- 69
- 0
লাইফ লেজা্র
আর মনে মনে ভাবতে থাকে কিছু নিতে ভুলে গেলো না তো -
ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে নেলপালিশ পরা হয়নি। তাই ওঠার তাগিদ মনে করে রিক্তা। অর্ধেক উঠে পড়েছে প্রায়, মা বলে ওঠে," এখন আর উঠতে হবেনা। নেলপালিশ দীঘা গিয়ে পড়িস।" আচ্ছা মায়েরা সব বুঝে যায় কি করে?
অগত্যা শুয়ে পড়ে সে। তাড়াতাড়ি শুলেই কি ছাই ঘুম আসে আর! ঘুম তো অভ্যেস বশতঃ আসবে, রোজ যে সময় আসে রিক্তা চোখ বন্ধ করে ঘুমের অন্বেষণে।
আধো ঘুমে আধো জাগরণে আজও আবার কুর্চি এসে হাজির। রিক্তা ওকে কোলে তুলে অনেক আদর করে। ওর নিস্পাপ মুখের দিকে তাকালেই যেন, স্বর্গসুখ। কুর্চির মায়াভরা মুখের দিকে তাকালেই, বোঝা যায় ওর খুব খিদে পেয়েছে। তাই জামার বোতাম খুলে ওর মুখে গুঁজে দেয় দুধকাঠি। এভাবেই ঝম করে ঘুম নেমে আসে।
"মা, তুমি একা যাচ্ছো দীঘা?"
"আরে না রে, আমাদের মাতব্বরি গ্রুপের বিদিশার সাথে দুরাত তিনদিন। খুব মজা হবে দেখিস"
"সাবধানে যেও কিন্তু, কেউ ভালো নয় আজকাল।" রিক্তা ওকে ধমকের স্বরে বলে," ওই তুই খা মন দিয়ে, বেশি পাকা পাকা কথা বলিস না । ও আমার আজকের বন্ধু! কিচ্ছু হবে না। মেলা বকিস না।" কুর্চি তাও বলতে থাকে, " তুমি এত সহজ কেন মা?" কুর্চি দুধের বোঁটা মুছরে ছেড়ে দেয়। মায়ের দুগালে চুমু দিয়ে খাট থেকে নেমে গট গট করে চলে যেতে থাকে -
প্রতিদিনের মত ওকে ধরার প্রাণপন চেষ্টা করতে করতেই রিক্তার ঘুম ভেঙে যায়।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটে। অদ্ভুত এক ভালোলাগা এবং সংশয় রিক্তাকে জড়িয়ে ধরে। খাট থেকে নামার সময় সে খেয়াল করে জামার বোতাম খোলা। অগোছালো টলমল পায়ে সে বাথরুমের লাইট জ্বালায়।
0 Comments.