ব্রাত্যর তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয়েছে নাগরদোলার দু'পাক ঘোরার আগেই,
কাচের ফুলদানিতে এখন আর ঘর সাজাতে
ভালো লাগে না।
কী যেন এক অনিশ্চিত আশংকায়
মনে হয় -- এই বুঝি পতনে ঘটবে বিপর্জয়।
ঢাকি চলে গেছে শেষ রাতেই - রেখে গেছে বছরান্তের সুপ্ত সুরের মায়া জাল, উৎসবের উন্মাদনায় পলিমাটির আস্তরণ,
এবার উঠতে হবে, এবার চিন্তার গুঁড়িতে ধোঁয়া দিয়ে মগডালে বাঁধবো লাল নিশান, অনিয়মের ডাকবাক্সে চিঠি না পাঠিয়ে ইনবক্সের সঙ্গে ভাব-আড়ি খেলা ...
খেলার ছলে চেয়ে নেব অন্য কোনো পূর্বরাগ।
অখণ্ডিত উপন্যাসের পৃষ্ঠা
কথা ছিল হেঁটে যাব সারাদিন - সারাপথ কথা ছিল মুঠোবন্দি ফোন ছেড়ে মুখোমুখি বসে দু'জনে -দু'জনার সমান্তরাল খুলবো কথার অনর্গল।
কথা ছিল জীবন নদীতে ভাসিয়ে মান্দাস অনন্ত ঢেউ গুনবো চার'চোখের পাতায় কথা ছিল নৌকার গলুই এ বসে ভাববো না নৌকাডুবির নৌকা-ডুবির খেলা
কথা ছিল মুক্তছন্দে ভরিয়ে নোটপ্যাডের স্ক্রিন একটা নয়,দুটো নয়- হাজার-হাজার কবিতার ডালি কথা ছিল পাহাড়ি নদীর ধারে ,নামহীন অসংখ্য রং বাহারি নাম না- জানা ফুলের-থালি
কথা ছিল , কথা ছিল - প্রজন্মের হাতে তুলে দেবো প্রত্যাশিত সাফল্যের ব্যাটন কথা হয়নি শেষ, তবু রয়ে গেল রেশ অসমাপ্ত এই উপন্যাসের ভগ্নাবেশ।
বৈধব্য আসবে আসবে করেও থমকে ছিল ময়নামতির ডালে - ফুল পাখি নদী নিয়ে কাটছিল \ ছেঁড়া তারের লঘু সংগীত।
দুর্গ রক্ষা আর হলো না -- এখন উদাসী চোখে তাকিয়ে থাকে নদীর চরে , যেখানে এখনও একটি পালতোলা নৌকা অন্তবিহীন অপেক্ষায় মেয়েটির কপালে পরিয়ে দেবে সিঁদুরের রক্ত চিহ্ন।
0 Comments.