Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

maro news
গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

১| চৌপদী

অবশেষে বোঝা গেলো তিনি কেন হেলে থাকেন।
বলো চতুর অন্ধকার।

এলাচ ও দারুচিনি তার মতো সুগন্ধ বহন করে
হেসে ওঠে কুয়াসায়।
রাতের ত্রিবলী ভাঁজে আমাদের অনির্বাণ ফিসফিস
ডাহুক প্রেমিক ডুমুরের ডালে সমূহ খসখস রেখে
বাম আকাশে উড়াল দেবে।

তার অস্থি থেকে নির্মিত মানচিত্রের ভেতর
কোন মির্জাফরের পতিত দৃষ্টি নেই।

আমরা সব বর্ণসোহাগী।
নক্ষত্র নিনাদের কতটুকু বুঝি ।
এই নাও জন্মের বিপ্রতীপ ছুতো।
রূপময় হেলে থাকো নিজস্ব প্রতাপে।

২| ড্রামবাদক

যে কোন ড্রাম বাদক তার শত্রুকে চিহ্নিত করতে অক্ষম।
বরং নিরাসক্তির নোটেশান গুলো থেকে শীতল হাই উঠতে থাকলে বেহুঁশ বোতাম থেকে কে যেন তাকে ডাকতে থাকে।

শিউলি অথবা সবেদা গাছের পাতার মত তার অংশগ্ৰহন ড্রাম থেকে খসে পড়ে এজমালি বলরুমে।

তার পেশাদার টুপির দলছুট পালক থেকে এক একটি তাৎক্ষনিক মস্করা অচেনা সংকেত দিতে দিতে
ভিড়ে যাচ্ছে অবসাদগ্ৰস্ত ড্রামস্টিকের গোলোক ধাঁধায়।

দেখো সারাদিন আজ সার্ভার ডাউন।
দলে না ফেরা ভুল ইষ্টোগ্ৰাম গুলো
তাকে আজ যন্ত্রসংঙ্গতে হারাতে পারবে কি।

৩| দায়বদ্ধ

সমস্ত জটিল অঙ্ক গুলোর উত্তর
যেন ভ্রাম্যমান সুন্দরী।
বদরাগী শিক্ষক যে তাদের এতটা ন্যেওটা হতে পারে জানা ছিল না।
অঙ্ক আর দর্শনের মধ্যে কখনো কখনো বাঁদরের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।
শুধুমাত্র অঙ্ক সফল দু'চারজন হরিদাস
বারবেলার হাট থেকে ফিরতে ফিরতে পথ গুলিয়ে ফেলে ছিল।
আমাকে তারা আলুবোখরার লোভ দেখিয়ে দিগন্তের হিসেব ধরিয়ে দেয়।
বিশ্বাস করুন আমি মাইরি পথ হারাতে চাইনি।
শুধু ঘাঘরার ভেতর থেকে ক্যালকুলাস পাখির ইশারা উড়তে দেখে বাসা খোঁজার উত্তর জানতে চেয়েছি।

এই মহানগরীর সব সিঁড়িরা লসাগু আর গসাগুর মধ্যে সাধারণ গুণিতক এর কোন জোড় আছে কিনা কখনোই বলবেনা।
বরং খোলসা করে বলা ভালো পাটিগণিত-প্রেমিকা আছে কিনা এড়িয়ে যাবেন।
এই লাগারিদম ঘটিত উত্তর না মেলা পর্যন্ত
দোহাই খাতা জমা নেওয়া দায়ে বদ্ধ উন্মাদ হলে
তার দায় আপনি নেবেন তো।

৪| আঁধার

তৎপর মেঘেদের তল্লাসী ছাড়া
একোন রাত্রি।
নিকোনো মঞ্চের পাশে ঠায় ঘুমিয়ে পড়া
অনাদায়ী ভালবাসা একোন জাতক।
পরম পিরিতি গুলো নাগরিক হেঁকে চলে
মথুরা সন্নাটা।
চিতাদের কাম থেকে খুঁটে নেওয়া আলোর শীৎকার
ভরনীয় আতাগাছে ব্যাপক ফুটেছে।
কোথাও কি সেতুদের অবৈধ তৎপর প্রসব বেদন।

তুমি থাকো নিরাকার
কোন ত্বরণ ঠিক হলে রাত্রি জাগিবে স্নানাগারে
একাকী তরল নিশা ঠুকরে ওঠে চরাচরে
নিজস্ব অঢেল ঘ্রাণ উদাসীন জারজ।

কৃষ্ণগহ্বর থেকে নাগরিক অন্ধকার
তোমাকে জিজ্ঞেস করে
কোন ছানবিন ছাড়া।
কোথাও চুরির ঘটনা জেনেছে চরিত্র
আলাপনপটু তৃষ্ণার্ত লিপি আজ প্রসাধনহীন।

কি কহিব আধার।
সেতুদের পাশে শুয়ে থাকা ভেন্নঘর রাতের রজনী।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register