Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ১৮)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ১৮)

স্রোতের কথা

পর্ব - ১৮

[ রহস্য, ইসপ্যামা আর... অনিন্দিতা ]
"মাই ডিয়ার ইসপ্যামিয়নস্... আমার বিলাভেড স্টুডেন্টস্ আর লাভিং নিউ ফ্লেজলিংস্ আমি তোমাদের সবাইকে আমার হার্টফুল ভালোবাসা আর অভিবাদন জানাচ্ছি..." মিরান্ডা ম্যামের অপূর্ব.... সুমিষ্ট.... প্রতিধ্বনিময় কন্ঠস্বর গোটা হলে অবাধ ভাবে ছড়িয়ে পড়ে মাথায় গিয়ে ধাক্কা মারলো.....সেটা সুপারম্যাজিক না টেকনোলজি বুঝতে পারলাম না। "আজ আমরা এখানে সবাই একত্রিত হয়েছি....গোটা উ্যনিভার্সের ভাগ্য এটা....কারণ এই ইসপ্যামায় যারা থাকে....আর যারা থাকার সুযোগ পায়....তারা প্রত্যেকেই নিঃসন্দেহে পৃথিবীর বাকি মানুষদের চেয়ে আলাদা....আর আমাদের নিজেদের ভাষায় নিজেদের মধ্যে বলতে গেলে পৃথিবীর বাকী মানুষদের থেকে সুপিরিয়র....আমাকে তোমরা বেশিরভাগই চেনো যারা চেনো না তদের বলছি... আমি 'মিরান্ডা প্রিস্টলি' দ্য হাই প্রিস্টেস অফ্ ইসপ্যামা.....আর আমার সাথে এই স্টেজে যারা আছেন সবাই প্রফেসরস্....প্রিস্ট এবং প্রিস্টেস.... আমি সবার সাথে তোমাদের প্রাথমিক আলাপ করিয়ে দেবো... তোমাদের সাথেও আমরা আলাপ করবো...তার আগে ইসপ্যামার সাথে তোমাদের পরিচয় হওয়া দরকার....কারণ এটাই আমাদের আসল পৃথিবী....বাইরের পৃথিবীর থেকে অনেক গুন বেশী সুন্দর.... পাওয়ারফুল....আর সুপিরিয়র...." আমি লক্ষ্য করলাম...'সুপিরিয়র' কথাটা প্রতিবার উচ্চারণের সময়ই মিরান্ডা ম্যামের গলার স্বরে আর মুখের অভিব্যাক্তিতে অসীম শ্লাঘা এবং অহঙ্কার ঠিকরে বেরোচ্ছ.... "মাইরি আর কি....যবে থেকে এই ইসপ্যামা লাইফে টপকে পড়েছে....জীবনটাই নাটক হয়ে গেছে বস্....আর এখানে এসে থেকে তো পুরো সিনেমা দেখছি....আর এখন তো হিরোইন কেও দেখে নিলাম....কি দেখতে মাইরি...পুরো একঘর...আর কি কায়দাবাজি..." পাশে বসা মিট্টি খিকখিক করে হাসতে হাসতে চাপা স্বরে আমার কানের কাছে ফিসফিস করলো... আমি হাসি চেপে কনুইএর গুঁতো মেরে ওকে থামতে বললাম... তারপর অন্যদের দিকে তাকালাম...প্যাম আর সুজান প্রায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে আছে মিরান্ডা ম্যামের দিকে...(ওনাকে প্রথম দ্যাখার এফেক্ট আর কি)... ওদিকে ডাইকো দেখলাম প্রার্থনার ভঙ্গিতে আঙুলে আঙুল জড়িয়ে প্রায় দেবিদর্শনের ভঙ্গি তে কি যেন বিড়বিড় করছে...প্রার্থনাই মনে হলো....... সমীরের মুখ টা এতটাই হাঁ হয়ে আছে যে আর একটু হলে খুলেই পড়ে যাবে... শুধু রিজ্ ছটফট্ করছে....একবার স্টেজের দিকে দেখছে.....একবার গেটের দিকে... আমি হলের সবার দিকে তাকালাম....সবাই এক দৃষ্টিতে স্টেজের দিকেই তাকিয়ে আছে....উইলি আঙ্কলকেও একঝলক দেখতে পেলাম....হলের দেওয়ালে ঠেস দিয়ে মন দিয়ে মিরান্ডা ম্যামের স্পীচ শুনছেন... "যাই বল্.... ইসপ্যামায় কিন্তু ঘ্যাম দেখতে সব ছেলে আছে...কি জানি বয়ফ্রেন্ড বানানোর জন্য আবার কোন্ ঢংএর.. কি রুল আছে....এখানে তো আবার সবসময়ই রুলের গুঁতো.... এই....এই স্রোত....ঐ বাঁদিকের থার্ড রো এর সেকেন্ড ছেলেটা অনেকক্ষণ থেকে তোকে আইটনিক দিচ্ছে.....মানে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে....দ্যাখ দ্যাখ..." "কি হচ্ছে মিট্টি....চুপ করে শোন্ না... এক্ষুনি ঝাড় খেলে??" মিট্টি জিভ কেটে একটু মন দেওয়ার ভান করে স্টেজের দিকে তাকালো.... কিন্তু ওর মুখে দুষ্টুমি মাখা হাসিটা ঝুলেই রইলো...... "আমাদের ইসপ্যামা এই ওয়ার্ল্ডের ভিতরে হলেও কিন্তু এই ওয়ার্ল্ড থেকে একদম আলাদা....বলা যেতে পারে ওয়ার্ল্ড আর হেভেনের মাঝখানের যোগসূত্র এই ইসপ্যামা..... সোজাসুজি গডেস্ এবং গডের আশীর্বাদ ধন্য...." "এতো হ্যাজাচ্ছে কেন মাল....আসল কথায় এলেই তো পারে... ।‌" মিট্টি উসখুস করে উঠলো..... "মিস্ মাহাতো.... আমি বুঝতে পারছি... তুমি একটু অধৈর্য্য হয়ে উঠেছ... কিন্তু ডিয়ার... একটু ধৈর্য্য রাখা...মনসংযোগ করা যে তোমাকে শিখতেই হবে...." হঠাৎ নিজের নাম শুনে মিট্টি হকচকিয়ে গেল....ব্যাপার বুঝে নিমেষে আমি স্টেজের দিকে তাকিয়ে ভালোমানুষ.... মূহুর্তে সব কটা চোখ মিট্টির দিকে...আলোহাদের গ্রূপটা থেকে কয়েকটা টন্ট করা রিমার্ক উড়ে এলো....মিট্টি অস্বস্তিতে.... লজ্জায় কোথায় লুকোবে বুঝে উঠতে পারলো না... আমি মিট্টিকে ফিসফিস করে বললাম.."ছটফট না করে ডিগনিটি নিয়ে চুপ করে শান্ত হয়ে বসে থাক্" "যাই হোক্ যা বলছিলাম.... আমাদের এই ইসপ্যামাগুলোকে রক্ষা করেন স্বয়ং গডেস্ রা আর তাদের প্রতিনিধি স্বরূপ বেশ কিছু প্রিস্টেস আর প্রিস্ট রা....আর সুপ্রিম ডিন এ্যান্ড হাই প্রিস্টেস তো আছেনই সবার মাথার উপর... তাঁর মাধ্যমেই গডেস্ রা ইসপ্যামার কর্তব্যকর্ম সামলান....তাকে তোমরা আর একজন গডেস লাইক্ বলতেই পারো ..." অসম্ভব পরিশীলিত এক গর্বের হাসি হাসলেন মিরান্ডা.. আমি স্পষ্ট দেখলাম.... স্টেজের উপর প্রফেসর হাসান অস্বস্তিতে নড়েচড়ে বসলেন....যদিও অন্যান্য রা চিত্রার্পিতের মতো মিরান্ডার দিকে তাকিয়েই আছেন... "আমাদের ইসপ্যামাকে চারজন গডেস্ চারদিক থেকে রক্ষা করেন....সুরক্ষাচক্র দিয়ে ঘিরে রাখেন.... পূর্ব দিকে গডেস্ কুরুকুল্লা ও তাঁর সঙ্গী বা কনসর্ট অবলোকিতেশ্বর......পশ্চিম দিকে গডেস্ নিক্স ও তাঁর কনসর্ট গড এরেবাস্..... উত্তর দিকে গডেস্ হেকেটি ও তাঁর কনসর্ট এইটিস্ আর দক্ষিণ দিকে গডেস্ মহাকালী আর তাঁর কনসর্ট রুদ্রভৈরব..... এঁরাই আমাদের ইমপ্যামিয়নদের আশীর্বাদ স্বরূপ নিজেদের শক্তির অংশ দান করেন....তাদের শক্তিশালী করে তোলেন.... আবার এর সাথে অতিরিক্ত কিছু পাওয়ার নিজের ক্ষমতায়ও আয়ত্ত করা যায়....যেমন আমি করেছি..... আবার শুরু হলো..... কিছু ফুটেজ খেতে ভালোবাসেন এই মহিলা.... আমি মনে মনে ভাবলাম.. " আমাদের মধ্যে কারো কারো মধ্যে ডেমনিক পাওয়ার আছে....যেমন ভ্যাম্পায়ার....ওয়্যারউলফ্... কারোর ভিতরে যেমন উইচের ডার্ক পাওয়ার আছে... আবার কারোর কারোর মধ্যে গডেসের পজিটিভ আর ডার্ক দুটো পাওয়ার মিলেজুলে আছে....তবে বাইরের পৃথিবীর লোকজন ছোটবেলা থেকেই তোমাদের যে সব আনএথিক্যাল... উল্টোপাল্টা ভ্যাম্পায়ার,উইচ্ ওয়্যারউলফের বেডটাইম স্টোরিজ শুনিয়ে শুনিয়ে বড়ো করে...ব্যাপারটা কিন্তু একদমই সেরকম না... আসলে যারা দূর্বল....অক্ষম হয়...তারা নিজেদের সামর্থ্যের....সাধ্যের বেশি কিছু আর নিজেদের থেকে সুপিরিয়র কিছু দেখলে ভয় পায়...আর নিজেদের স্বান্তনা দিতে বানিয়ে বানিয়ে গল্প তৈরী করে...ঐ অনেকটা আঙুর ফল টকের মিথের মতো...." আমি ভাবলাম মিরান্ডা ম্যামের সবচেয়ে প্রিয় ওয়ার্ড বোধহয় 'সুপিরিয়র' "অতএব এতদিন পর্যন্ত গড়ে ওঠা ধ্যান ধারণা ভূলে তোমরা যে গডেসের ব্লেসিংস পেয়ে অন্যান্য মানুষের থেকে সুপিরিয়র হয়েছ....আর কিছু সুপার পাওয়ার পেয়েছ.....আর ইসপ্যামা তোমাদের আরো শক্তিশালী করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে....তার জন্য ইসপ্যামা কে আর গডেস্ দের থ্যাংকস্ দাও..."।.... এখানে তোমাদের সবসময় চেষ্টা থাকবে.....কিভাবে নিজেদের আরো শানিত করে তুলবে....আরো বেশি কিছু শিখে নিজেদের উন্নতি ঘটিয়ে উ্যনিভার্সের প্রয়োজন মতো সেই পাওয়ার কাজে লাগাতে পারবে। আর বাকি সব কিছু তোমরা আস্তে আস্তে শিখে যাবে....সব প্রশ্নের উত্তরই পেয়ে যাবে...." "এবার পরিচয়ের পালা.... আমার সঙ্গে এখানে প্রেজেন্ট আছেন....প্রফেসর প্রিস্ট আদিল হাসান....উনি আমার কনসর্ট ও.....আছেন প্রিস্টেস ডায়ানা.... উনি তোমাদের আর্ট অফ মেটামরফসিস শেখাবেন....তা ছাড়া উনি গডেস্ হেকেটির চিফ্ প্রিস্টেস....প্রিস্টেস আলিশা.... উনি তোমাদের কি করে এ্যানিম্যালদের ডিল করে তাদের ভাষা বুঝে তাদের কাজে লাগাতে হয়...শেখাবেন....আছেন প্রিস্টেস...রোশনাই জাহান....আছেন প্রিস্ট টাইরাসিয়াস.....উনি মাঝে মাঝে প্রিস্টেস ও হয়ে যান.....উনি নিক্সের চিফ প্রিস্টেস......আছেন প্রিস্ট অনিরুদ্ধ...প্রিস্টেস অগ্নিরূপা....প্রিস্ট সৌম্যদেব...প্রিস্টেস অহনা ...যিনি মহাকালীর চিফ প্রিস্টেস....আছেন প্রিস্টেস তাশি ডোমা.... ওনার কনসর্ট, প্রিস্ট অনিতেজা... প্রিস্টেস তাশি আবার গডেস কুরুকুল্লার চিফ প্রিস্টেসও...আর বাকিদের ধীরে ধীরে চিনবে... এদের মধ্যে থেকেই এক একজন তোমাদের মেন্টর হবেন.... তিনিই হবেন এই ইসপ্যামা তে সব ব্যাপারে তোমার গাইড্ এবার তোমাদের পালা.... আমি প্রিস্টেস অগ্নিরূপা কে দায়িত্ব দিলাম....যারা নতুন ফ্লেজলিং আছো....এক এক করে আসবে নিজেদের পরিচয় দেবে...আর কোন্ গডেসের ব্লেসিংস পেয়েছ তা সবাইকে দেখাবে....তারপর ডিনার....আর তারপর আসল কাজ.....ফাইভ এলিমেন্টের মধ্যে কোন কোন এলিমেন্টের উপর তোমাদের কার কার কন্ট্রোলিং পাওয়ার আছে বা নেই... আর তোমাদের অন্য এফিনিটি গুলোও আমরা এক্সপ্লোর করবো....এই পুরো প্রসেসটাই ইসপ্যামার গ্রাউন্ডে হবে....ঠিক আছে তাহলে....??" বলতে বলতেই মিরান্ডা ওনার নাম লেখা রাজকীয় চেয়ারটাতে বসে পড়লেন....আর আগুনের মত রূপের অধিকারী প্রিস্টেস অগ্নিরূপা মিষ্টি হেসে মিরান্ডার দিকে তাকিয়ে একটু মাথা নেড়ে পোডিয়ামে এসে দাঁড়ালেন..... " মাই ডিয়ার প্রেটি গার্লস এ্যান্ড হট্ বয়েজ...এখন আমি এক এক করে তোমাদের ডাকবো...তোমরা এখানে উঠে আসবে....নিজেদের ছোট করে পরিচয় দেবে আর যে গডেসের ব্লেসিং গিফ্ট পেয়েছ সেটা এই ম্যাজিকাল ট্রে তে রাখবে...ট্রে নিজেই হলের সবাই কে গিফ্ট টা দেখিয়ে আবার এই প্ল্যাটফর্মেই ফিরে আসবে।......তাহলে শুরু করা যাক.....
"এক মিনিট" একটি মহিলা কন্ঠের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়লো গোটা হল্ জুড়ে.... এতক্ষণ শোনা মিরান্ডা ম্যামের গলার চেয়েও যেন মনোমুগ্ধকর আর অন্তরস্পর্শী..... আমরা সহ হলের প্রতিটা প্রাণী চমকে ঘুরে তাকালাম হলের এন্ট্রি গেটের দিকে...আর কারো কি হোলো তা বলতে পারবো না.... আমার যেন গোটা অস্তিত্বটা দুলে উঠলো.....কেনই বা উঠবে না......যাকে কিছুক্ষন আগে গডেস হেকেটির আন্ডারওয়ার্ল্ডে যাওয়ার পথে স্বপ্নে(?) দেখলাম.....সেই চেহারা বাস্তবে আমার সামনে যদি এসে দাঁড়ায়.... তাহলে বিস্মিত হওয়া কি খুব আশ্চর্য্যের?? অপূর্ব তার চেহারা.....পরণে টিউলিপ হলুদ শাড়ি.... অন্ধকার বিদিশার মতো ঘনকালো চুল অনিন্দ্যসুন্দর মুখের চারপাশ ঘিরে জলপ্রপাতের মতো নেমে এসেছে.... কপালে উদিত সূর্যের মতো একটা টিপ্.......আর চোখ??!!!!! কত সহস্র বর্ষের মায়া আর ভালোবাসা সেই দৃষ্টির বরাভয় থেকে ঝরে পড়ছে...... আমার অন্তর মথিত করে সেই একটা অমোঘ শব্দই বেরিয়ে আসতে চাইলো....."মা" ‌ অথচ মস্তিষ্ক বিস্মিত হয়েই রইলো " ইনট্রোডাকটরি রিচ্যুয়াল.....অথচ ফরমার হাই প্রিস্টেস কেই জানানো হোলোনা !!!! এ কেমন আ্যারেন্জমেন্ট ফোকস্??" মজা মাখা মিষ্টি কন্ঠস্বর গোটা হলে ছড়িয়ে পড়লো...... একটু আগে যেমন মিরান্ডা ম্যামের কন্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়েছিল.... রূপের স্নিগ্ধ (অথবা তার থেকেও বেশি কিছু.... আমার পক্ষে অবর্ণনীয়) ছটা বিকিরণ করতে করতে স্টেজের দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি...... আমি দেখলাম মিরান্ডা ম্যাম ছাড়া স্টেজের উপর প্রত্যেকে উষ্ণ হাসিতে মুখ ভরিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে...... পরমূহুর্তেই প্রিস্টেস অগ্নিরূপার ভরাট হাস্কি মড্যুলেশনে ভরপুর কন্ঠস্বর গোটা হলে আছড়ে পড়লো ....... " আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্য....আজ এক্ষুণি আমরা এমন একজন‌কে আমাদের মধ্যে পেয়ে গেলাম....যাকে আমরা সবাই যতটা ভালোবাসি ততটাই শ্রদ্ধা করি.....যে পাওয়ারফুল প্রিস্টেস নিজের চিফ্ প্রিস্টেসের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে গিয়ে ইসপ্যামার প্রত্যেকটি কাজে প্রত্যেক কে হেল্প করে ইসপ্যামাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে.....তোমরা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের ফরমার সুপ্রিম ডিন এ্যান্ড চিফ প্রিস্টেস ম্যাডাম 'অনিন্দিতা' কে গ্রীট করো....
মূহুর্তে লাখ লাখ পায়রা ওড়ার মতো ক্ল্যাপিংসের আওয়াজ গোটা হলে ছড়িয়ে পড়লো......প্রিস্টেস অনিন্দিতা হাসিমাখা মুখে স্টেজের দিকে এগিয়ে গেলেন.... এত কিছুর মধ্যেই আমার চোখ হঠাৎ গিয়ে পড়লো ম্যাডাম মিরান্ডার দিকে.... এবং আমি অবাক হয়ে দেখলাম....মিরান্ডা ম্যামের মুখে এতটুকু হাসি বা আনন্দের বিন্দুমাত্র চিহ্ন ও নেই.... উল্টে একটু আগের সেই গর্বিত হাসিমাখা মুখ ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে.....!!!!!.

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register