Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১৪

maro news
ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ১৪

দুই পা ফেলিয়া

উঠলো বাই... চলো... তাহলে ক্ষীরাই যাই... আজকের ভ্রমণের সারমর্ম এটাই। আজ বহু দিন পর লং ড্রাইভে গেলাম। এক বন্ধুর সাথে প্ল্যান ছিলো দেউলটি যাবো, কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখবো, রূপনারায়ণে নৌকা চড়ে অনেক ছবি তুলবো। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা।
অথচ যাত্রা পথের সুচনা মসৃণ হয়েছিল। ঝকঝকে রাস্তা পেয়ে চাকায় তুফান তুললো আমার অ্যাভেঞ্জার, সকাল সাড়ে দশটায় স্টার্ট করে বারোটায় দেউলটি। কিন্তু কথাশিল্পীর বাড়িতে পৌঁছে পিলে চমকে গেলো। থিকথিক করছে ভিড়। এতোটাই যে মনে হলো যে করোনা না ফ্রাস্টু খেয়ে নিজের নাম দেবদাস করে ফেলে। ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করাও বৃথা। অতএব রূপনারায়ণের পাড়। সেখানেও সেম কেস। পিকনিক পার্টি আর ডিজে বক্সে ছয়লাপ। একটা নৌকা জোগাড় করে যে চড়বো, সে গুড়ে বালি। কি আর করা। হঠাৎ করেই ঠিক হলো ক্ষীরাই যাবো। গুগল ম্যাপ জানালো আর ৩৮ কিমি মতো যেতে হবে। ব্যস ঘোরাও চাবি, ছোটাও বাইক। গন্তব্যর কাছাকাছি পৌঁছে, এক গ্রাম্য মানুষের সহায়তায় একটি শর্টকাট ও পাওয়া গেলো। সব মিলিয়ে যখন পৌঁছে গেলাম তখন ঘড়ি বলছে পৌনে দুটো।
কিন্তু এখানেও ভালো মতো ভিড়। তবে তা আশপাশের সৌন্দর্যে বাধা প্রাপ্ত করতে পারেনি। চারদিকে ফুল ফুটে আছে। লাল, কমলা, সাদা যেদিকে তাকাই না কেনো ফুল বলছে ধন্য আমি মাটির পরে। ভিড় কে কাটিয়ে আল পথ ধরে এগোই। ফুলের বনে হারাতে বেশীক্ষণ লাগেনা। মন প্রাণ ভরে শুষে নিতে শুরু করি ফুলের রং রস গন্ধ। কিন্তু ভিড় বাড়তে থাকায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এ মন আমার হারিয়ে যায় কোনখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এদিক সেদিক ঘুরি, ওখানকার ফুল চাষীদের সাথে কথা হয়। আরেকটি অদ্ভুত ভালো লাগে, বাগানের ঠিক ওপর দিয়ে রেলপথ। চারদিক কাঁপিয়ে ছুটে যায় ট্রেন, ঠিক বাগান কে বাইসেক্ট করে। রঙের মাঝে ধাতব অভিসার.. দেখতে বড়ো ভালো লাগে।
বেলা বাড়ে, ভিড় ও বাড়ে। ঘরের ছেলে ঘরের পথে ফিরে চলি। রাস্তায় ধাবায় দাঁড়িয়ে খাবার খাই। সন্ধ্যা নামে আমার শহরে, আমি আর বন্ধু যে যার ঘরে ফিরি।
ওখানে দাঁড়িয়ে ঠিক করি যে পরের শীতে আবার ফিরে আসবো, তবে ছুটির দিনে নয়, কোনো এক উইক ডে তে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register