[একটা তৃপ্তি, একটা আনন্দ, একটা সুখাবেশ বুদ্বুদের মত মনের কোন গভীরে সৃষ্টি হয়ে বাইরে আসতে আসতে ক্রমশঃ বড় হয়ে ফেটে প’ড়ে চোখে মুখে ঠোঁটে তার রেশ এঁকে দিচ্ছিল, মোনালিসার।
দুদিন আগেই যা অবস্থা গেছে !!... সেখান থেকে অর্কপ্রভকে আবার ফিরে পাওয়া, অনেক কষ্ট করে একটা ভিসা পাওয়ার মত… যুদ্ধ জয়ের আনন্দ ঠিক কী রকম, সে তো জানা নেই ! নিজেকে খুব relaxed মনেহল, মোনালিসার!
একটা সম্মানীয় আশ্রয় যে ভীষণ প্রয়োজন ছিল! মনের সাজানো বাগানকে তো সবার জন্যে ‘পার্ক’ হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া যায় না!... সেখানে আগে যে কেউ আসেনি তা’ নয়, কিন্তু তারা যে নানাবিধ দাবী জানাতে থাকল!... তা তো আমি তাদের কাছে আশা করিনি!... সে সব ডাক্তারবাবুকে জানাব… ক্রমশঃ...
গতকালের লেখাগুলি একটু একটু করে পড়তে পড়তে ক্রমশঃ পিছিয়ে যাচ্ছিল মোনালিসা। মনে মনে বলল, ডাক্তারবাবু, তুমি আমায় বাঁচালে… তুমি আমার মনের বন্ধ গোপন কুঠরিগুলো একটা ‘মাস্টার কী’ দিয়ে যেন একসঙ্গে সব খুলে দিয়েছ… একরাশ অন্ধকারে প্রাণের আলোয় আমার নিজেকেই দেখার সুযোগ করে দিয়েছ… তুমি আমার প্রাণ!
পড়তে পড়তে, লেখাগুলির এক জায়গায় এসে কিন্তু মোনালিসা একটু থমকাল… অর্কপ্রভ লিখেছে, তার স্ত্রী বিপাশাকে নিয়ে কোন মুস্কিল নেই, তবে ‘শ্রীরাধা’ মানে, মণিদীপা সম্বন্ধে সে কথা বলা যাবে না!
মোনালিসার হঠাৎ মনেহল, একি সত্যি!... সত্যিই কি মণিদীপা বলে কেউ আছেন, না, আমাকে কোন বার্তা পাঠানোর অছিলায় ডাক্তারবাবু মণিদীপা বলে কোন চরিত্রের সৃষ্টি করে নিলেন!!... এও কি সম্ভব যে, মণিদীপার মত কেউ থাকা সত্ত্বেও ডাক্তারবাবু আমায় তার কাছে স্থান দিতে চাইছেন!… ডাক্তারবাবু তো লিখেছিলেন,মণিদীপার কাছে আমার বিষয় সবকিছু আলোচনা করেন! ভবিষ্যতে, মণিদীপা যদি ডাক্তারবাবুর ওপর জোর খাটিয়ে আমার সঙ্গে এই সম্পর্কের ব্যাপারে বাদ সাধে! ডাক্তারবাবু যদি আমায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়!... শুধু ডাক্তারবাবুর ঘরের লোকটির বিষয় হলে, এ ভাবনা আসতো না।… সে তো আমারও বিভু আছে!
মনের মধ্যে কোথাও একটা কাঁটা ফোটা চিনচিন করছে… মাথার মধ্যে কী রকম একটা অস্বস্তি! আমি সব জেনেই তো বলেছি, যে যার অবস্থানে থাক, আমি যেন শুধু রাতে তার বুকে থাকি!… সেটুকু আমার চাই-ই। ]
( জিগীষা শব্দটাকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে মোনালিসা লিখতে থাকলো…) :
আচ্ছা ডাক্তারবাবু, মাথা বিগড়োলে কী হয়!? 😎
অর্কঃ : কার! আমার না তোমার? 😊
এতদিন তো আমার হয়নি!... তবে, খুব শিগগির হবে মনেহচ্ছে!
তা’, তোমার মাথা বিগড়োচ্ছে কেন!?
মোঃ : বিগড়োবে না!?... তোমার ওই আকাশ ভরা নক্ষত্র-গ্রহ-চন্দ্র দেখে আমার মাথা যে মাঝে মাঝে বিগড়ে যাচ্ছে!!
অর্কঃ : তুমিই তো বলেছ : 'রাতে কিন্তু বুকে আমি থাকবো... বাকি যারা আছে তারা সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, কোলাহলে থাকুক... ’
তবে তো কোন সমস্যা হবার কথা নয়! 😊
মোঃ : হা হা... তাই-ই বটে... তবে সবাই তো আর আমার মতো নিরীহ নয়(😏).. অনেকেই বিপদ সীমা টপকাবার কৌশল জানে... তাদের জন্য তো আমায় তবে আবার মাটির নীচে গোপনে অমাইন ফিট করে রাখতে হবে 🤨… টপকালেই ফাটবে…
হা, হা হা, হা
অর্কঃ : রাতের বুকে অজস্র নক্ষত্র থাকলেও চাঁদ উঠলে তো স্বমহিমাতেই থাকে!!
মোঃ : হ্যাঁ তো!!... আকাশ কিন্তু চাঁদকেই ভালোবাসে... যদি তাই না হতো, হাজার তারার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে চাঁদ বেচারি কাহিল হয়ে চারদিকে পাঁচিল তুলে জ্যোৎস্না আটকে বলতো... " থাক বাপু, ঢের হয়েছে আমার আর খামোখা আলো বিলিয়ে কাজ নেই...! "☹
😃😃😃
অর্কঃ : হা, হা, হা,... তোমারও তো সূর্য, তারার কমি কিছু নেই!... তোমার ঊষাকাল থেকেই তো তারা তোমায় আলো দিয়েছে!... আর এখন তো ভরা দ্বিপ্রহর! 😊
মোঃ : 'ঊষাকিরণ'😊এর (কাকার বন্ধু, যার কথা আগেই বলেছি) কাছে সূর্যমুখী হয়ে ‘আরো আলো চাই’ বলে তাকে সেকথা জানাতে গেলে নির্ঘাত দুকান মলা খেতে হতো... হা হা... তাই ওখানেই শুরু আর ওখানেই শেষ 😃
তবে, তোমার কাছে বলতে আর দ্বিধা নেই… শরতের দ্বিপ্রহরে মেঘমেদুর এক সূর্যালোকের কথা বলি…😊
ছন্দের লেখায়... ছন্দে উত্তর দিতে ভালো লাগে আমার... তো সেই সুত্রে এক বন্ধুর লেখায় কমেন্ট করতে গিয়ে আরেক ভদ্রলোকের সাথে আলাপ হলো... তিনি আমায় frnd rqst পাঠালেন... ( ফে.বু. না থাকলে বুঝি এত বিচিত্র ঘটনার অভিজ্ঞতা হতো না মোটেই... আবার আলাদীনের প্রদীপের মতো... তোমায় ও দিয়েছে... সে প্রসঙ্গে পরে আসবো...)
ভদ্রলোক একটি School এর ইংরাজির শিক্ষক...
তবে মুগ্ধ করার মতো হলো বাংলা সাহিত্য, বাংলা ভাষায় তার জ্ঞান বা চর্চা... ভালোলাগার কেন্দ্র সেটি...
তো যাই হোক... বন্ধু হওয়ার পরে ( আঙুলের acceptance -এ 😊) ... তার একটি কবিতায় আমি খানিক উত্তরের মতো একখানি কমেন্ট (ছড়াই বলতে পারো...) করলাম… তো তাতে তিনি লাফিয়ে উঠলেন... হা হা... বললেন... " এতদিন কোথায় ছিলি রে...!? "
আমি তার নির্ভেজাল ভরসার একটি মাধ্যম হয়ে গেলাম... এখানে মনে রাখার কথা হলো... আমি তাকে দাদা বলে ডাকি এবং আমার দিক থেকে সে সম্পর্কে কোন ভণিতা নেই...
তো আমি যখনকার কথা বলছি... বছর চারেক আগে (মাঝে বছর খানেক ব্লক ছিলাম আমি 🙂)... তখন তিনি ছিলেন নেহাৎই দুর্বল হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষ…এবং ডিভোর্সি। আমি হয়ে গেলাম তার খানিক ভরসার জায়গা... ফোন নম্বর ছিলো... বেশির ভাগ সময়েই মেসেজে.. কখনো কখনো ফোনে তিনি তার হতাশা বা অপ্রাপ্তি বা দুঃখের কথা আমায় জানাতেন... তার জীবনে আসতে থাকা নারী... তাদের দ্বিচারিতা এসব নিয়েও তিনি আমায় বলেছেন... আমি আমার মত প্রকাশ করেছি... কারণ আমার কাছে সে দাদা (নয়ন দা) কাম্ বন্ধু... আমি তার কখনো ‘মোনা’... কখনো 'সই'...
বেশ চলছিলো... এর মধ্যে যে দুর্বলতাটি আমার তৈরি হলো... সেটি তার ' মা'... মায়ের প্রতি আমার মোক্ষম দুর্বলতা... আমি যে চাইলেই মাকে আর জড়িয়ে ধরতে পারি না ( হারিয়েছি না!)... আদর করতে পারি না... হয়তো তাই..
তো সে যাই হোক এভাবেই চলছিলো... ছেলের এবং মায়ের দুজনেরই আমি তখন কমন ফ্রেন্ড...
চলতে চলতে... একদিন অপ্রত্যাশিত একখানি ঘটনা ঘটলো...
ভদ্রলোকটি আমায় একখানি অপ্রত্যাশিত কথা বলে বসলেন... আমি আকাশ থেকে পড়লাম এক্কেবারে... বললাম... " তুমি কি বলছো খেয়াল আছে...!? তুমি জানো আমি তোমায় কি বলে ডাকি... কি চোখে দেখি... তারপরেও তুমি এমনটা বললে কেমন করে...!? সম্পর্কের সম্মানটাই তো ধুলিস্যাৎ করে দিলে... "... এ সম্পর্কে আসীন হওয়া আমার পক্ষে কোনদিন সম্ভব নয়.... রাগের চোটে সে আমায় ব্লক করে দিলো... এতদিনের এত হিসেব সব হারিয়ে গেলো... তার চেয়েও যেটা দু:খের সেটি হলো ভদ্রমহিলাটিও আমায় ব্লক করলেন বিনা কারণে... হয়তো ছেলের কথাতেই...
উলটে আমিও ব্লক করে দিলাম ( ভদ্রমহিলাকে পারিনি)... চূড়ান্ত অপমানিত মনে হয়েছিলো নিজেকে... এভাবে তো সব সম্পর্কেই বিশ্বাস হারিয়ে যাবে তবে....
সে অবশ্য অনেকদিন হয়ে গেল… একসময় ব্লক খুলেও দেওয়া হল…
এখনো অভিযোগ আসে... "তুই কমেন্ট তো করিসই না... লেখাও বোধহয় সব পড়িস না.. "
বলি... "না না... পড়ি তো... তোমার লেখা পড়বো না...! আসলে এত লোকে কমেন্ট করে সব বলা হয়ে যায়.. তাই আর কিছু লিখি না... " 🙂
মনে মনে বলি... ওই ভিড়ে আমি নেই...
একবার, বইমেলার মাঠে ছুটে এসে বই-এ স্বাক্ষর করে গেছে…আলতো জড়িয়েও ধরেছিল…
একটু দূরে আমার বাবা, বর আর মেয়ে অন্য স্টলে বই দেখছিল… আমি নয়নদাকে নিয়ে গেলাম সেখানে, পরিচয় করে দিলাম সবার সঙ্গে… কিন্তু, আশ্চর্য কী জানো!?... বিভু ওকে পাত্তাই না দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বই দেখতে লাগল… লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম বিভুর ব্যবহারে… এই হল বিভু।… আমার সব ব্যাপারে গুরুত্বহীন তুচ্ছতাচ্ছিল্য!
পরে নয়নদা মেসেজ করেছে... " বুঝলি তোকে দেখার পর মনে হলো... মরে গেলেও আর দু:খ নেই.. "
কিন্তু, কী জানো, ডাক্তারবাবু 😊!... শুধু হেসেছি... বিভুর ব্যবহার খারাপ লাগলেও, নয়নদার ব্যাপারে মনে মনে হেসে বলেছি... নয়নদা, সমঝদার হয়ে গেছি (‘সমঝদার’ শব্দটি ওর পদবীর ধ্বনিসাপেক্ষে এসে গেল 😊)... কোনটা ভণিতা আর কোনটা আবেগ... এই দুইয়ে ফারাক করতে আমি শিখে গেছি এখন... অত বোকাও নেই আর...!! 😊
অর্কঃ : শেষের লাইনদুটো কি আমার উদ্দেশে বললে!!... তা, কোনটা মনেহয়!?😊
মোঃ : অসভ্য 😊… পচা লোক একটা!! 😍😍
অর্কঃ : তোমার অত অভিজ্ঞতার পরও আমার কাছে আসতে ইচ্ছে করল!?
মোঃ : 😊 অরূপরতন কি আর সহজে মেলে... কতযুগ কেটে যায় তার সন্ধানে... কত ইতিহাস-ভূগোল বদলে যায় তার সন্নিধানে....
আর যার জন্য অজান্তেই চোখের জল আনন্দরূপ পরিগ্রহ করে তার উপস্থিতিতে এখন আমি পূর্ণ !
অর্কঃ : কিন্তু, এইভাবে নিজেকে আমার কাছে বিলিয়ে দিলে আমার যে তোমাকে কাছে রাখতে ইচ্ছে করবে… কাছে পেতে ইচ্ছে করবে…!!
মোঃ : এমন জোর না থাকলে থাকাও যায় না বুঝি... 🙂
অর্কঃ : কিন্তু, ‘ইচ্ছেরা’ তো তোমার ‘চাওয়ার’ কাছে ঘেঁষতে পারবে না!!
মোঃ : 🙂 " কাছে ঘেঁষতে পারবে না "... এমন কথা বুকে হাত রেখে বলতে পারবো না যে.... চাওয়াদের অভিমান হবে... 🙂
তখন তো জানতাম না, সে ঝড় হয়ে যে তুমি এসেছ আমার ঘরে!!...
ডাক্তারবাবু! বলো তো, শূন্যতা ছাড়া আর কোথায়ই বা তোমায় আসন পেতে দিই !?... সব জায়গাই তো অবাঞ্ছিত কালিমায় ধূসরিত!!
তুমি আমার শূন্যতায় প্রাণের আলোয় ভরিয়ে দিয়ে এসেছ… তুমি আমায় ছেড়ে চলে যেও না, প্লিজ!!
অর্কঃ : এ কী লিখলে গো!!... শ্বাস রুদ্ধ করে পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, এ অমৃত না গরল!...
সমুদ্রমন্থনে শুধু অমৃত তো ওঠেনি !!... এ যদি গরল হয়, তবে সে গরল না হয় তুমি আর আমি পান করলাম!!
কিন্তু, কেউ একজন গরল পান করে নীলকণ্ঠ না হলে অন্যেরা অমৃতের স্বাদ পেত না যে !!
তবে, এ কী রূপকথা শোনালে!!... এ পাঠ তো আমার আগে নেওয়া ছিল না! তুমি আমার হাত ধরে কোন ভিনদেশে পাড়ি দিতে চাইলে !!
মোহনা লিখল :
তোমায় খুঁজে করেছি কি ভুল কিছু !?...
জীবন তো শুধু জীবনেরই অন্বেষণ !...
ছুটে চলা শুধু না-পাওয়ার পিছু পিছু,
তার মাঝেই তো মঞ্চ সাজিয়ে
জীবনের অধিবেশেন!!
অর্কঃ -- আহা.. কী সুন্দর বললে… ঠিক বলেছ।
সময়ও অনন্তকাল খুঁজেছে এ প্রশ্নের উত্তর!...
থাক না সে সব জটিল বিশ্লেষণ বা মতান্তর....
সরিয়ে রাখো, হিসেবনিকেশ, ভাল-মন্দ-নিন্দে
পাশাপাশি বোসো,
মরণ যেখানে জীবন খোঁজে মনের অলিন্দে...
বলুক তো কেউ…
ঠিক বেঠিকের সংজ্ঞা কি আছে জানা !?...
ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ সবই তো দেখার ফের!
পরিবর্তন!! -- সে তো শুধু সময়ের বাহানা !
তবু জের টেনে চলা জীর্ণ বিবর্ণ অতীতের....
কোন কিছু নয় অপরিবর্তনীয় !
নিয়ম তো শুধু সময়কে ছুঁতে চাওয়া!...
বদলে যাওয়া সময়ই আনে যা ছিল অকল্পনীয়
ঝিনুকের বুকে সে যে মুক্তো খুঁজে পাওয়া!!
মোঃ --
বাঁচালে আমায়! আমার ভাবনা বাঁচে
তোমার অকুণ্ঠ সমর্থনের আঁচে ! ...
বারে বারে মনে ভীড় করে, 'এ কি অন্যায়!?...
এই মনে মনে পেতে চাওয়া পাগলের ন্যায়' !!
" ন্যায়-অন্যায় জানিনে " তো বলতে পারিনি...
জেনেই তো আমি তোমার অভিসারিণী,
দ্বন্দ্ব-দ্বিধা নিয়ে খেলি যত কানামাছি
জানি সবখানে -- তুমি আছ, আমি আছি!!😊
ডাক্তারবাবু, তুমি রূপকথা লিখতে পারো না?😊😊
অর্কঃ : এতদিন তো পারিনি!... তবে, তুমি এসেছ, এখন আমার কথা তোমার রূপের সোনার কাঠি ছুঁয়ে রূপকথাই হয়ে উঠবে!
এখন আর শুধু 'লিখব' কেন!?... রূপকথার রাজপ্রাসাদ গড়ে তুলব তোমাকে নিয়ে… অপেক্ষা করো।।
কিন্তু, এখন কী মনেহচ্ছে জানো!?...
রাত্রিগুলো তোমায় খুঁজে
ফেরে নিষিদ্ধ রাজ্যে...
জানে বাকী আছে,
আমার সাথে তোমার অভিসার যে!!!😘❤
0 Comments.