Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ২২)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ২২)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট 

চারিদিকে আলো। এই ঘন অমাবস্যার রাতে আমি যখন নিমজ্জিত প্রাণ তখন আত্মা উন্মুক্ত সাজঘর থেকে বেরিয়ে নিজের পথ চিনে নেয়৷ আজকাল ব্রহ্মান্ড নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। কত অজানা যা বাড়তেই আছে৷ মনে প্রশ্ন জাগে রামায়ণ ঘিরে মহাভারত ঘিরে৷ নিজের দিকে তাকাই। কারও কারও কাছে আমিও ভিনগ্রহের৷ যেখানে আমাদের আত্মার অজ্ঞাত যোগসূত্র আছে হয়ত বা কিছুই নেই সবই শূন্য৷ আমরা এত লেখালিখি করি এত শব্দবন্ধ শুধু নিজের এক্তিয়ার ভুলে যাই না৷ অজ্ঞাত নিয়ে আলোচনা করার সময় থমকে যাই গণ্ডিকে ঢুকে পড়ি ধার্মিক সূর্যমুখী বাগানে৷ অথচ ভাবিনা কেন মন্দিরের উপরিভাগ সূচালো মহাকাশ যানের মত, কেনই বা প্রবেশপথের পর বড় হলঘর থাকে। কেনই বা সোনার মন্দির৷ এই এতো কেনর মাঝে অন্ধত্ব কিংবা শাস্ত্র নিজেকে জায়গা করে নিলেও কিছু মানুষের বোধ সেখানে বাঁধা পড়ে না৷ গত দুদিন আগে ট্রেনে ফিরছিলাম। চারপাশে দীপাবলির আলো। এই সবই আলোচনা হচ্ছিল সহযাত্রীদের সাথে। সদ্য পাশ করা ছেলেপুলে কত জ্ঞান তারাও কত ভাবে৷ আজ যান চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে৷ বছর বছর আগেও এমনই কিংবা এর থেকেও উন্নত বিশ্ব ছিল৷ থাকতেই পারে। যার উদাহরণ স্বরূপ থেকে গেছে পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকা মাথা উঁচু করা মন্দির। ঠিক যেন ভিনগ্রহের স্পেশশিপ। আলোচনায় উঠে এলো পৃথিবীর বাইরে যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেশ স্টেশন আছে তা সোনায় মোড়ানো হবে। না এ কোন বৈভব নয়৷ বিজ্ঞান৷ সোনা অলংকারের পাশাপাশি ধাতুও যার নানান ধাতব গুণাবলি রয়েছে৷ তবে? আমাদের মন্দিরের ভেতর যে দেবতা রয়েছে তারা কে? ভীনগ্রহের পদচিহ্ন? যাকে পূজো-আচ্চার মধ্যে আমরা মনে রেখেছি? স্মৃতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছি এক জেনারেশন থেকে আরেক জেনারেশনে? গণেশ, নরসিংহ এরাই বা এমন কেন? যোগসূত্র কি? আত্মা জানে। যেখান থেকে সে এলো যেখানে সে ফিরে যাবে সবই এক অজ্ঞাত সত্য। শুধু আমরাই সাধারণ থেকে আরও সাধারণে থেকে গেলাম। চিনলাম না পথ আর পথের উৎস৷ "অসতো মা সদ্‌গময় তমসো মা জ্যোতির্গময় মৃত্যোর্মামৃতং গময়। আবিরাবীর্ম এধি। রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম্‌।" অর্থাৎ, অসত্য থেকে আমাকে সত্যে নিয়ে যাও, অন্ধকার থেকে আমাকে জ্যোতিতে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে আমাকে অমৃতে নিয়ে যাও। হে স্বপ্রকাশ, আমার কাছে প্রকাশিত হও। রুদ্র, তোমার যে প্রসন্ন মুখ, তার দ্বারা আমাকে সর্বদাই রক্ষা করো। এই মন্ত্র উচ্চারণে আমাদের আসলেই কোন সার্থকতা নেই৷ যখন সত্য কে আলোকিত হিসেবে চাইতে পারব এবং তার পরিচয় প্রস্ফুটিত পদ্মের মতো জীবন পরিচয় দিতে পারব তখনই তার সার্থকতা। আলো হোক৷ কি আলো হবে? পথ৷ স্বচ্ছ পথ যা আমাদের পারাপারের যোগসূত্র৷ এই তুচ্ছ জীবনের চাওয়া পাওয়া ষড়রিপুর বাইরে মস্ত সংসার বৃহত্তর বিশ্বে সেই একমাত্র পথের খোঁজ তুমি দিতে পারো? কে সেই তুমি? কার হাত ধরে বৃত্তবদ্ধ জীবনসার টিকে আছে? এই এত এত প্রশ্ন নিয়ে ব্রহ্মের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি৷ বিতর্ক হয়৷ ভাঙি গড়ি আবার হাসি মুখে গাছের গোড়ায় জলও দিই৷ রোজ ফুল ফোটে আর এক পা এক পা করে আরও অজানায় ঢুকে পড়ি।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register