কবিদের কাছেই, 'সময়' বিষয়টির যাপনলব্ধ আত্তীকরণ ছিলো ভিন্ন।হয়তো অনেকেই এতোক্ষন পড়ার পর, প্রশ্ন করবেন ~ একটি পত্রিকা নিয়ে লিখতে গিয়ে অর্ধেকের ওপর সাহিত্য-আন্দোলনের প্রসঙ্গ ক্যানো? উত্তর হিসেবে, এটাই রাখতে চাইবো : পত্রিকাটি পড়লে, আপনার / আপনাদের এই শুরুর লেখাগুলোই সবার আগে ভাবনায় আসবে।যে কারনে, বাংলা কবিতার শব্দার্থ কাঠামোর ভাঙচুর নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চাইছেন ~ তাঁদের যতোটা কৌরব > নতুন কবিতা > সংহতো আন্দোলন নিয়ে পড়া উচিৎ, চর্যাপদ থেকে শ্রুতি বা পরবর্তী 'ঈগল পত্রিকা' : একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।আসুন এবার দ্যাখা যাক, পত্রিকাটির কিছু বিষয় : যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ শ্রুতি আন্দোলন নিয়ে প্রয়োজনীয় গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

0 Comments.