Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় শিপ্রা দে

maro news
কবিতায় শিপ্রা দে

১। যা আছে বলার

শুনে যেও আজ যা আছে বলার যে কথা বলতে চাই সেই নীপোবনে ঘন বর্ষণে একবার এসো তাই।
ছিল অভিলাষ,ছিল কিছু আশ মনের ভেতরে ঢুকে মানে না শাসন,মানে না বারন বুকের নিলয় সুখে।
নীরবে নিভৃতে বাহুপাশে বেঁধে নিয়েছিলে মুখ তুলে আঁচলের ফুলে,বকুলের তলে গুঁজে ছিলে এই চুলে।
আজও সেই নিয়ে মনকে ভুলিয়ে ছিলাম যে অভিমানে আজ এই ক্ষণে ডাকি প্রাণপণে বুঝে নিও তার মানে।
হৃদয়ের কথা যতো আছে ব্যথা রেখেছিলাম এ'বুকে আকুল নয়নে শুনিয়ো ধেয়ানে আবেগ আবেশ সুখে।
ফুরালে সে কথা শোকে তরুলতা আঁধারের গায়ে চুপ বারি-বর্ষণ ঘন-গর্জন ধরায় ঝরিবে খুব।
নিশীথ নিবিড়ে যাও যদি ফিরে রজনীর অবসানে ঊষার আলোয় আমিও ফিরিবো জলভরা দু-নয়নে।
ক্ষণিকের তরে কম্পিত সুরে কিছু বোলো তবু কানে যা আছে বলার ভাষায় বুঝিও বুঝি না আঁখির মানে।

২। যুযুধান

দিন ফুরালে সন্ধ্যা নামে ব্যস্ত বধূ আপন কামে সকল কিছু ভুলে আজকে মনে পড়ে কথা বুকের মাঝে শত ব্যথা পাক ধরেছে চুলে।
সুদূর পানে তাকে দেখা চোখের নীচে বলিরেখা কোমল শরীরটাতে হাজার হাজার তারার মেলা চন্দ্র তারার ছিল খেলা খেজুর গাছের মাথে।
দেখছে বসে অবাক হয়ে চাঁদটা কেমন গেছে ক্ষয়ে একটু একটু করে সেদিনও যে ছিল কতো ঝিলমিলিয়ে আলো যতো নিষ্প্রভ আজ ঝরে।
স্তব্ধ রাত্রি একলা হাসে কেউ নেই আজ গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে ভগ্ন পাশেই নতুন চারার গাছে অনেক ফুলে ভরে আছে আজকে ওঁরা মগ্ন।
ভুলে গেছে বটের ছায়ায় বড়ো হয়েছে অতি মায়ায় আজকে হোলো ত্যাজ্য ঘড়ির কাঁটা অবিরত বাড়িয়ে দেয় মনের ক্ষত পেলো কি ওর ন্যায্য?
উঠোন জুড়ে জ্যোৎস্নাদ্যুতি হোতো যখন সে প্রসূতি চাঁদের আলোয় সে কি স্নান! কিচির মিচির সারা বেলা প্রেম প্রীতিতে করত খেলা আজকে পাকা যুযুধান।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register