Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন (পর্ব - ১২৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন (পর্ব - ১২৯)

ফেরা

মনেস্ট্রি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে আবার চলা। আর তখন টের পাওয়া গেল লাদাখি মধ্যবয়স্ক ড্রাইভার আর কাশ্মীরী ছোকরা ড্রাইভারের পার্থক্য। যে কটা দিন কর্মা সাথে ছিল, অতো দূর্গম রাস্তাতেও এক চিলতে ভয় লাগেনি। আর এইদিন? উফফ সেই ছোকরার, বয়স খুব বেশি হলে কুড়ি একুশ, গাড়ি চালানো? স্পিড আশি থেকে নব্বই, কখনো কখনো একশো ছু্ঁইছুঁই। হেয়ার পিন বেন্ড হলে সত্তর। রীতিমতো আতংক ধরিয়ে দিয়েছিল। একবার ধমক দেবার চেষ্টা করলাম, শুনলোই না। এবার পাহাড়ি পথে কে আর ড্রাইভারের সাথে লাগতে যায় বলুন? যাক সব আতংকের যেমন শেষ আছে, তেমন একটি ছোট্ট জনপদে, বেলা আন্দাজ দুটো নাগাদ পৌঁছায় আমাদের গাড়ি। এইটাই কার্গিল, সাজানো গোছানো ছোট্ট শহর, পাশ দিয়ে সুরু নদী বয়ে চলেছে নিজের ছন্দে। মাটিতে পা ছোঁয়াতেই শিহরণ বয়ে যায় শরীরে। মনে পড়ে ঘটে যাওয়া কার্গিল যুদ্ধ, আর তার অমর শহীদ, সৌরভ কালিয়া, বিক্রম বাটরা, অনুজ নায়ারের কথা। দেশকে রক্ষা করতে তাঁদের ও আরো কতো লোকের আত্মবলিদান। একটি ওয়ার মেমোরিয়াল আছে, যেখানে আমরা আগামীকাল যাবো। একটা একদম নতুন হোটেলে ঠাঁই মেলে। জায়গা টা খাসা, প্রায় ব্যালকনির নীচ দিয়ে সুরু নদী বয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরী কাওয়া আর গরম গরম পকোড়া সহযোগে, তিনজনে ভালো ই জমে। একসময় আড্ডা থামে। আমরা একটু গড়িয়ে নি। যখন ঘুম ভাঙে, তখন সন্ধ্যা নামছে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register