- 64
- 0
লাইফ লেজা্র
কারুর জন্য অপেক্ষা করা মানে দীর্ঘক্ষণ ই করতে হয় । ঠিক সময়ে কেউ এসে পৌঁছায় না । বিদিশা এমনিতেই লেট লতিফ। তাই ক্রমান্বয়ে ফোন করতে থাকে সে । তাতেও দশ মিনিট লেট করে পৌঁছায় পক্ষী রাজ ।
মায়ের সাথে হাল্কা কথোপকথন সেরে ,পক্ষী রাজ বিদিশার চেনা টোটো দা সকালের নিস্তব্ধতা ভেঙে ঘরঘর শব্দ তুলে ছুটে চলেছে।
দুই বন্ধুর কথপোকথনে ও হাসির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারিপাশ । ঠিক সময়ে চাপাডালি পৌঁছে ওরা দেখে বাস তখনো আসেনি । তারপর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। অবশেষে বাস এসে পৌঁছায় । ওরাও বাসে উঠে চার পাঁচ সিট নম্বরে থিতু হয়ে বসে ।
চাপাডালি থেকে বাসে উঠলে বেশ মজার ঘটনা ঘটে প্রতিবার । বাস ওদের স্টপেজ পূর্বাচলের উপর দিয়ে ছুটে চলে । আসলে এখান থেকেই ওঠা যেতো ,কিন্তু রিক্স নেওয়া যায় না । যদি ধা করে বেরিয়ে যায় বাস।
বাসে উঠেই আড্ডা শুরু হয় তুঙ্গে। আড্ডার পরিসরের কোনো ঠিক ঠিকানা থাকে না । আজকাল বারাসাত এলাকার বউরা পালাচ্ছে প্রতিদিন। এটাই মুখ্য খবর । বয়ফ্রেন্ডরা বউদিদের নিয়ে পালাচ্ছে। আরে ওরা কি পুনরায় ঘর সংসার করবে ? নাকি ফূর্তি লুটে চলে আসবে ? আর ওদের বরে রা সব ধোয়া তুলসি নাকি ? বউ দের সব দোষ! রিক্তা বলতে থাকে ," বর রা এতকাল করে এসেছে , এখন সম অধিকার । তাই মেয়েরা এখন করছে । বেশ করছে । আচ্ছা , এই সব বয়ফ্রেন্ডরা সব কারা ? এরা কি সব বেকার পান্ডব ! " বিদিশার মক্ষোম উত্তর ," সে কি জানি ভাই ! তবে তো একখান প্রেম করে দেখতে হবে ! "
"প্রেম ! প্রেম বলে কি আদৌ কিছু আছে রে ? সব শরীর । সব শরীরের খেলা । রাস্তার কুকুরের সাথে মানুষ এখন সমগোত্রীয় হয়ে পড়েছে ___"বলতে থাকে রিক্তা । ক্রমশ
__"বলতে থাকে রিক্তা ।
ক্রমশ
0 Comments.