টাস্কফোর্সের সঠিক নজরদারির প্রয়োজন সর্ব প্রান্তে
কিছু অসাধু কর্মকর্তার পকেট গরম জনগণ থাকে ধন্দে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কালোবাজারির চলে রমরমিয়ে
প্রশ্ন জাগে মনে কালোবাজারি কি কোনদিন চিরতরে যাবে মুছে?
২। কবিতা
তুমি এক গভীর অনুভূতির সৃষ্টি
তোমাকে নিয়ে লিখেছেন অগণিত কবি
ইচ্ছে করে অন্যভাবে অনন্য কিছু ভাবি
তোমার গবেষণায় চলার পথের সাথী
শব্দ ধ্বনি বর্ণ বাক্যরা পাশাপাশি বসে
নিজ ছন্দ লয় বর্ণনায় গতিময় লেখনীতে
মনের সুপ্ত ইচ্ছে বাসনা ভাবধারা প্রকাশে
ডাইরির পাতায় পেনের নীবের আঁচড় কাটে
কবিতা তোমাকে নিয়ে ভেবে নিশিযাপন
বাহ্যিক চাওয়া-পাওয়ার লোভ বিসর্জন
লেখনী একটা সাধনা কবির কাছে সন্তান স্নেহ
কবিতা অলিখিত প্রেমিকা অনুপ্রেরণা
প্রেরণা প্রাণ যোগায় আমার লেখার...
৩। সময়
সময় বয়ে যায় কালের নিয়মে
সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা প্রহরে দিনে
সময় অমূল্য তার গতিময় মুহূর্তে
সময় ঝর্নার স্রোতের ধারার মতো বয়ে চলে নির্বিঘ্নে
সময় ভালো খারাপ স্মৃতিতে জড়িয়ে
আজ যা বর্তমান কাল অতীতে
সময় কি নিষ্ঠুর তার পরিণতিতে
অপেক্ষায় জীবন সময় নির্ঘন্টে
সময় ছুটি নিতে চায় গতিময় জীবনে
একঘেয়েমি জীবন দুর্বিষহ ছন্দহীনে
সময় কে কি একটু সময় দেওয়া যায় তার নিরীক্ষণে
সময় কি ঠিক জবাব দেবে নীরব শব্দে
শব্দকে নীরবতা দাও নীরবতা একদিন উপন্যাস লিখবে...
খবর সংগ্রহ নয় বাস্তব উদঘাটনে তৎপর সদা
অদম্য সাহসী জীবনকে বাজি রেখে একা এগিয়ে চলা
হাতের বুম পেনের কলমে বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখা
খবর তৈরীতে নয় বাস্তবকে সমাজের সামনে রাখা
কখনো কখনো অপমানিত লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা
রাজনীতির যাঁতাকলে পড়ে হেরে না যাওয়া ইচ্ছা
সহ্য করে বিনা বাধায় দায়িত্বজ্ঞানের প্রাধান্য দেওয়া
আবেগ নিয়ন্ত্রণে চাটুকারিতা বর্জনে ক্ষুরধার ভাষা
শব্দ ভাষা প্রচ্ছদে খবর বর্ণনায় কলমকে হাতিয়ার
খবরের শিরোনাম সংবাদপত্রের পাতায়, টিভির পর্দায়
অবশেষে রিপোর্ট সামাজিক দায়বদ্ধতার অনন্য প্রকাশ
তুমি সাংবাদিক সত্যের পূজারী সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায়...
৫। অপেক্ষা
পৃথিবীর সমস্ত সুখের ডাকনাম যদি অপেক্ষা হয় তাতেই রাজী
অপেক্ষায় মনটা কোথাও যেন ধাক্কা খাচ্ছে সংশয়ে বারংবারই
আমার কল্পনায় ভালো থাকার সংজ্ঞা অন্যের কাছে তাই কি ?
সত্যিই কি ভালো থাকা কাকে বলে জানা কারো আছে নাকি !
অপেক্ষা অপেক্ষা শুধুই অপেক্ষা আর কত দিন ধৈর্যের পরীক্ষা
ক্লান্ত অবসন্ন মন মানতে চায় না সময়ের ঘেরাটোপে বন্দীর দশা
মন মুক্ত হতে চায় চিন্তা গ্লানি অতীত মুছে সোনালী ভবিষ্যৎকে আশা
ঘরবন্দী মন একাকী জীবন তরী বাইতে হবে কে দেখাবে আলোর দিশা ?
সময় ও জলের স্রোত অপেক্ষায় থাকে না বয়ে চলে নিজের নিয়মে
গতিময়তাই জীবন থেমে যাওয়াই মৃত্যু অপেক্ষারত মুহূর্তরা কখন থমকে
অপেক্ষা কিসের অপেক্ষা কেন মন প্রশ্ন করে নিজেই অজান্তে
অপেক্ষার ফল মে মিষ্টি হবেই তার কি কোন লিখিত প্রমাণচুক্তি আছে ?
কথায় বলে সুখ ক্ষণস্থায়ী আধুনিকা আপন পরের খেলা
দুঃখ কখন উঁকি দিয়ে দেখি ভাসিয়ে দেবে সুখের ভেলা
ডুবতে ডুবতে খরকুটো কে আশ্রয় করে বাঁচার স্বপ্নে আশা
অপেক্ষার অস্তিত্ব শেষ হয় যেখানে ঋণী থাকে নিমন্ত্রিত সর্বনাশা ...
তিন ইঞ্চির মোড়কে সঙ্গী ক্যান্সারের আহবানে
ছাই হয়ে উড়েছে জীবনের অনুভূতি অতৃপ্ত আবেগে
ভালোবাসা যেন তীব্র দহনে ছাই হয়ে ঝরে পড়ছে
অনুভূতি নিমেষেই মিশছে ওই মায়াবী নীলাম্বরী চোখে
ছাই কি কখনো প্রিয় হতে পারে তোমার শরীরে
অত্যাচারীর জ্বলন্ত সিগারেট যখন দেহ স্পর্শ করে
অবলা অসহায় অত্যাচার কখনো সহ্য করে মুখ বুজে
বিষাক্ত স্মৃতির পাতায় চিহ্ন রেখে যায় ওই কালো দাগে
আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষমা নেইকারো কখনো
সব আগুন কি নেভানো যায় অজান্তে চলে দহন
সুন্দর শরীর দু মুঠো ছাই শ্মশানের চিতায় ভষ্মিভূত
ছাই উড়িয়ে অমূল্য রতন কি পাওয়া যায় জাগে মনে প্রশ্ন!
0 Comments.