Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪১

maro news
ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৪১

ফেরা

পরদিন রেডি হয়ে যখন বেরোচ্ছি, ঘড়ি বলছে সাড়ে ছয়টা। খাওয়ার বিশেষ ইচ্ছা আমাদের দলের কারুর ছিলো না, কিন্তু ওমা দেখি অত সকালেই দালিয়ার খিচুড়ি তৈরী। ওটাই ব্রেকফাস্ট। যত সাহেব সুবো ছিলো ঐ আশ্রমে সবাই দোনা হাতে তারিয়ে তারিয়ে খাচ্ছে। দেখে বেশ ভালো লাগলো। অতঃপর বেরিয়ে পড়া। আরো চার কিলোমিটার, তার মধ্যে শেষের দেড় কিলোমিটার খাড়া বোল্ডার। এই শেষের দেড় কিলোমিটার শরীর পুরো নিংড়ে নেয়, বিশেষত কাফ মাসল গুলো। যাইহোক কষ্ট শেষে গিয়ে পৌছনো গেলো গোমুখের সামনে। কিন্তু সেটি মোটেই গোরুর মুখের মতো দেখতে নয়, কখনো হয়তো ছিলো। এক বিশাল পান্না সবুজ পাথর, তার নীচ দিয়ে দ্রুতবেগে মা গঙ্গা আবির্ভূত হচ্ছেন। ওখানে কিছুটা সময় দাঁড়াই, মন ভরে মা কে প্রণাম জানাই। পাশ দিয়ে চলে গেছে তপোবন নন্দনবন যাবার পায়ে চলা রাস্তা। সাথী কয়েকজন চললেন সেই দিকে, আজ রাত সেখানেই কাটাবেন তাঁরা। আমরা ফিরে চলি লালবাবা আশ্রমের দিকে। ঘড়িতে তখন দশটা। এলাচ লবঙ্গ দেওয়ার চা খেয়ে শরীরে যেন নতুন এনার্জি আসে। ঠিক করা হয় যে আজ আমরা উত্তরকাশী নেমে যাবো।
যেমন কথা সেই কাজ। তবে পিসতুতো বোন জেদ ধরে বসেছে, সে কিছুতেই আর ঘোড়ায় উঠবে না। মণি আঙ্কলের পিঠ ঝুড়ি করে নামবে। তাহলে ঘোড়াটি? ঠিক হয় আমি ঘোড়া নিয়ে এগিয়ে গিয়ে গাড়ি খুঁজে বার করবো। বাকিরা সবাই নীচে নেমে মালপত্র নিয়ে নেবে ধর্মশালা থেকে। নীচে নামা শুরু হয়। সবাই পিছনে পরে থাকে, আমি ঘোড়ার পিঠে আর বাবা ঘোড়ার সাথে তাল মিলিয়ে। অনেকটা নামার পর খানিক বিশ্রামের জন্য দাঁড়াতে হয়। বাবা কে বলি… কয়েক বছর পর আবার আমি তুমি আসবো কেমন?
বাবা খানিক চুপ করে থেকে বলে… আমার হয়তো আর আসা হবে না।
কে জানতো সেটাই সত্যি হবে ভবিষ্যতে??

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register