Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মনিরুল ইসলাম (পর্ব - ৫)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মনিরুল ইসলাম (পর্ব - ৫)

রাজলক্ষ্মী

পরীক্ষার প্রতিদিন আমি আসবো। তুমি থাকলে আমার পরীক্ষা ভালো হবে। দুজনে কথা বলতে বলতে মসলা মুড়ি কিনে সাইকেলে উঠে বসলো। বাড়ির পথে রওনা হল। কথা বলতে বলতে শেষ হলো না বলা কথা। কখন বাড়ি চলে আসলো বুঝতে পারল না। আসলে মানুষের ভালো সময় গুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আজ শেষ পরীক্ষা। কলিমুদ্দিন প্রতিদিনের ন্যায় আজও বাড়ি থেকে গোছগাছ করে বেরিয়ে কমলা দের বাড়ি সামনে এসে সাইকেলের বেল বাজালো। কমলার মা বলল একটু দাড়াও বাবা সব গোছানো আছে এক্ষুনি বার হবে। কলিমুদ্দিন মনে মনে ভাবতে লাগল কথাটা আজ বলতে হবে। কারণ এরপর এত বড় সুযোগ আর কখনো পাওয়া যাবে না। এই কয়দিনে ভালোলাগাটা ভালবাসায় পরিনত হয়েগেছে। কলিমুদ্দিন ভালোবেসে ফেলেছে বাড়ির কাজের লোকের মেয়ে কমলাকে। কমলাও মনে মনে ভালবাসতে শুরু করেছে সে কথা কলিমুদ্দিন বুঝতে পারে। কিন্তু কমলার মুখ থেকে কিছু শুনতে পাইনি এই কদিনে। তাই সে আজ দৃঢ়সংকল্প নিয়েছে কথাটা বলেই ফেলবে। কমলা গুছিয়ে মা দাদিমাকে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লো।সাইকেলে উঠে বসলো।কালিমুদ্দি বেরিয়ে পড়লো। কেউ কোন কথা বলছেনা।বেশ কিছু দুর যাওয়ার পর কালিমুদ্দি মনে মনে ভাবতে লাগলো কথাটা বলবো নাকি এখন? না থাক।যদি ও মুখের ওপর না বলে দেয় তা হলে কি হবে? যদি এই কথার কারনে ওর পরিক্ষা খারাপ হয়।সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে পরিক্ষার সেন্টারে চলে এলো। -আজ শেষ পরীক্ষা মাথা ঠাণ্ডা করে লিখো। - ঠিক আছে। -সব আছে তো? - আছে। বলতে বলতে কমলা ভিতরে চলে গেলো।কলিমুদ্দিন সাইকেল নিয়ে গাছের গোড়ায় গিয়ে বসলো। সেখানে তাস খেলছে সবাই। কলিমুদ্দিন কোন দিন তাস খেলেনি।তবে মনোযোগ সহকারে অন্যের খেলা দেখতো।কিন্তু আজ মন বসছে না।কথাটা না বলা পর্যন্ত সে যেন শান্তি পাচ্ছে না। পরীক্ষা শেষ হলে কমলা বাইরে এল। প্রতিদিনের মত আজও জিজ্ঞেস করল পরিক্ষা কেমন হয়েছে। কমলা উত্তরে জানায় ভালো হয়েছে। আমার পরিক্ষা আজ শেষ। চলো আমি কিছু খাওয়াবো তোমার। আমার ভালো লাগছে না। আমি খাবোনা।তার থেকে চলো কিছুটা সময় আমরা হাটি। - দেরি হলে মা যদি কিছু বলে?
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register