- 50
- 0
লাইফ লেজার
রিক্তা নিজের স্বভাববশত ব্যাপারটার মধ্যে ইনভলবড হয়ে হয়ে পড়ে।"ও দাদা, বাসটা থামান। ওনার খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রাকৃতিক ডাক কি আর মেছেদা আসা অবধি অপেক্ষা করবে! থামান।"
"আরে এভাবে বাস থামানো যাবে না। আর একটু পরেই মেছেদা। একটু অপেক্ষা করতেই হবে।" রিক্তার মাথাটা গরম হয়ে ওঠে যথারীতি।" আরে প্রয়োজনে একটু থামালে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে শুনি! থামান থামান" - বলতে বলতেই ড্রাইভারের দিকে এগুতে থাকে রিক্তা।
বাস জুড়ে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে। রিক্তার সাথে অনেকেই সহমত জানাচ্ছেন। অথচ যার জন্য এতো শোরগোল সেই জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি রিক্তাকে লক্ষ্য করে বলে ওঠে," আপনাকে এতো ঝাঁসির রানী গিরি করতে কে বলেছে? থামুন আপনি।"
প্রতিবারের মতো রিক্তা এবারেও চমকে চ হয়ে গিয়ে পুনরায় সিটে ফিরে থিতু হয়। বিদিশা ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলতে থাকে," বোঝ কান্ড। এবার শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে তো তোর!"
রিক্তার মাথা জ্বলতে থাকে। নিজেকে নিজে সামলে নিতে চোখ বন্ধ করে সে। বিদিশা ফ্লাক্স বের করে বলতে থাকে, "চল চা খাই।" রিক্তা অসম্মতিসূচক মাথা নাড়ায়। কানে হেডফোন গুঁজে তারস্বরে গান চালিয়ে দেয়।
এমনি করে মিনিট দশেক পার হতেই, হাতের উপর মৃদু চাপ অনুভব করে সে। চোখ খুলে তাকাতেই দেখে বিদিশা কি বলে চলেছে। কিন্তু সে কিছু শুনতে পায়না গান চলছে যে!
বিদিশা ওর কান থেকে হেডফোন খুলে নেয়। বলে ওঠে," কি রে নামবি না? মেছেদা এসে গেছে।"
0 Comments.