Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

কথায় গানে সৌমজিতা সাহা

maro news
কথায় গানে সৌমজিতা সাহা

মাত্র সাড়ে চারে মায়ের কাছে হাতেখড়ি, প্রথম পরিচয় কবির সাথে। কালক্রমে "গানের রবি " কখন যেন "প্রাণের রবি " হয়ে উঠেছে দেখতে দেখতে!
গুরুদেবকে উপলব্ধি করেছি বহু বহু পরে, আর চিনে উঠতে আজও পারিনি। প্রকৃতির সপ্তসুর কবিকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে একগুচ্ছ গান, যার সংখ্যা প্রায় 2200( মতান্তরে কিছু কম বা বেশী )। এই সঙ্গীত প্রেমিক কবি তাঁর প্রায় প্রতিটি গানের সাথে বেঁধে গেছেন হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত তথা ক্লাসিকাল ও নিজের সৃষ্টিকে।
হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সংগীতের মূলত 10টি ভাগ, যেগুলি "ঠাট " নামে পরিচিত। এই ঠাটের অধীনে রয়েছে অজস্র রাগ, যাদের প্রত্যক্ষ ছোঁয়া আমরা দেখতে পাই রবীন্দ্রসৃষ্টিতে।
"ছায়ানট" রাগের উপর রচিত 'সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি', বা "কল্যাণের" উপর রচিত 'মহাবিশ্বে মহাকাশে ', অথবা "পিলু" রাগের উপর রচিত 'আমার পরান যাহা চাই' কিংবা "বেহাগ "কে কেন্দ্র করে রচিত 'সজনী সজনী রাধিকালো' - কবির অনবদ্য মেলবন্ধন এরই কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।

"ঔরব - সম্পূর্ণ " জাতিযুক্ত রাগ হলো 'কল্যাণ ' যার বাদী 'গ' এবং সমবাদী 'ধ'। কল্যাণ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত এই রাগ এবং এর গাওয়ার সময়কাল রাত্রির প্রথম প্রহর অর্থাৎ সন্ধ্যে 6টা রাত 9টার মধ্যে। 'ম ' ও 'নি' বর্জিত আরোহন এবং তীব্র 'ম ' ও সমস্ত শুদ্ধ স্বর যুক্ত অবরোহন যেন প্রথম রাত্রির নিদারুন ঝংকার এর সৃষ্টি করে।
গুরুদেব এর এই রাগাশ্রিত রচিত "মহাবিশ্বে মহাকাশে " গানটি যেন তারই উদাহরণ স্বরূপ।

"মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে

আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে ॥

তুমি আছ, বিশ্বনাথ, অসীম রহস্যমাঝে

নীরবে একাকী আপন মহিমানিলয়ে ॥

অনন্ত এ দেশকালে, অগণ্য এ দীপ্ত লোকে,

তুমি আছ মোরে চাহি-- আমি চাহি তোমা-পানে।

স্তব্ধ সর্ব কোলাহল, শান্তিমগ্ন চরাচর--

এক তুমি, তোমা-মাঝে আমি একা নির্ভয়ে ॥

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register