- 7
- 0
পুপুর ডায়েরি: ৮২
৮১ তো যা বলছিলাম।
পুপুর ছোটো বেলাটা, পুপুর রাঙা আর কুট্টি মাসির ঘাড়ে ঘাড়ে।
এরা আইডেন্টিকাল টুইন। এমন একরকম যমজ, যে এদের বাচ্চারাও অনেক সময় গুলিয়ে ফেলতো।
এখনো অনেক বাইরের মানুষ গুলিয়ে ফেলেন।
আমি কিন্তু কখনও গুলিয়ে ফেলিনি। চেহারা নয়, গলাও নয়। এদের সঙ্গেই আমার চেহারার মিল।
মা তো ক্ল্যাসিক্যাল বিউটি। একেবারে যামিনী রায়ের আঁকা দুর্গা ঠাকুর।
আমরা একটু সাহেবি প্যাটার্ন। চৌকো মুখ, হাই চিক-বোন, লালচে কমপ্লেক্সন, লালচে চুল, তবে অনেক চুল, সবারই।
তাই মাসিরা যখন লোককে বলে, এই যে, আমাদের বড়ো মেয়ে, আমার ফিট করে যেতে কোনো অসুবিধে হয় না।
আকাশে কত তারা। চুপ করে দেখছিলাম আজ এতক্ষণ।
এই দু্ হাজার এগারো সালে।
এর মধ্যে আমার মতো একটা ক্ষুদ্র মনের কোনো জায়গা বা দরকার আছে বলে মনে হয় না।
ফোর্থ ডায়মেনশান-এর কোথাও মা, বাবাই , রেক্টার সার, আন্টি, এদের কাছে, আমার ডিউ আদরের প্যাকেটগুলো তুলে রাখা আছে। বাড়ি যেতে পারলে ফের খুঁজে পাওয়া যাবে….
কিন্তু রাস্তা খুঁজে পাই কী করে?
কোথাও বেড়াতে যাবার পরে, কলকাতা ফিরে এসে, ফোন পেতাম একটা মিষ্টি গলার।
—- “ কোথায়? একবার গড়িয়াহাট আসবি নাকি? কত দিন দেখিনি মুখটা। ”
রাঙা মাসি। বাড়ির ল্যান্ড ফোনে ফোন এলেই মা বলবে , “ এই এবার এক ঘন্টা বক বক হবে। ”
বাবা মা ছাড়া, এই মানুষটার ও আমাকে দেখতে এত ভালো লেগেছিল কেনো, কে জানে
0 Comments.